যে গুণের মাধ্যমে মানুষ 'ভুল' ও 'শুদ্ধ'-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে-
A
সততা
B
সদাচার
C
কর্তব্যবােধ
D
মূল্যবােধ
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ মানুষের আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, এবং এটি নির্ধারণ করে কীটি ভুল বা শুদ্ধ, কীটি ভালো বা মন্দ। মানুষের আচরণ পরিচালনায় মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড এবং নীতির ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার মাধ্যমে এই মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব। মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি সারাজীবন চলতে থাকে, তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণও পরিবর্তিত হয়।
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় মানুষের আচরণের মাধ্যমে এবং এটি মানুষের নৈতিক বিচার ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
-
এটি মানুষের আচরণ পরিচালনার মানদণ্ড এবং নীতি হিসেবে কাজ করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় ও কার্যকর করা যায়।
-
জন্ম থেকে মানুষ মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত ও বিকশিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি কি?
Created: 2 months ago
A
যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
B
দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
C
নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
D
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
সরকারি চাকরিতে সততার মানদণ্ড
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অভ্যাস। একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে তাকে সততাবান ধরা হয়।
নৈতিকতা (Ethics)
-
নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ Ethics এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ হলো চরিত্র বা রীতিনীতি (Character or Custom)।
-
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
-
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা ভাল ও মন্দ, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।
-
Webster’s Dictionary অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো এমন একটি শৃঙ্খলা, যা নৈতিক কর্তব্য ও দায়বোধের মাধ্যমে ঠিক করে কী ভালো ও কী মন্দ।
-
Godiwalla & Faramarz মতে, নৈতিকতা হলো ভুল ও খারাপ থেকে সঠিক ও ভালো আলাদা করার প্রক্রিয়া, এবং তা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য।
-
Kreitner & Eliason (Foundations of Management) উল্লেখ করেছেন, নৈতিকতা হলো ভুল বনাম সঠিক এবং তার সাথে সম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মূল্যায়ন।
নৈতিকতার মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ভুল ও সঠিকের তুলনা করা।
-
নৈতিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা।
-
প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা।
সংক্ষেপে, নৈতিকতা এমন কিছু মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে যা আমাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
সততা (Honesty)
-
নীতিশাস্ত্রে সততা হলো মানুষের চরিত্রের স্থায়ী সৎ প্রবণতা, যা জন্মগত নয় বরং অর্জিত।
-
সততা মূলত কর্তব্যপরায়ণ অভ্যাসের ফল।
-
এরিস্টটল বলেছেন, সততা হলো মনের স্থায়ী অবস্থা, যা আমাদের ইচ্ছা ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা গঠিত এবং বাস্তব জীবনের আদর্শের উপর ভিত্তি করে।
-
মানুষ তখনই সৎলোক হয় যখন সে সৎ অভ্যাস গড়ে তোলে এবং নৈতিক আদর্শ অনুসারে কাজ করে।
-
নিজের প্রবৃত্তি ও কামনা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যক্তি চরিত্রবান হয়ে ওঠে।
-
ম্যাকেনজি অনুযায়ী, সততা হলো চরিত্রের সৎ অভ্যাস, যা কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু তার থেকে পৃথক।
-
কর্তব্য বলতে বোঝায় সেই বিশেষ কাজ যা আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
সংক্ষেপে, সততা হলো অভ্যাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সৎ কাজ করার ক্ষমতা।
উৎসঃ সিভিক এডুকেশন-১, বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
মূল্যবোধ হলো-
Created: 2 months ago
A
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
B
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
C
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
D
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
মূল্যবোধ ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
অন্যভাবে বলা যায়, মূল্যবোধ হলো মানুষের কিছু নির্দিষ্ট মনোভাব ও বিশ্বাসের সংমিশ্রণ, যা সময়ের সাথে স্থায়ীভাবে গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে প্রচলিত নিয়ম, প্রথা, রীতিনীতি ও আদর্শ সম্পর্কে শিক্ষিত হয় এবং তা তার আচরণে প্রতিফলিত হয়।
-
মূল্যবোধ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিও।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে এবং দেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম সূচক।
ফ্রাঙ্কেলের দৃষ্টিকোণ:
-
“মূল্যবোধ হলো আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের ধারণ।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
জেরেমি বেন্থাম কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
জার্মানি
B
ফ্রান্স
C
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
D
যুক্তরাজ্য
জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham)
-
জেরেমি বেন্থাম একজন ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আইনশাস্ত্রের তাত্ত্বিক।
-
তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন।
-
বেন্থামই ছিলেন উপযোগবাদের (Utilitarianism) প্রধান প্রবক্তা।
-
তিনি যে সুখবাদ প্রচার করেছিলেন তা ‘অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ’ (Gross Utilitarianism) নামে পরিচিত।
-
বেন্থাম মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও, এগুলি থেকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ বা ‘পরসুখ’ ধারণা গ্রহণ করেছিলেন।
-
বেন্থামের উপযোগবাদের বিশেষত্ব হলো তিনি সুখের মধ্যে গুণগত পার্থক্য মানতে নারাজ ছিলেন। এজন্য এটিকে ‘অসংযত পরসুখবাদ’ বলা হয়।
-
তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো:
“Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”
অর্থাৎ, “সুখের পরিমাণ সমান হলে, সাধারণ খেলার আনন্দও কবিতা পড়ার আনন্দের সমান।” -
বেন্থাম সুখের পরিমাণ মাপার জন্য সাতটি দিক উল্লেখ করেছেন:
১. তীব্রতা (Intensity)
২. স্থায়িত্ব (Duration)
৩. নৈকট্য (Proximity)
৪. নিশ্চয়তা (Certainty)
৫. বিশুদ্ধি (Purity)
৬. উর্বরতা (Fecundity)
৭. বিস্তৃতি (Extent)
উৎসঃ Britannica
0
Updated: 2 months ago