অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে-
A
বিনিয়ােগ বৃদ্ধি পায়
B
দুর্নীতি দূর হয়
C
প্রতিষ্ঠানের সুনাম হয়
D
যােগাযােগ বৃদ্ধি পায়
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের গুরুত্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিমালা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত হয়। Good governance ensures transparency and accountability, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে।
-
এটি পুঁজি বিনিয়োগ এবং শিল্পকারখানা স্থাপনে আগ্রহ বৃদ্ধি করে। As a result, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়।
-
অর্থনীতি সরাসরি বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল। তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী হবে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সংস্কৃতির উপাদান নয়?
Created: 2 months ago
A
আইন
B
প্রতীক
C
ভাষা
D
মূল্যবোধ
সংস্কৃতি
-
Culture শব্দটির ইংরেজি অর্থ এসেছে to cultivate অর্থাৎ "চাষ করা" বা "কৃষিকাজ করা" থেকে।
-
মানুষ তার জীবনকে আরামদায়ক ও উন্নত করার জন্য এবং চারপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে যে সমস্ত কাজ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, তাই হলো সংস্কৃতি।
সংস্কৃতির ধরন
সংস্কৃতি সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত—
-
বস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি চোখে দেখা যায় ও স্পর্শ করা যায়। যেমন—বস্তু, শিল্পকর্ম, পোশাক ইত্যাদি।
-
অবস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি অনুভব করা যায় কিন্তু দেখা বা স্পর্শ করা যায় না। যেমন—ভাষা, বিশ্বাস, আচরণবিধি ইত্যাদি।
সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য
-
এক সমাজে যা সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য, অন্য সমাজে তা অপসংস্কৃতি বলে বিবেচিত হতে পারে।
-
রাষ্ট্রভেদে সংস্কৃতি ভিন্ন হয়।
-
সংস্কৃতিতে সর্বজনীন (Universal) কিছু নেই। তবে কয়েকটি সাধারণ উপাদান সব দেশে পাওয়া যায়।
সংস্কৃতির সাধারণ উপাদান
-
ভাষা
-
প্রতীক
-
আচরণবিধি
-
হস্তশিল্প
-
নৈতিকতা
-
মূল্যবোধ
-
পরিবর্তিত আচরণ ও বিশ্বাস
-
আচার-অনুষ্ঠান
তবে মনে রাখতে হবে—আইন সংস্কৃতির উপাদান নয়।
উৎস: সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
মূল্যবোধ হলো -
Created: 1 month ago
A
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলির দিক নির্দেশনা
B
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
C
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
D
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
মূল্যবোধ
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। এটি মানুষের মনোভাব, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাস। সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা ও আদর্শের বিকাশ ঘটানোর শিক্ষাকে মূল্যবোধ শিক্ষা বলা হয়। মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি।
-
মূল্যবোধের উৎস:
-
প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলো পরিবার
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়
-
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
মানুষের আচার-ব্যবহার ও কার্যাবলীকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রণ করে
-
স্থায়ী নয়, বরং পরিবর্তনশীল
-
শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক সুবিবেচিত আচরণের সমষ্টি
-
0
Updated: 1 month ago
ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য
B
সৎ ইচ্ছা
C
শর্তহীন আদেশ
D
নৈতিকতার জন্য দায়িত্ব
ইমানুয়েল কান্ট
-
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক ও নীতিবিজ্ঞানী।
-
তিনি নীতিবিদ্যায় “কর্তব্যের জন্য কর্তব্য” (Duty for duty’s sake) ধারণার প্রবর্তক, যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
তার নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি:
-
সৎ ইচ্ছা (Good Will)
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য (Duty for Duty’s Sake)
-
শর্তহীন আদেশ (Categorical Imperative)
উল্লেখ্য: “নৈতিকতার জন্য কর্তব্য” ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয়।
0
Updated: 1 month ago