নিচের কোনটি যৌগিক পদার্থ?
A
লোহা
B
পানি
C
সোনা
D
রূপা
উত্তরের বিবরণ
পদার্থকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ। এদের গঠন ও বৈশিষ্ট্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
মৌলিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে আর কোনো নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, লোহা—এগুলোকে ভাঙলেও কেবল তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র কণাই পাওয়া যাবে।
-
আরও উদাহরণ: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি।
-
এখন পর্যন্ত ১১৮টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং বাকিগুলো গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মৌল।
-
মানবদেহে মোট ২৬ ধরনের মৌল বিদ্যমান।
যৌগিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌল পাওয়া যায় তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ:
-
পানি (H₂O) ভাঙলে পাওয়া যায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
-
চক (CaCO₃) ভাঙলে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন।
-
-
যৌগে মৌলসমূহের অনুপাত সবসময় স্থির থাকে।
-
যেমন, পানি ভাঙলে সবসময় দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন (২:১) পাওয়া যায়।
-
-
যৌগের ধর্ম মৌলগুলোর ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
যেমন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উভয়ই গ্যাসীয় পদার্থ, কিন্তু তাদের যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।
-
0
Updated: 1 month ago
কোন তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিণত হয়?
Created: 1 month ago
A
০° C
B
৪° C
C
৩৩° C
D
১০০° C
পানির ধর্ম (Properties of Water)
-
পানির ঘনত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
-
৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বাধিক।
-
০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিণত হয়।
-
১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি বাষ্পে পরিণত হয়।
-
এই তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব ১ গ্রাম/সি.সি. বা ১০০০ কেজি/মিটার³।
-
১ কিউবিক মিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।
-
৭৬০ মিমি পারদ চাপে পানি ১০০° সেলসিয়াসে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পিকো উপসর্গটি কোন মান নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
10-9
B
10-12
C
10-6
D
10-15
- পিকো (pico) উপসর্গটির মান হচ্ছে 10-12 ।
উপসর্গ বা গুণিতক (Prefix):
- বিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞান চর্চা করার জন্য নানা কিছু পরিমাপ করতে হয়।
- কখনো হয়তো গ্যালাক্সির দৈর্ঘ্য মাপতে হয় (6 × 1024 m), আবার কখনো একটা নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধ মাপতে হয় (1×10-15 m); দূরত্বের মাঝে এই বিশাল পার্থক্য মাপার জন্য সব সময়েই একই ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তাই আন্তর্জাতিকভাবে কিছু SI উপসর্গ বা গুণিতক (Prefix) তৈরি করে নেওয়া হয়েছে।
- এই গুণিতক থাকার কারণে একটা ছোট উপসর্গ লিখে অনেক বড় কিংবা অনেক ছোট সংখ্যা বোঝাতে পারা যায়।
- কিছু উপসর্গ নিচের টেবিলে দেখানো হয়েছে-

উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গ্যালভানাইজিং-এর মূল উদ্দেশ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ধাতুকে চকচকে করা
B
ধাতুকে শক্তিশালী করা
C
ধাতুর ক্ষয় রোধ করা
D
ধাতুর রং পরিবর্তন করা
ধাতুর ক্ষয় রোধ করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে গ্যালভানাইজিং, ইলেকট্রোপ্লেটিং এবং পেইন্টিং অন্যতম। এই প্রক্রিয়াগুলো ধাতুকে বাতাস, পানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক পরিবেশ থেকে রক্ষা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
-
গ্যালভানাইজিং:
-
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে জিংক বা দস্তা ব্যবহার করা হয়, যার অন্যতম হলো গ্যালভানাইজিং।
-
লোহার তৈরি দ্রব্যের উপর দস্তার পাতলা আস্তরণ দেওয়াকে গ্যালভানাইজেশন বলা হয়।
-
জিংকের আবরণ লোহাকে বাতাসের অক্সিজেন ও পানি থেকে রক্ষা করে, ফলে মরিচা পড়ে না।
-
দস্তার পরিবর্তে টিন দিয়ে ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধ করা যায়।
-
-
ইলেকট্রোপ্লেটিং:
-
তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর পাতলা আবরণ তৈরির প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলা হয়।
-
সাধারণত নিকেল, ক্রোমিয়াম, টিন, সিলভার ও সোনা দিয়ে আবরণ তৈরি করা হয়।
-
ধাতুর ক্ষয় রোধের পাশাপাশি বস্তুটি আকর্ষণীয় ও চকচকে হয়।
-
খাবারের কৌটা, সাইকেল ইত্যাদির লোহার অংশে টিনের ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়।
-
-
পেইন্টিং:
-
ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধে পেইন্টিং বা রং করাও কার্যকর।
-
বাসার রেফ্রিজারেটর, আলমারি, গাড়ি ও স্টিলের আসবাবপত্রের ক্ষয় রোধে পেইন্ট ব্যবহার করা হয়।
-
পেইন্ট সময়ের সঙ্গে নষ্ট হয়ে গেলে দ্রুত পুনরায় রং করা উচিত।
-
0
Updated: 1 month ago