পিভিসি পাইপ তৈরির জন্য কোন ধরনের মনোমার ব্যবহৃত হয়?
A
ফিনাইল ক্লোরাইড
B
নাইলন
C
ইথিলিন
D
ভিনাইল ক্লোরাইড
উত্তরের বিবরণ
পলিমার হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একধরনের পদার্থ, যা অনেক ছোট ছোট মনোমার অণু একত্রে যুক্ত হয়ে তৈরি হয়। পলিমার দিয়ে তৈরি বস্তু যেমন—পলিথিন ব্যাগ, পিভিসি পাইপ, সুইচ বোর্ড, কাপড় ও রাবার আমাদের জীবনকে সহজ করেছে।
পলিমার সম্পর্কিত তথ্য
-
পলিমার (Polymer) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ পলি (Poly) অর্থাৎ “অনেক” এবং মেরোস (Meros) অর্থাৎ “অংশ” থেকে।
-
ছোট ছোট মনোমার অণু পরপর যুক্ত হয়ে বড় আকারের অণু গঠন করলে সেটিকে পলিমার বলা হয়।
-
যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয় তাকে মনোমার (Monomer) বলে।
-
পলিথিন ব্যাগ হলো ইথিলিন নামক মনোমার থেকে তৈরি এক ধরনের পলিমার।
-
পিভিসি পাইপ (PVC) তৈরি হয় ভিনাইল ক্লোরাইড মনোমার থেকে।
-
সব পলিমার একক মনোমার থেকে তৈরি হয় না; একাধিক মনোমার থেকেও পলিমার তৈরি হতে পারে।
-
উদাহরণ: বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডে ব্যবহৃত ব্যাকেলাইট, যা গঠিত হয় ফেনল ও ফরমালডিহাইড নামক দুটি মনোমার থেকে।
-
একইভাবে, মেলামাইনের থালা-বাসন হলো মেলামাইন রেজিন নামক পলিমার, যা মেলামাইন ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক পলিমার
-
পাট, সিল্ক, সুতি কাপড়, রাবার ইত্যাদি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং এগুলোই হলো প্রাকৃতিক পলিমার।
কৃত্রিম পলিমার
-
মেলামাইন, রেজিন, ব্যাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিন প্রভৃতি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না; এগুলো শিল্পকারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
’পঞ্চম ড্রাগনের’ দেশ বলা হয় কোন দেশকে?
Created: 1 month ago
A
ইরান
B
জাপান
C
কানাডা
D
তাইওয়ান
ঠিক আছে, তথ্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত। সংক্ষেপে ভৌগলিক উপনামগুলো:
-
সোনালী প্যাগোডার দেশ: মিয়ানমার
-
লিলি ফুলের দেশ: কানাডা
-
ক্যাঙ্গারুর দেশ: অস্ট্রেলিয়া
-
সিল্ক রুটের দেশ: ইরান
-
মার্বেলের দেশ: ইতালি
-
পঞ্চম ড্রাগনের দেশ: তাইওয়ান
-
তামার দেশ: জাম্বিয়া
-
পিরামিডের দেশ: মিশর
-
প্রাচীরের দেশ: চীন
-
ভূমিকম্পের দেশ: জাপান
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গ্যাসের পরমশূন্য তাপমাত্রা নির্ভর করে-
Created: 1 month ago
A
বাহ্যিক বলের উপর
B
গ্যাসের ভর ও ঘনত্বের উপর
C
গ্যাসের প্রকৃতি ও চাপের উপর
D
কোনোটিই নয়
পরমশূন্য তাপমাত্রা হলো সেই তাপমাত্রা, যেখানে গ্যাসের আয়তন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং অণুসমূহের স্থানান্তর গতি শূন্যে নেমে আসে। এটি গ্যাসের প্রকৃতি বা চাপের উপর নির্ভরশীল নয়। পরমশূন্য তাপমাত্রার বিষয়ক প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
পরমশূন্য তাপমাত্রা হলো -273°C।
-
এই তাপমাত্রায় গ্যাসের স্থানান্তর গতি শূন্য হয়ে যায় এবং অণুসমূহ একেবারে স্তব্দ থাকে।
-
অণুসমূহ একে অপরের অত্যন্ত নিকটে অবস্থান করে, ফলে গ্যাসের আয়তন খুবই কমে যায়।
-
পরমশূন্য তাপমাত্রায় কম্পন গতির জন্য পদার্থে থাকা অবশিষ্ট শক্তিকে শূন্য বিন্দু শক্তি বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
আলোকবর্ষ ব্যবহার করে কী পরিমাপ করা হয়?
Created: 2 months ago
A
দূরত্ব
B
সময়
C
ভর
D
ওজন
আলোক বর্ষ
-
আলোক বর্ষ (Light Year) হলো দূরত্ব মাপার একক, যা বিশেষ করে জ্যোতির্বিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
-
এক আলোক বর্ষ মানে হলো, আলো এক বছরে যতদূর চলে, সেই দূরত্ব।
-
এর মান প্রায় ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার বা ৫.৮৮ ট্রিলিয়ন মাইল।
• অন্যান্য এককগুলোর তুলনা:
-
গ্রাম: ভরের একক।
-
নিউটন: ওজন বা বল পরিমাপের একক।
-
সেকেন্ড: সময় পরিমাপের একক।
অর্থাৎ, আলোক বর্ষ শুধু দূরত্ব মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়, ওজন, ভর বা সময়ের জন্য নয়।
উৎসঃ পদার্থবিজ্ঞান (দ্বিতীয় পত্র), একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago