মশা বা পিঁপড়া মারার অ্যারোসল স্প্রে করলে গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়া কোন প্রক্রিয়ার উদাহরণ?
A
ব্যাপন
B
নিঃসরণ
C
সংকোচন
D
বাষ্পীভবন
উত্তরের বিবরণ
ব্যাপন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট কোনো গ্যাস বা তরল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপর গ্যাস বা তরলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ছড়িয়ে যায়।
ব্যাপন সম্পর্কিত তথ্য
-
এটি ঘটে উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে।
-
দৈনন্দিন উদাহরণ:
-
কোনো কক্ষে বা এয়ারকন্ডিশনারযুক্ত বাসে এয়ার ফ্রেশনার ছড়ালে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যায়।
-
রাতের বেলা ঘরের কোনে হাসনা-হেনা বা গোলাপ ফুল ফুটলে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়ায়।
-
ঘরের মশা, আরশোলা বা পিঁপড়া মারার জন্য ব্যবহৃত অ্যারোসলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যায়।
-

0
Updated: 14 hours ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
Li
B
Na
C
Ca
D
Ag
পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহকে তাদের গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত হাইড্রোজেন ব্যতীত সমস্ত মৌল ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এদের বিশেষ ধর্ম হলো, পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করা।
-
প্রতিটি মৌল একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয় এবং আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2 এ থাকা মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল, তবে প্রতিটি দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে এবং এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের নামকরণ হয়েছে কারণ প্রকৃতিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে পাওয়া যায়।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metals)
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর মাত্র তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রুপা (Ag), সোনা (Au)।

0
Updated: 14 hours ago
নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে?
Created: 1 week ago
A
পিতল
B
নিকেল
C
তামা
D
অ্যালুমিনিয়াম
চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ
-
চৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে; তাই এগুলোকে ফেরোচৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic substances) বলা হয়।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
-
নিকেল একটি চৌম্বক পদার্থ, তাই এটি চুম্বকের দ্বারা আকর্ষিত হয়।
-
-
অচৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago