আরবি 'কলম' শব্দটি 'কলমোস' শব্দ থেকে এসেছে। 'কলমোস' কোন ভাষার শব্দ?
A
পাঞ্জাবি
B
ফরাসি
C
গ্রিক
D
স্পেনিশ
উত্তরের বিবরণ
কলম (qalam) শব্দটি মূলত আরবি ভাষা থেকে আগত। অর্থ হলো একটি শক্ত দণ্ডের প্রান্তে বল বা নিব সংযুক্ত করে তৈরি লেখনী, যা লিখতে ব্যবহৃত হয়। ইংরেজি Pen শব্দের সাথে এর মিল রয়েছে।
-
কলম (qalam) শব্দটির আদি উৎস হলো গ্রিক শব্দ কলমোস (Kalamos/Κάλαμος)।
-
Kalamos/Κάλαμος এর অর্থ হলো a reed, a pen, অর্থাৎ বাঁশ বা সমজাতীয় কোনো উপাদান দিয়ে তৈরি লেখনী।
-
এটি বিভিন্ন ভাষায়, বিশেষ করে আরবিতে, গ্রহণ করা হয়েছে।
-
ব্যবহৃত অর্থ হলো the writing instrument made from a reed or similar material।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি নির্দেশক নয়?
Created: 3 days ago
A
- টুকু
B
- খানা
C
- জন
D
- রা
-রা কোনো নির্দেশক নয়, এটি বহুবচন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
নির্দেশক হলো সেই লগ্নক শব্দ, যা কোনো বিশেষত্ব বা নির্দিষ্টতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: -টা, -টি, -খানা, -খানি, -জন, -টুকু
-
-
নির্দেশক প্রত্যয়গুলোর ব্যবহার
-
-টুকু: পরিমাণ নির্দেশক (যেমন: একটুকু, সামান্যটুকু)
-
-খানা: সংখ্যা নির্দেশক (যেমন: একখানা বই, দুখানা কাপড়)
-
-জন: ব্যক্তি সংখ্যা নির্দেশক (যেমন: একজন লোক, দুজন মানুষ)
-
-
-রা প্রত্যয়
-
এটি বহুবচন নির্দেশ করে (যেমন: ছেলেরা, মেয়েরা, তারা)
-
এটি নির্দেশক নয়, বরং সংখ্যাবাচক প্রত্যয়
-

0
Updated: 3 days ago
‘দহন’ শব্দের বিশেষণ রূপ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
দহনকারী
B
দাহ্য
C
দাহ্যনীয়
D
দগ্ধ
দহন [দহোন্] একটি বিশেষ্য।
শব্দের অর্থ—
-
দগ্ধকরণ; জ্বালা; পোড়া; দাহ।
-
অগ্নি (যেমন: বেহান বিকাল যায় দহন সেবনে—কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
-
আলঙ্কারিক অর্থে যন্ত্রণা (যেমন: হিয়ায় লইতে দহন দ্বিগুণ হয়—চণ্ডীদাস)।
সম্পর্কিত পদ ও অর্থ—
-
দাহক (বিশেষণ) : দহনকারী বা দাহ সৃষ্টিকারী।
-
দহনকারী : বিশ্বদহন ক্রোধ।
-
দহনক্রিয়া (বিশেষ্য) : জ্বলনের কাজ; দহনক্রিয়ার অর্থ দ্রুতবেগে অক্সিজেনের সঙ্গে মিলন।
-
দাহ্য / দহনীয় (বিশেষণ) : দহনের উপযুক্ত বা দহনযোগ্য।
(উৎস:

0
Updated: 3 days ago
'উড়ুনি > উড়নি' কোন ধরনের স্বরসঙ্গতির উদাহরণ?
Created: 4 days ago
A
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
B
চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি
C
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
D
প্রগত স্বরসঙ্গতি
• স্বরসঙ্গতি: একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন- দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি, মুলা > মুলো ইত্যাদি। প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো। পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- আখো > আখুয়া > এখো, দেশি > দিশি। মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- বিলাতি > বিলিতি, জিলাপি > জিলিপি। অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- মোজা > মুজো। চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি: - গিলা > গেলা, মিলামিশা > মেলামেশা, মিঠা > মিঠে, ইচ্ছা > ইচ্ছে ইত্যাদি। - পূর্বস্বর উ-কার হলে পরবর্তী স্বর ও-কার হয়। যেমন- মুড়া > মুড়ো, চুলা > চুলো ইত্যাদি। - বিশেষ নিয়মে - উড়ুনি > উড়নি, এখনি > এখুনি হয়। উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)।
উৎপাদিত তথ্য অপরিবর্তিত রেখে রিরাইট করা হলো:
স্বরসঙ্গতি:
- একজন স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
- উদাহরণ: দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি, মুলা > মুলো ইত্যাদি।
প্রগত স্বরসঙ্গতি:
- আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো।
পরাগত স্বরসঙ্গতি:
- অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: আখো > আখুয়া > এখো, দেশি > দিশি।
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
- আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: বিলাতি > বিলিতি, জিলাপি > জিলিপি।
অন্নোন্য স্বরসঙ্গতি:
- আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়।
- উদাহরণ: মোজা > মুজো।

0
Updated: 4 days ago