'ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।' মন্তব্যটি কোন ভাষা-চিন্তকের?
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
মুহম্মদ এনামুল হক
D
সুকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
সুকুমার সেন একজন প্রখ্যাত ভাষা-চিন্তক, যিনি ভাষা ও সমাজের সম্পর্কের গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থের ‘ভাষা ও উপভাষা’ অধ্যায়ে তিনি ভাষার সামাজিক কার্যকারিতা এবং মানুষের সামাজিক প্রবৃত্তি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর ভাষায় উল্লেখ করেন যে, মানুষ সর্বদা কোনো না কোনো সংসার বা সমাজের অংশ, এবং স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ সমাজ বা সংসারবিহীন নয়। মানুষ যেই সমাজে বাস করে, সেই সমাজভুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তার চেতনা, উদ্দেশ্য এবং কর্মকাণ্ডের সমতা থাকে।
-
ভাষা হলো এই সমতার প্রধান মাধ্যম। ভাষার মাধ্যমে আদিম মানুষের সামাজিক প্রবৃত্তি প্রথমবার প্রকাশ পেয়েছিল। ভাষা সেই সামাজিক প্রবৃত্তিকে বিভিন্নভাবে প্রসারিত করে, মানুষকে পশুত্বের অন্ধজড়তা থেকে মুক্তি দিয়ে চিন্তাশীল করে তোলে।
-
ভাষা শুধু চিন্তার বাহন নয়, চিন্তার প্রসূতিও। যেমন লতা মঞ্চ-অবলম্বন ছাড়া বাড়তে পারে না, তেমনি চিত্তও ভাষা-অবলম্বন ছাড়া সঠিকভাবে বিচরণ করতে পারে না।
-
পশুদের সমাজ নেই। পশু একা, জোড়ে, বা দলে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু সেই দলকে সমাজ বলা যায় না; তা কেবল পরিবার। পশুর জীবনধারণ বাঁচার উপরে নির্ভরশীল, তাই তাদের জন্য ভাষা প্রায় অনাবশ্যক। তবে শারীরিক প্রয়োজনে কিছু পশু বিশেষ ডাক ব্যবহার করে।
সুকুমার সেনের জীবন ও কীর্তি:
-
১৯০০ সালের জানুয়ারিতে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
১৯৬৩ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার এবং ১৯৮১ সালে বিদ্যাসাগর পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর অন্যান্য রচনা:
-
বাংলা স্থান নাম
-
বাংলায় নারীর ভাষা
-
বাংলা সাহিত্যে গদ্য
-
ভারতীয় আর্য সাহিত্য
-
ভারত কথার গ্রন্থিমোচন
-
রামকথার প্রাক ইতিহাস
-
বটতলার ছাপা ও ছবি
-
বনফুলের ফুলবন
-
কলকাতার কাহিনি ইত্যাদি

0
Updated: 13 hours ago
দৌলত উজির বাহরাম খান সাহিত্যসৃষ্টিতে কার পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
সুলতান বরবক শাহ
D
জমিদার নিজাম শাহ
দৌলত উজির বাহরাম খান ছিলেন একজন প্রখ্যাত কাব্যকার, যিনি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারা অনুসরণ করে ‘লাইলী-মজনু’ কাব্য রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি সাহিত্য সৃষ্টিতে ‘জমিদার নিজাম শাহ’-এর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। কবির আত্মপরিচয় থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না, তবে জানা যায় যে তিনি চট্টগ্রামের ফতেহবাদ বা জাফরাবাদের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা মোবারক খান চট্টগ্রামের অধিপতির কাছ থেকে ‘দৌলত উজির’ উপাধি লাভ করেন এবং পূর্বপুরুষ হামিদ খান গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের প্রধান আমত্য ছিলেন।
বাহরাম খান অল্প বয়সে পিতৃহীন হলে চট্টগ্রামের অধিপতি নেজাম শাহ সুর তাঁকে পিতৃপদ (উজির) হিসেবে গ্রহণ করেন। নিজাম শাহ গৌড়ের নৃপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি ‘লাইলী-মজনু’ কাব্য রচনা করেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত ‘লাইলী-মজনু’ কাব্যটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্যধারায় গুরুত্বপূর্ণ।
-
সাহিত্য সৃষ্টিতে তিনি জমিদার নিজাম শাহ-এর পৃষ্ঠপোষকতা পান।
-
কবির ব্যক্তিজীবন থেকে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের ফতেহবাদ বা জাফরাবাদ এলাকার অধিবাসী ছিলেন।
-
পিতা মোবারক খান ‘দৌলত উজির’ উপাধি লাভ করেন; পূর্বপুরুষ হামিদ খান ছিলেন গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের প্রধান আমত্য।
-
পিতৃহীন অবস্থায় নেজাম শাহ সুর তাঁকে উজির পদ দেন।
-
নিজাম শাহ গৌড়ের নৃপতি থাকাকালীন সময়ে ‘লাইলী-মজনু’ রচনা করা হয়।
-
দৌলত উজির বাহরাম খানের দুটি আখ্যানকাব্য: লায়লী-মজনু ও ইমাম-বিজয়।

0
Updated: 2 weeks ago
'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি' -চরণ দুটির রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘আমার পণ’ কবিতা ও মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি’—এই পঙ্ক্তিটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের ‘আমার পণ’ কবিতার অংশ।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে।
-
পারিবারিক উপাধি ‘চট্টোপাধ্যায়’, কিন্তু পরিচিতি ‘তর্কালঙ্কার’ হিসেবে।
-
শিশু শিক্ষার জন্য লেখা তাঁর গ্রন্থ শিশু শিক্ষা (তিন খণ্ড, ১৮৪৯ ও ১৮৫৩) শিশুদের জন্য বিশেষ উপযোগী।
-
বিখ্যাত শিশুপাঠ্য ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ তাঁরই রচনা।
মৌলিক কাব্যগ্রন্থ:
-
রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪)
-
বাসবদত্তা (১৮৩৬)
‘আমার পণ’ কবিতার ভাব:
কবিতায় কবি সকালে নিজেকে দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে স্মরণ করান যে, সারাদিন ভালো কাজ করা, সকলকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সততা, এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা—এই সব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
সারাংশে প্রত্যক্ষ উক্তির ক্ষেত্রে কী করতে হবে?
Created: 2 weeks ago
A
গ্রহণ করতে হবে
B
পরিবর্তন করতে হবে
C
অবিকল লিখতে হবে
D
বর্জন করতে হবে
গদ্য বা পদ্যের অংশবিশেষের অন্তর্নিহিত মূল ভাবকে সহজ - সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে বলে - সারাংশ ।
সারাংশ বা সারমর্ম আলোচিত - বাক্যতত্ত্বে।
একটি রচনার মূলভাব নিহিত থাকে - সারাংশে বা সারমর্মে।
সারাংশের মূল উদ্দেশ্য - অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তুলে ধরা।
‘সারাংশ লিখন’ শিক্ষার উদ্দেশ্য - বক্তব্য সংক্ষেপণ।
সারাংশ বা সারমর্ম সাধারণত অনুচ্ছেদে লিখতে হয় - একটি।
সারাংশ লিখতে ভাষায় বাহুল্য, উপমা, অলংকার এ সকল - বর্জনীয়।
সারাংশে প্রত্যক্ষ উক্তি - বর্জন করতে হয়।

0
Updated: 2 weeks ago