খর পানিতে উত্তম ফেনা তৈরি করে কোনটি?
A
এসিড
B
সাবান
C
ইমালশান
D
ডিটারজেন্ট
উত্তরের বিবরণ
পরিষ্কারক উপাদান হলো এমন পদার্থ যা দেহ, কাপড় বা অন্যান্য বস্তু পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। আধুনিক জীবনে সাবান ছাড়াও ডিটারজেন্ট, ইমালশন, পলিশ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
ডিটারজেন্ট সম্পর্কিত তথ্য
-
ডিটারজেন্ট মূলত সিনথেটিক পদার্থ থেকে প্রস্তুত করা হয়।
-
সিনথেটিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল: পেট্রোলিয়াম উপজাতসমূহ, সাবান তৈরির উপাদান, উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ চর্বি ইত্যাদি।
-
ডিটারজেন্টে প্রায়শই থাকে গন্ধদ্রব্য, রঙ এবং কখনো জীবাণুনাশক পদার্থ।
-
ডিটারজেন্ট খর পানিতে কাজ করে এবং উত্তম ফেনা তৈরি করে।
-
লবণের সাথে বিক্রিয়ায় দই বা চুন উৎপন্ন হয় না।
-
ডিটারজেন্টের কঠিন তলে ঢোকার ক্ষমতা বেশি।
-
ঠান্ডা পানিতে ডিটারজেন্ট গলে যায়, কিন্তু সাবান ঠান্ডা পানিতে সহজে গলে না।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন রাশিটি মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল?
Created: 1 month ago
A
সময়
B
বেগ
C
ভর
D
তড়িৎপ্রবাহ
রাশি
-
প্রকৃতিতে যে সব পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তা রাশি নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: একটি লোহার বলের ভর পরিমাপ করা যায়। এখানে ভর একটি রাশি।
মৌলিক রাশি
-
যেগুলো পরিমাপের জন্য অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করতে হয় না, সেগুলোকে মৌলিক রাশি বলা হয়।
-
উদাহরণ: সময় একটি মৌলিক রাশি, কারণ এটি অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করে না।
-
বিজ্ঞানীরা মোট সাতটি মৌলিক রাশি চিহ্নিত করেছেন:
• দৈর্ঘ্য
• ভর
• সময়
• তাপমাত্রা
• তড়িৎপ্রবাহ
• দীপন তীব্রতা
• পদার্থের পরিমাণ
যৌগিক (লব্ধ) রাশি
-
কিছু রাশি অন্য মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল।
-
উদাহরণ: বেগ পরিমাপ করতে দূরত্ব ও সময় জানা প্রয়োজন। বেগ = দূরত্ব ÷ সময়। তাই বেগ একটি লব্ধ বা যৌগিক রাশি।
-
যৌগিক রাশির উদাহরণ:
• কাজ
• বল
• তাপ
• বেগ
• ত্বরণ
• বিভব
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 2 months ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে কতবার পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়?
Created: 2 months ago
A
৪০ বার
B
১০০ বার
C
৬০ বার
D
৫০ বার
তড়িৎ প্রবাহ:
- দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।
- যখন দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়, তখন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতব বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলে।
- কোনোভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে।
- ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রনের এই প্রবাহের জন্যই তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
- মূলত কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাই হলো তড়িৎ প্রবাহ।
- প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে হয়।
- তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার। একে সাধারণত A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার।
যথা-
(ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ বা এসি প্রবাহ:
- যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ।
- এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
- দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়।
যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
(খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ বা ডিসি প্রবাহ:
- যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়।
- আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।
0
Updated: 2 months ago