হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে কোন কণা পাওয়া যায়?
A
ইলেকট্রন
B
পজিট্রন
C
প্রোটন
D
নিউট্রন
উত্তরের বিবরণ
প্রোটন হলো পরমাণুর একটি মৌলিক কণিকা, যা সব মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রে (নিউক্লিয়াসে) অবস্থান করে এবং ধনাত্মক আধান বহন করে।
প্রোটন সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রোটনও ইলেকট্রনের মতো সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
এটি সবসময় পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক বিদ্যুৎবাহী কণা পাওয়া যায় তাকেই প্রোটন বলে।
-
প্রোটনের সংকেত হলো H+ অথবা P।
-
প্রোটনের আসল ভর প্রায় 1.67 × 10⁻²⁴ g।
-
প্রোটনের আধান হলো 1.60 × 10⁻¹⁹ C।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক ভর 1 একক।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক আধান +1।

0
Updated: 14 hours ago
নিচের কোনটি যৌগিক পদার্থ?
Created: 14 hours ago
A
লোহা
B
পানি
C
সোনা
D
রূপা
পদার্থকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ। এদের গঠন ও বৈশিষ্ট্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
মৌলিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে আর কোনো নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, লোহা—এগুলোকে ভাঙলেও কেবল তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র কণাই পাওয়া যাবে।
-
আরও উদাহরণ: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি।
-
এখন পর্যন্ত ১১৮টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং বাকিগুলো গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মৌল।
-
মানবদেহে মোট ২৬ ধরনের মৌল বিদ্যমান।
যৌগিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌল পাওয়া যায় তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ:
-
পানি (H₂O) ভাঙলে পাওয়া যায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
-
চক (CaCO₃) ভাঙলে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন।
-
-
যৌগে মৌলসমূহের অনুপাত সবসময় স্থির থাকে।
-
যেমন, পানি ভাঙলে সবসময় দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন (২:১) পাওয়া যায়।
-
-
যৌগের ধর্ম মৌলগুলোর ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
যেমন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উভয়ই গ্যাসীয় পদার্থ, কিন্তু তাদের যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।
-

0
Updated: 14 hours ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
খনিজ পদার্থের মধ্যে ধাতব পদার্থের উদাহরণ কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
মাইকা
B
লোহা
C
কোয়ার্টজ
D
খনিজ লবণ
খনিজ পদার্থ হলো প্রকৃতিতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এমন পদার্থ যা নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন ও ভৌত ধর্ম বহন করে।
খনিজ পদার্থ সম্পর্কিত তথ্য
-
এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে প্রায় ২৫০০ রকমের খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে।
-
খনিজ পদার্থ হতে পারে ধাতব বা অধাতব।
-
ধাতব খনিজ পদার্থ: লোহা (Fe), তামা (Cu), সোনা (Au), রূপা (Ag) ইত্যাদি।
-
অধাতব খনিজ পদার্থ: কোয়ার্টজ (Quartz), মাইকা (Mica), খনিজ লবণ ইত্যাদি।
-
কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি জৈব খনিজ পদার্থ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 14 hours ago