সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘স্বার্থের সংঘাত' (conflict of interest)- এর উদ্ভব হয় যখন গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে-
A
সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে
B
প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্বার্থ জড়িত থাকে
C
সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকে
D
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে
উত্তরের বিবরণ
Conflict of Interest বলতে বোঝায় এমন পরিস্থিতি যেখানে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থ—যেমন পরিবার, বন্ধুত্ব, আর্থিক বা সামাজিক কারণ—তার কর্মক্ষেত্রে নেওয়া সিদ্ধান্ত বা কার্যকলাপে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত।
• University of Central Florida অনুযায়ী, এটি ঘটে যখন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থ তার বিচার বা কর্মে প্রভাব ফেলে।
• Cambridge Dictionary অনুযায়ী, এটি হলো এমন পরিস্থিতি যেখানে কোনো ব্যক্তির private interests তার দায়িত্বের সাথে বিরোধে থাকে।
• Britannica Dictionary অনুযায়ী, এটি সেই সমস্যা যা official responsibilities এবং personal gain বা loss-এর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে হয়।
অতএব, সঠিক অর্থে Conflict of Interest বোঝায় যে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে।

0
Updated: 14 hours ago
'আমরা যে সমাজেই বসবাস করি না কেন, আমরা সকলেই ভালো নাগরিক হওয়ার প্রত্যাশা করি'। এটি -
Created: 3 weeks ago
A
নৈতিক অনুশাসন
B
রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
C
আইনের শাসন
D
আইনের অধ্যাদেশ
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values)
রাজনৈতিক মূল্যবোধ বলতে এমন চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য ও সংকল্পকে বোঝায় যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে।
রাজনৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
রাজনৈতিক সততা বজায় রাখা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যপূর্ন আচরণ প্রদর্শন করা
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রকাশ করা
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসরণ করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সহিষ্ণু থাকা
-
বিরোধী মতকে প্রকাশ ও প্রচারের সুযোগ দেওয়া
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দেওয়া
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়া
-
আইনসভাকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করা
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
সামাজিক মূল্যবোধের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক শিষ্টাচার ও সততা
-
সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা মানা
-
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সম্মিলিত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা তারা ভালো বলে গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ দু’ই মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে।
-
এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে ভালো নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 3 weeks ago
'Human Society in Ethics and Politics' গ্রন্থের লেখক কে?
Created: 2 weeks ago
A
প্লেটো
B
রুসাে
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
জন স্টুয়ার্ট মিল
বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন একজন বহুমুখী ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী যিনি দর্শন, যুক্তি, গণিত, ইতিহাস, সমাজচিন্তা ও সমাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি কেবল একজন দার্শনিকই নন, বরং অহিংসাবাদী, যুদ্ধবিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদের তীব্র সমালোচক হিসেবেও সুপরিচিত।
১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি' প্রসঙ্গে লেখা বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রাসেল একজন দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী এবং সমাজ সমালোচক ছিলেন।
-
তিনি যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তার চিন্তাধারা ও মানবিক আদর্শের স্বীকৃতি হিসেবে।
-
রাসেলের মতে, মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জন্ম নেয় যেগুলোর যুক্তিসঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে নেই এবং বিজ্ঞানও এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যস্ততা দেখায় না।
-
দর্শন মূলত সেই ধর্ম ও বিজ্ঞানর মধ্যবর্তী "অনধিকৃত রাজ্য" (No Man's Land)-এ অবস্থান করে।
-
এই কারণে রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞানের সীমা ও ধর্মতত্ত্বের বাইরে চলার ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাসেলের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
The Elements of Ethics
-
Human Society in Ethics and Politics
-
Moral and Others
-
Power: A New Social Analysis
-
Political Ideals
-
Introduction to Mathematical Philosophy

0
Updated: 2 weeks ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
Created: 14 hours ago
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।

0
Updated: 14 hours ago