অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে-
A
বিনিয়ােগ বৃদ্ধি পায়
B
দুর্নীতি দূর হয়
C
প্রতিষ্ঠানের সুনাম হয়
D
যােগাযােগ বৃদ্ধি পায়
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের গুরুত্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিমালা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত হয়। Good governance ensures transparency and accountability, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে।
-
এটি পুঁজি বিনিয়োগ এবং শিল্পকারখানা স্থাপনে আগ্রহ বৃদ্ধি করে। As a result, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়।
-
অর্থনীতি সরাসরি বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল। তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী হবে।

0
Updated: 14 hours ago
'On Liberty' গ্রন্থের লেখক কে?
Created: 2 weeks ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
টমাস হবস্
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
জেরেমি বেন্থাম
জন স্টুয়ার্ট মিল একজন বিশিষ্ট ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং উপযোগবাদের প্রবক্তা, যিনি দার্শনিক চিন্তাভাবনা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার চিন্তাধারা বিশেষ করে স্বাধীনতা, নীতি, ও সামাজিক ন্যায় নিয়ে কেন্দ্রিত।
তাদের রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে:
-
A System of Logic
-
Autobiography
-
Considerations on Representative Government
-
Essays on Some Unsettled Questions of Political Economy
-
Examination of Sir William Hamilton’s Philosophy
-
On Liberty
-
Principles of Political Economy
-
The Subjection of Women
-
Utilitarianism
উল্লেখযোগ্য বিষয়, জন স্টুয়ার্ট মিল তার বিখ্যাত গ্রন্থ On Liberty-তে উল্লেখ করেন যে, “মানুষের মৌলিক শক্তির বলিষ্ঠ, অব্যাহত ও বিভিন্নমুখী প্রকাশই স্বাধীনতা।”

0
Updated: 2 weeks ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 month ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 1 month ago
যে গুণের মাধ্যমে মানুষ 'ভুল' ও 'শুদ্ধ'-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে-
Created: 14 hours ago
A
সততা
B
সদাচার
C
কর্তব্যবােধ
D
মূল্যবােধ
মূল্যবোধ মানুষের আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, এবং এটি নির্ধারণ করে কীটি ভুল বা শুদ্ধ, কীটি ভালো বা মন্দ। মানুষের আচরণ পরিচালনায় মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড এবং নীতির ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার মাধ্যমে এই মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব। মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি সারাজীবন চলতে থাকে, তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণও পরিবর্তিত হয়।
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় মানুষের আচরণের মাধ্যমে এবং এটি মানুষের নৈতিক বিচার ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
-
এটি মানুষের আচরণ পরিচালনার মানদণ্ড এবং নীতি হিসেবে কাজ করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় ও কার্যকর করা যায়।
-
জন্ম থেকে মানুষ মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত ও বিকশিত হয়।

0
Updated: 14 hours ago