কার্বনের দানাদার রূপভেদ কোনটি?
A
কয়লা
B
কার্বন ব্ল্যাক
C
কোক কার্বন
D
হীরক
উত্তরের বিবরণ
প্রকৃতিতে একই মৌল বিভিন্ন ভৌত রূপে অবস্থান করতে পারে, এই বৈশিষ্ট্যকে বহুরূপতা বলা হয়। এটি মৌলের রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত রেখে তাদের ভৌত রূপ পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্দেশ করে।
বহুরূপতা সম্পর্কিত তথ্য
-
বহুরূপতা প্রদর্শনকারী মৌল: কার্বন, ফসফরাস, সিলিকন, সালফার, জার্মেনিয়াম, বোরন, টিন ইত্যাদি।
-
কার্বনের দানাদার রূপভেদ: গ্রাফাইট ও হীরক।
-
কার্বনের অদানাদার রূপভেদ: কোক কার্বন, চারকোল, কয়লা ও কার্বন ব্ল্যাক।
-
দানাদার রূপভেদ গ্রাফাইট বিদ্যুৎ পরিবহন করতে সক্ষম।
0
Updated: 1 month ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 2 months ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কোন পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে?
Created: 1 month ago
A
প্লাস্টিক
B
রূপা
C
সিলিকন
D
কাচ
পদার্থকে তাদের তড়িৎ পরিবাহনের ক্ষমতা অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা যায়—পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী।
পরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে পরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা।
-
মূলত সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে তা সমস্ত পরিবাহীতে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে তড়িৎ প্রবাহে বাধা সামান্য বৃদ্ধি পায়।
অপরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক।
-
মূলত প্রায় সব অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান প্রদত্ত স্থানে আবদ্ধ থাকে এবং দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়।
অর্ধপরিবাহী:
-
কিছু পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মধ্যে থাকে।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন।
-
এরা তড়িৎ প্রবাহ করতে পারে, তবে পরিবাহীর চেয়ে কম এবং অপরিবাহীর চেয়ে বেশি।
-
পার্থক্য: পরিবাহী পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ হ্রাস পায় এবং তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন কেমন হয়?
Created: 1 month ago
A
কম হয়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
ধীরে ধীরে কম হয়
D
বেশি হয়
বাষ্পায়নের নির্ভরশীলতা
-
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ধীরগতিতে শুকায়, কিন্তু শীতকালে ছায়ায়ও দ্রুত শুকায়। এ ঘটনার কারণ হলো পানির বাষ্পায়ন।
-
পানির বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:
১. বাতাসের প্রবাহ:
-
বাতাসের গতি বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
২. তরলের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল:
-
ক্ষেত্রফল যত বড়, বাষ্পায়ন তত বেশি। উদাহরণ: এক গ্লাস পানির তুলনায় একটি বড় থালায় রাখা পানি দ্রুত শুকায়।
৩. তরলের প্রকৃতি:
-
স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। উদাহরণ: ইথার বা এলকোহল দ্রুত বাষ্পায়িত হয়।
৪. বাতাসের চাপ:
-
বাতাসের চাপ কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। শূন্যস্থানে বাষ্পায়ন সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
৫. উষ্ণতা:
-
তরল এবং তার চারপাশের বাতাসের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বৃদ্ধি পায়।
৬. বায়ুর শুষ্কতা:
-
বাতাস যত শুষ্ক, তরল তত দ্রুত বাষ্পায়ন করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago