প্রাথমিক কোষের উদাহরণ কোনটি?
A
ড্যানিয়েল কোষ
B
লেড সঞ্চয়ী কোষ
C
লেড-এসিড স্টোরেজ কোষ
D
নিকেল অক্সাইড সঞ্চয়ী কোষ
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ রাসায়নিক কোষ হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের কোষ যেখানে রাসায়নিক জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি সরাসরি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এটি মূলত দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত।
তড়িৎ রাসায়নিক কোষ
-
রাসায়নিক জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ফলে রাসায়নিক শক্তি থেকে তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।
-
স্বতঃস্ফূর্ততার ভিত্তিতে এটি দুই ভাগে বিভক্ত:
১. প্রাথমিক কোষ (Primary Cell)
-
যে কোষ নিজের ভেতরের রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহার করে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বজায় রাখে তাকে প্রাথমিক কোষ বলে।
-
উদাহরণ: ড্যানিয়েল কোষ, শুষ্ক কোষ (Dry Cell) ইত্যাদি।
২. সেকেন্ডারি কোষ বা সঞ্চয়ী কোষ (Secondary Cell)
-
এই কোষে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি হিসেবে সঞ্চিত রাখা হয়। পরে সেই সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তিকে পুনরায় বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
-
উদাহরণ: লেড-এসিড স্টোরেজ কোষ, নিকেল অক্সাইড সঞ্চয়ী কোষ, লেড সঞ্চয়ী কোষ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ-
Created: 3 weeks ago
A
একই হয়
B
বেশি হয়
C
কম হয়
D
খুব কম হয়
- বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
- ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফুল স্পিডে বা আস্তে যেভাবেই ঘুরানো হউক না কেন পাওয়ার একই খরচ হয়, কারণ ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ইন্ডাকটর দ্বারা তৈরি।
- ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের গতি কমে কিন্তু ইন্ডাকটর উত্তপ্ত হয়, এই উত্তাপের কারণে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়।
- আবার ইলেকট্রনিক রেগুলেটরের বেলায় ভিন্ন, এটি একটি ভেরিয়েবল রেজিস্টর যা তৈরি হয় থাইরিস্টর ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে।
- এতে উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারণে রেগুলেটর লসও খুবি নগন্য হয়, ফলে ফ্যানের গতি কমালে পাওয়ার কম খরচ হবে এবং ফ্যানের গতি বাড়ালে পাওয়ার খরচ বাড়বে।
- তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
উৎস: সাধারন বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 weeks ago
QR কোডে ব্যবহৃত হয় -
Created: 1 month ago
A
তড়িৎ চৌম্বকত্ব
B
রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি
C
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং
D
অপটিক্যাল রিডিং
QR কোডে তথ্য সংরক্ষণ ও পড়ার জন্য অপটিক্যাল রিডিং ব্যবহৃত হয়। এটি এক ধরনের বিশেষ বারকোড, যা তথ্যকে দ্রুত এবং সহজভাবে স্ক্যান করার সুযোগ দেয়। নিচে এর সংজ্ঞা, ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্যগুলো দেওয়া হলো।
-
QR কোড হলো একটি দুই-মাত্রিক (2D) বারকোড, যা ছোট কালো ও সাদা বর্গক্ষেত্র দিয়ে তৈরি।
-
প্রতিটি স্কোয়ারে তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যান্য স্ক্যানার দ্বারা সহজেই পড়া যায়।
-
কালো-সাদা বর্গক্ষেত্রে শুধু সংখ্যা বা English alphabets নয়, বরং Japanese Kanji ও অন্যান্য non-Latin অক্ষরও সংরক্ষণ করা যায়।
QR কোডের ব্যবহার:
-
প্রথমে এটি তৈরি করা হয়েছিল automobile parts tracking এর জন্য।
-
বর্তমানে এটি advertisement, ticketing, product tracking সহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
QR কোড স্ক্যান ও বৈশিষ্ট্য:
-
QR কোড স্ক্যান করতে সাধারণত স্মার্টফোন ক্যামেরা বা laser scanner ব্যবহার করা হয়।
-
বিশেষ software স্ক্যান করা তথ্যকে ডিকোড করে ইউজারের সামনে উপস্থাপন করে।
-
সবচেয়ে বড় QR কোড Version 40, যার সাইজ 177 × 177 pixels। আর সবচেয়ে ছোট Version 1, যার সাইজ 21 × 21 pixels।
-
Version 40 কোডে প্রায় 7,089 digits অথবা 4,296 alphanumeric characters সংরক্ষণ করা যায়।
-
অনেক স্মার্টফোনে built-in QR reader থাকে, ফলে এগুলো advertising এবং promotion-এ সহজেই ব্যবহার করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
মোলার দ্রবণ বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবের এক গ্রাম দ্রবীভূত থাকে
B
প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবের এক মোল দ্রবীভূত থাকে
C
প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবের এক কেজি দ্রবীভূত থাকে
D
প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবের এক মোল লিটার দ্রবীভূত থাকে
মোলার দ্রবণ হলো এমন একটি দ্রবণ যেখানে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার আয়তনের মধ্যে কোনো দ্রবের এক মোল পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত থাকে। এটি দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ধারণের একটি আদর্শ পদ্ধতি।
মোলার দ্রবণ সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতি লিটারে দ্রবীভূত দ্রবের পরিমাণ যত বেশি, দ্রবণ তত বেশি মোলারিটি (M) ধারণ করে।
-
মোলার দ্রবণকে সাধারণত M দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
দ্রবীভূত দ্রবের পরিমাণ বিভিন্ন এককে প্রকাশ করা যায়, যেমন: গ্রাম, মোল, গ্রাম-অণু, গ্রাম-তুল্যভর ইত্যাদি।
-
ল্যাবরেটরিতে দ্রবণ প্রস্তুতের বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও, মোলারিটি হলো দ্রবণের ঘনমাত্রা প্রকাশের সবচেয়ে মানক পদ্ধতি।
0
Updated: 1 month ago