রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
উত্তরের বিবরণ
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
Created: 1 month ago
A
ধর্ম
B
সামাজিক প্রথা
C
মূল্যবোধ শিক্ষা
D
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
সুশাসন ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল ধারণা: সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূল্যবোধ শিক্ষার ভূমিকা: এই গুণাবলী অর্জন করা যায় মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে। এটি ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক।
-
সুশাসন ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: মূল্যবোধ শিক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক বা কার্যকরী দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।
0
Updated: 1 month ago
উদ্দেশ্য নৈতিকতার আলোচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উদ্দেশ্য
B
ফলাফল
C
প্রক্রিয়া
D
উপরের সবগুলো
উদ্দেশ্যবাদের বা পরিণামবাদী নৈতিকতার ধারণা হলো এমন একটি নৈতিক দর্শন যা বলে যে কোনো কাজের নৈতিক মূল্যায়ন তার ফলাফলের উপর নির্ভর করে।
অর্থাৎ, কোনো কাজের ফলাফল যদি ইতিবাচক হয়, তবে তা নৈতিকভাবে সঠিক এবং যদি নেতিবাচক হয়, তবে তা নৈতিকভাবে ভুল। এই দর্শনটি মূলত কাজের উদ্দেশ্য নয়, বরং তার পরিণাম বা consequence-এর ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
উদ্দেশ্যবাদের অন্য নাম হলো পরিণামবাদ (Consequentialism)। এই মতবাদ অনুযায়ী, একটি কাজের নৈতিকতা নির্ধারিত হয় তার ফলাফলের ভিত্তিতে, কাজের উদ্দেশ্য নয়।
-
Teleological শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “telos” থেকে, যার অর্থ হলো “End” বা লক্ষ্য/পরিণাম, এবং “logos” যার অর্থ হলো বিজ্ঞান বা যুক্তি।
-
তাই এই তত্ত্বে নৈতিক কর্তব্য বা দায়িত্ব নির্ধারিত হয় সেই কাজের ফলাফল ভালো না খারাপ হওয়ার ভিত্তিতে, অর্থাৎ কাজের পরিণামই নৈতিকতার মানদণ্ড।
-
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো কাজের মাধ্যমে বেশি মানুষের উপকার হয়, তবে সেটি নৈতিকভাবে সঠিক ধরা হয়, যদিও প্রক্রিয়া বা উদ্দেশ্য স্বাভাবিকভাবে ততটা নিখুঁত নাও হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago