মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি?
A
Li
B
Na
C
Ca
D
Ag
উত্তরের বিবরণ
পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহকে তাদের গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত হাইড্রোজেন ব্যতীত সমস্ত মৌল ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এদের বিশেষ ধর্ম হলো, পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করা।
-
প্রতিটি মৌল একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয় এবং আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2 এ থাকা মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল, তবে প্রতিটি দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে এবং এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের নামকরণ হয়েছে কারণ প্রকৃতিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে পাওয়া যায়।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metals)
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর মাত্র তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রুপা (Ag), সোনা (Au)।
0
Updated: 1 month ago
কোন জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসে আসে?
Created: 3 weeks ago
A
ডিজেল
B
পেট্রোল
C
অকটেন
D
সিএনজি
সালফার ডাই–অক্সাইড (SO₂) একটি বায়ুদূষক গ্যাস, যা মূলত সালফারযুক্ত জ্বালানি পুড়লে উৎপন্ন হয়। এই দিক থেকে ডিজেল হলো এমন একটি জ্বালানি যাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে, তাই এটি পুড়লে বাতাসে সালফার ডাই–অক্সাইড নির্গত হয়।
-
ডিজেল মূলত অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে তৈরি হয় এবং এতে সালফারের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। যখন এটি দহন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তখন সালফার অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে SO₂ গ্যাস তৈরি করে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
-
এই গ্যাস বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অম্লবৃষ্টি (acid rain) সৃষ্টি করে, যা মাটি, গাছপালা ও স্থাপত্যের ক্ষতি সাধন করে।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর, কারণ এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কাশি ও অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।
অন্য বিকল্পগুলোর তুলনা করলে—
-
পেট্রোল ও অকটেন-এ সালফারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তাই এগুলো থেকে SO₂ নির্গমন সীমিত।
-
সিএনজি (Compressed Natural Gas) সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে পরিচিত; এতে মূল উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা পুড়লে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়, সালফার ডাই–অক্সাইড নয়।
অতএব, পরিবেশগত ও রাসায়নিক দিক থেকে স্পষ্ট যে ডিজেল পোড়ালে সালফার ডাই–অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
সঠিক উত্তর — ক) ডিজেল।
0
Updated: 3 weeks ago
যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
ল্যান্স
B
দর্পণ
C
বিম্ব
D
প্রিজম
দর্পণ এবং অপটিক্যাল উপাদান
-
দর্পণ: যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
-
দর্পণ প্রধানত দুই প্রকারের:
১। সমতল দর্পণ
২। গোলীয় দর্পণ-
গোলীয় দর্পণ আবার দুই প্রকার:
১। উত্তল দর্পণ
২। অবতল দর্পণ
-
-
প্রিজম: একটি স্বচ্ছ পলিগোনাল সেল, সাধারণত ত্রিভুজাকৃতির, যা আলোকে প্রতিসরিত (refraction) করতে ব্যবহার হয়।
-
ল্যান্স: একটি অপটিক্যাল উপাদান যা আলোকে ফোকাস করতে সাহায্য করে। এটি আলোকে প্রতিসরণ (refraction) করলেও প্রতিফলন (reflection) ঘটে না।
-
বিম্ব: প্রতিফলিত আলোর একটি চিত্র বা ছবি, যা প্রতিফলন বা প্রতিসরণের ফলস্বরূপ তৈরি হয়। এটি কোনো পদার্থ নয়, বরং দৃশ্যমান একটি চিত্র।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 2 months ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago