গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-
A
নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য
B
স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন
C
শক্তিশালী রাজনৈতিক দল
D
পরমতসহিষ্ণুতা
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মূল মানদন্ড এবং নীতিমালা নির্দেশ করে। এগুলো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত, আচরণ এবং সামাজিক সংযোগে একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
-
মূল্যবোধের প্রধান শ্রেণীবিভাগ হলো:
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
ধর্মীয় মূল্যবোধ
-
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
আধুনিক মূল্যবোধ
-
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
-
-
বিভিন্ন ধরনের মূল্যবোধের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নৈতিকতা, সহমর্মিতা, আত্মসংযম, পরম সহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণাবলী মানুষকে গণতান্ত্রিক আচরণ শেখায় এবং সামাজিক সহমতের উন্নতি ঘটায়।
-
একটি রাষ্ট্র কেবল গণতন্ত্র ঘোষণা করলেই চলবে না; তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা, সংকল্প এবং উদ্দেশ্য, অর্থাৎ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থাকতে হবে।
-
সমাজ ও প্রতিবেশীর কল্যাণ এবং অন্যের অধিকার সম্পর্কে চিন্তা করা মূল্যবোধের অপরিহার্য অংশ, যা সরাসরি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।

0
Updated: 14 hours ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
B
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
C
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
D
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
সুশাসন এবং এর পূর্বশর্ত
সুশাসন বলতে বোঝায় একটি দেশের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার এমন অবস্থা যেখানে সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়নিষ্ঠভাবে, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধভাবে পরিচালিত হয়। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও কুশাসন কমানো।
-
ইংরেজিতে: Good Governance
-
ধারণার উৎস: বিশ্বব্যাংক
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের ধারণা প্রদান করে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়।
-
সুশাসনের গুরুত্ব:
-
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের মূল নীতি:
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
সুশাসনের পূর্বশর্তসমূহ:
-
আইনের শাসন – দেশের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি সম্মান দেখায়।
-
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা – প্রশাসন খোলামেলা এবং নাগরিকদের জন্য বোঝার উপযোগী হয়।
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন – সেবা জনগণের কল্যাণমুখী হয়।
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা – জনগণ নীতি প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে।
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম – জনগণ তথ্য পায় এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility) – কর্মকর্তারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকে।
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – কেন্দ্রীয় শক্তি সীমিত করে স্থানীয় ও নিম্নতর স্তরে ক্ষমতা প্রদান।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা – রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন নির্বাচন।
-
বাকস্বাধীনতা – জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বৈধতা – আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, পৌরনীতি ও সুশাসন; প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago