বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় ঘোষণা করা হয়েছে যে বিধানে-
A
১৮৬০ সালে প্রণীত দণ্ডবিধিতে
B
২০০৪ সালে প্রণীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে
C
২০১৮ সালে প্রণীত সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালাতে
D
উপরের সবগুলােতে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই আইনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে সর্বস্তরে প্রতিরোধ করা যায় এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
দণ্ডবিধি, ১৮৬০ বাংলাদেশে ফৌজদারী অপরাধ সংক্রান্ত দণ্ড প্রদান করার প্রধান আইন হিসেবে কার্যকর। এটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মৌলিক আইনগত কাঠামো সরবরাহ করে।
-
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী, দুর্নীতিকে সর্বস্তরে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ আইন অনুসারে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা দুর্নীতিমূলক কার্য প্রতিরোধ ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে।
-
সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের অসদাচরণ, দুর্নীতি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ‘গুরুদণ্ড’ এবং ‘লঘুদণ্ড’ নামে দুটি ধরনের দণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে।
এই তিনটি আইন ও বিধিমালা একত্রিতভাবে দুর্নীতিকে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং দেশের শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সহায়ক।

0
Updated: 14 hours ago
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন কত সালে প্রণয়ন করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
২০০৫ সালে
B
২০০৪ সালে
C
২০০৬ সালে
D
২০০৭ সালে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক):
-
দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ৯ মে দুদক আইন কার্যকর করা হয়, পূর্বেকার দুর্নীতি দমন ব্যুরোর স্থলে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়।
-
এটি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান।
-
কার্যালয়: ঢাকার সেগুনবাগিচা।
-
কমিশন গঠিত হয় একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন কমিশনার নিয়ে।
-
দুদক দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে সব ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
-
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর ধারা ৩৪-এর ক্ষমতাবলে কমিশন রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদনক্রমে ২০০৭ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করে।
উৎস: দুর্নীতি দমন কমিশন ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 weeks ago