বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন দান করার পর কী হয়?
A
নিজেই বিজারিত হয়
B
নিজেই জারিত হয়
C
নিজে শক্তিশালী হয়
D
কোনো পরিবর্তন হয় না
উত্তরের বিবরণ
বিজারক ও জারক পদার্থ হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মূল অংশ, যা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান নির্ধারণ করে।
বিজারক পদার্থ (Reductant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে, তাকে বিজারক বা রিডাকট্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন দান করার পর নিজে জারিত হয়।
-
ইলেকট্রন দানের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন (H₂), Li, Na, K, Rb, Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂।
জারক পদার্থ (Oxidant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিড্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের পর নিজে বিজারিত হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
-
উদাহরণ: SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂।
বিশেষ মন্তব্য
-
SO₂ একই সাথে জারক এবং বিজারক হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো ব্যবহার হয়, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় দ্রবণে বিজারক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 14 hours ago
জারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়-
Created: 2 weeks ago
A
অ্যানােডে
B
ক্যাথােডে
C
অ্যানােড এবং ক্যাথােড উভয়টিতে
D
বর্ণিত কোনটিতেই নয়
জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া ইলেকট্রোকেমিস্ট্রির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান–প্রদান ঘটে এবং এর মাধ্যমে তড়িৎ রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নিচে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
-
জারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অ্যানোডে।
-
বিজারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ক্যাথোডে।
-
যে ধাতব পাতে ধাতু বা কোনো আয়ন ইলেকট্রন ছেড়ে দেয় তাকে ঋণাত্মক তড়িৎদ্বার (অ্যানোড) বলা হয়। অপরদিকে, যে তড়িৎদ্বারে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ইলেকট্রন শোষিত হয় তাকে ধনাত্মক তড়িৎদ্বার (ক্যাথোড) বলা হয়।
-
কোনো পরমাণু, আয়ন বা রেডিক্যাল থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন অপসারণের মাধ্যমে তড়িৎ-ধনাত্মক আধান বৃদ্ধি অথবা তড়িৎ-ঋণাত্মক আধান হ্রাসের প্রক্রিয়াকে জারণ বলা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনো দ্রবণে pH মান ৭ এর চেয়ে কম হলে সেই দ্রবণ কোন প্রকৃতির হবে?
Created: 2 weeks ago
A
ক্ষারীয়
B
নিরপেক্ষ
C
অ্যাসিডিক
D
আয়নিক
pH স্কেল হলো এমন একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো দ্রবণ অম্লীয়, ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ তা নির্ধারণ করা হয়। এটি রসায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা পরিমাপের একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রদান করে।
-
pH স্কেল প্রবর্তন করেন বিজ্ঞানী সোরেনসেন ১৯১৯ সালে।
-
এটি দ্বারা জানা যায় কোনো দ্রবণ কতটা অম্লীয় বা ক্ষারীয়।
-
pH হলো হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম। অর্থাৎ, pH = – log[H⁺]।
-
দ্রবণের pH মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
pH = ৭ হলে দ্রবণটি নিরপেক্ষ।
-
pH < ৭ হলে দ্রবণটি অম্লীয়।
-
pH > ৭ হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়।
-
pH নির্ধারণের জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়, যেখানে pH স্কেল থাকে।

0
Updated: 2 weeks ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 3 weeks ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago