স্বরান্ত অক্ষরকে কী বলে?
A
একাক্ষর
B
মুক্তাক্ষর
C
বদ্ধাক্ষর
D
যুক্তাক্ষর
উত্তরের বিবরণ
অক্ষর (Syllable) হলো বাগযন্ত্রের ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা শব্দাংশ, যা এক বা একাধিক বর্ণ নিয়ে গঠিত। এটি মূলত দুই ধরনের: মুক্তাক্ষর এবং বদ্ধাক্ষর।
-
মুক্তাক্ষর:
-
যখন একটি অক্ষরে কেবল একটি বর্ণ থাকে, তখন তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
-
অযুগ্ন বা মুক্ত স্বরান্ত ধ্বনিকে মুক্তাক্ষর বলা হয়। একে স্বরান্ত অক্ষরও বলা হয়।
-
যেমন: ‘ভালোবাসো যদি বলিবে না কেন?’ এখানে (ভা) (লো) (বা) (সো) (য) (দি) (ব) (লি) (বে) (না) (কে) (ন) এই সবগুলো (১২টি) মুক্তাক্ষর।
-
মুক্তাক্ষর সাধারণত U চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
-
মুক্তাক্ষর উচ্চারণের শেষে মুখ খোলা থাকে, ফলে অক্ষরকে প্রয়োজনমতো দীর্ঘ করা যায়।
-
যেমন: অপরিচিত।
-
-
বদ্ধাক্ষর:
-
ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনির মাধ্যমে যে অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে, তাকে বদ্ধাক্ষর বলা হয়।
-
বদ্ধ অর্থাৎ যুগ্মাস্বরান্ত বা ব্যঞ্জনান্ত ধ্বনিকে বদ্ধাক্ষর বলে।
-
যেমন: ‘সোম বার দিনরাত হরতাল’। এখানে (সোম্) (বার্) (দিন্) (রাত) (হর্) (তাল্) এই সবগুলো (৬টি) বদ্ধাক্ষর।
-
বদ্ধাক্ষর সাধারণত – চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়।
-

0
Updated: 13 hours ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
অনির্বচ্যনীয়
B
অনির্বাচ্যনীয়
C
অনির্বচনীয়
D
অনির্বাচনীয়
অনির্বচনীয়
-
শুদ্ধ বানান: অনির্বচনীয়
-
পদভেদ: বিশেষণ
-
উৎপত্তি: সংস্কৃত শব্দ
অর্থ:
-
বর্ণনাতীত
-
অবর্ণনীয়
স্ত্রীবাচক রূপ: অনির্বচনীয়া
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 3 weeks ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কারক কে?
Created: 4 days ago
A
বড়ু চণ্ডীদাস
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
বসন্তরঞ্জন রায়বিদ্বদ্বল্লভ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একটি বৈষ্ণব কাব্য যা রচনা করেছেন বড়ু চণ্ডীদাস। যদিও রচনাকাল সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি, এটি সাধারণত প্রাকচৈতন্য যুগের (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতক) মনে করা হয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (খ্রি. ১৯০৯) বসন্তরঞ্জন রায় পুথিটি আবিষ্কার করেন, যা বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর নিকট থেকে পাওয়া যায়। এটি মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় রচিত কোনো লেখকের প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ।
-
কাব্যের কাঠামো:
-
মোট ১৩ খন্ডে বিভক্ত
-
মোট ৪১৮টি পদে বিন্যস্ত
-
-
প্রধান চরিত্র:
-
রাধা
-
কৃষ্ণ
-
বড়ায়ি
-
উৎস:

0
Updated: 4 days ago
প্রাকৃত শব্দের ভাষাগত অর্থ –
Created: 2 months ago
A
মূর্খদের ভাষা
B
পণ্ডিতদের ভাষা
C
জনগণের ভাষা
D
লেখকদের ভাষা
প্রাকৃত মধ্যভারতীয় আর্যভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা বৈদিক বা সংস্কৃত থেকে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সংস্কৃত ভাষার যে রূপটি ছিল সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, তা এক সময় শিথিল ও সরল হয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ ধারণ করে।
কালক্রমে এগুলিকেই বলা হয় প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষার নামকরণ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলেন যে, এর প্রকৃতি বা মূল হচ্ছে ‘সংস্কৃত’, তাই প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বলে এর নাম হয়েছে প্রাকৃত। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘প্রকৃতি’ অর্থ সাধারণ জনগণ এবং তাদের ব্যবহূত ভাষাই প্রাকৃত ভাষা, অর্থাৎ প্রাকৃত জনের ভাষা প্রাকৃত ভাষা।

0
Updated: 2 months ago