জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুসারে ‘শুদ্ধাচার’ হচ্ছে-
A
শুদ্ধভাবে কার্যসম্পাদনের কৌশল
B
সরকারী কর্মকর্তাদের আচরণের মানদণ্ড
C
সততা ও নৈতিকতা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ
D
দৈনন্দিন কার্যক্রমে অনুসৃতব্য মানদণ্ড
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy of Bangladesh) প্রণয়ন করেছে। এই কৌশলটি সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করে।
এছাড়া, এতে শুদ্ধাচার (integrity) বলতে নৈতিকতা এবং সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা বোঝানো হয়েছে।
-
২০১২ সালে বাংলাদেশের সরকার দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে।
-
কৌশলটি রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে।
-
শুদ্ধাচার বলতে বোঝানো হয়েছে এমন আচরণ যা নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত।

0
Updated: 14 hours ago
“সুশাসন একটি জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে”— কে বলেছেন?
Created: 1 week ago
A
বারবার কোনাবল
B
মারটিন মিনোগ
C
ল্যান্ডেল মিল
D
জেফ্রি স্যাচস
সুশাসন
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
গুরুত্বপূর্ণ মতামত
-
মিশেল ক্যামডেসাস বলেছেন: “রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।”
-
ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) বলেন: “সুশাসন একটি জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং জনপ্রশাসন ও আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়।”

0
Updated: 1 week ago
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
Created: 3 weeks ago
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 3 weeks ago
কোনটিকে সমাজের ভালো-মন্দের মানদণ্ড বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
সাম্য
B
স্বাধীনতা
C
আইন
D
মূল্যবোধ
মূল্যবোধ (Moral Values):
মূল্যবোধকে সাধারণভাবে সমাজের ভালো-মন্দের মানদণ্ড বলা হয়।
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য ও সংজ্ঞা:
-
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
এটি হলো কতগুলো মনোভাবের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাস।
-
সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো শিক্ষাকেই মূল্যবোধ শিক্ষা বলা যায়।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে।
-
এটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
সমাজবিজ্ঞানী সংজ্ঞা:
-
আর. এম. উইলিয়াম (R. M. William) মতে,
“মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড, যার আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি পরিচালিত হয় এবং যার মানদণ্ডে সমাজস্থ মানুষের কার্যাবলীর ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”

0
Updated: 1 week ago