২য় শেল (L-শেল) সর্বাধিক কতটি ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে?
A
18
B
2
C
8
D
32
উত্তরের বিবরণ
বোর তত্ত্ব অনুযায়ী, পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথ বা শক্তিস্তরে অবস্থান করে। প্রতিটি শক্তিস্তরকে প্রধান শক্তিস্তর বলা হয় এবং এগুলোকে n দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতিটি ইলেকট্রন তার শক্তি অনুযায়ী নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান এবং শক্তি কম হলে কেন্দ্রে বেশি কাছে থাকে।
-
পরমাণুতে একাধিক প্রধান শক্তিস্তর থাকে।
-
প্রধান শক্তিস্তরসমূহ:
-
n = 1 → ১ম শক্তিস্তর বা K-শেল (নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে নিকটবর্তী)
-
n = 2 → ২য় শক্তিস্তর বা L-শেল
-
n = 3 → ৩য় শক্তিস্তর বা M-শেল
-
n = 4 → ৪র্থ শক্তিস্তর বা N-শেল
-
-
নিউক্লিয়াস থেকে শেলগুলোর দূরত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়, আর দূরত্ব যত বেশি, শক্তি তত বেশি।
-
ইলেকট্রন সর্বদা কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান করতে চায়, তবে শক্তি শোষণের মাধ্যমে উচ্চ শক্তি স্তরে যেতে পারে।
-
প্রতিটি শেলের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন সংখ্যা 2n² দ্বারা নির্ধারিত।
-
১ম শেল (K-শেল, n = 1): 2 × (1)² = 2 ইলেকট্রন
-
২য় শেল (L-শেল, n = 2): 2 × (2)² = 8 ইলেকট্রন
-
৩য় শেল (M-শেল, n = 3): 2 × (3)² = 18 ইলেকট্রন
-
৪র্থ শেল (N-শেল, n = 4): 2 × (4)² = 32 ইলেকট্রন
-

0
Updated: 14 hours ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি যৌগিক পদার্থ?
Created: 14 hours ago
A
লোহা
B
পানি
C
সোনা
D
রূপা
পদার্থকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ। এদের গঠন ও বৈশিষ্ট্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
মৌলিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে আর কোনো নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, লোহা—এগুলোকে ভাঙলেও কেবল তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র কণাই পাওয়া যাবে।
-
আরও উদাহরণ: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি।
-
এখন পর্যন্ত ১১৮টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং বাকিগুলো গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মৌল।
-
মানবদেহে মোট ২৬ ধরনের মৌল বিদ্যমান।
যৌগিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌল পাওয়া যায় তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ:
-
পানি (H₂O) ভাঙলে পাওয়া যায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
-
চক (CaCO₃) ভাঙলে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন।
-
-
যৌগে মৌলসমূহের অনুপাত সবসময় স্থির থাকে।
-
যেমন, পানি ভাঙলে সবসময় দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন (২:১) পাওয়া যায়।
-
-
যৌগের ধর্ম মৌলগুলোর ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
যেমন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উভয়ই গ্যাসীয় পদার্থ, কিন্তু তাদের যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।
-

0
Updated: 14 hours ago