প্রাথমিক কোষের উদাহরণ কোনটি?
A
ড্যানিয়েল কোষ
B
লেড সঞ্চয়ী কোষ
C
লেড-এসিড স্টোরেজ কোষ
D
নিকেল অক্সাইড সঞ্চয়ী কোষ
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ রাসায়নিক কোষ হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের কোষ যেখানে রাসায়নিক জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি সরাসরি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এটি মূলত দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত।
তড়িৎ রাসায়নিক কোষ
-
রাসায়নিক জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ফলে রাসায়নিক শক্তি থেকে তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।
-
স্বতঃস্ফূর্ততার ভিত্তিতে এটি দুই ভাগে বিভক্ত:
১. প্রাথমিক কোষ (Primary Cell)
-
যে কোষ নিজের ভেতরের রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহার করে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বজায় রাখে তাকে প্রাথমিক কোষ বলে।
-
উদাহরণ: ড্যানিয়েল কোষ, শুষ্ক কোষ (Dry Cell) ইত্যাদি।
২. সেকেন্ডারি কোষ বা সঞ্চয়ী কোষ (Secondary Cell)
-
এই কোষে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি হিসেবে সঞ্চিত রাখা হয়। পরে সেই সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তিকে পুনরায় বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
-
উদাহরণ: লেড-এসিড স্টোরেজ কোষ, নিকেল অক্সাইড সঞ্চয়ী কোষ, লেড সঞ্চয়ী কোষ ইত্যাদি।

0
Updated: 14 hours ago
বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন দান করার পর কী হয়?
Created: 14 hours ago
A
নিজেই বিজারিত হয়
B
নিজেই জারিত হয়
C
নিজে শক্তিশালী হয়
D
কোনো পরিবর্তন হয় না
বিজারক ও জারক পদার্থ হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মূল অংশ, যা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান নির্ধারণ করে।
বিজারক পদার্থ (Reductant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে, তাকে বিজারক বা রিডাকট্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন দান করার পর নিজে জারিত হয়।
-
ইলেকট্রন দানের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন (H₂), Li, Na, K, Rb, Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂।
জারক পদার্থ (Oxidant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিড্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের পর নিজে বিজারিত হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
-
উদাহরণ: SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂।
বিশেষ মন্তব্য
-
SO₂ একই সাথে জারক এবং বিজারক হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো ব্যবহার হয়, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় দ্রবণে বিজারক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 14 hours ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 1 week ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 3 weeks ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago