হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে কোন কণা পাওয়া যায়?
A
ইলেকট্রন
B
পজিট্রন
C
প্রোটন
D
নিউট্রন
উত্তরের বিবরণ
প্রোটন হলো পরমাণুর একটি মৌলিক কণিকা, যা সব মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রে (নিউক্লিয়াসে) অবস্থান করে এবং ধনাত্মক আধান বহন করে।
প্রোটন সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রোটনও ইলেকট্রনের মতো সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
এটি সবসময় পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক বিদ্যুৎবাহী কণা পাওয়া যায় তাকেই প্রোটন বলে।
-
প্রোটনের সংকেত হলো H+ অথবা P।
-
প্রোটনের আসল ভর প্রায় 1.67 × 10⁻²⁴ g।
-
প্রোটনের আধান হলো 1.60 × 10⁻¹⁹ C।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক ভর 1 একক।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক আধান +1।
0
Updated: 1 month ago
কোন জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসে আসে?
Created: 3 weeks ago
A
ডিজেল
B
পেট্রোল
C
অকটেন
D
সিএনজি
সালফার ডাই–অক্সাইড (SO₂) একটি বায়ুদূষক গ্যাস, যা মূলত সালফারযুক্ত জ্বালানি পুড়লে উৎপন্ন হয়। এই দিক থেকে ডিজেল হলো এমন একটি জ্বালানি যাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে, তাই এটি পুড়লে বাতাসে সালফার ডাই–অক্সাইড নির্গত হয়।
-
ডিজেল মূলত অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে তৈরি হয় এবং এতে সালফারের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। যখন এটি দহন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তখন সালফার অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে SO₂ গ্যাস তৈরি করে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
-
এই গ্যাস বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অম্লবৃষ্টি (acid rain) সৃষ্টি করে, যা মাটি, গাছপালা ও স্থাপত্যের ক্ষতি সাধন করে।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর, কারণ এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কাশি ও অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।
অন্য বিকল্পগুলোর তুলনা করলে—
-
পেট্রোল ও অকটেন-এ সালফারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তাই এগুলো থেকে SO₂ নির্গমন সীমিত।
-
সিএনজি (Compressed Natural Gas) সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে পরিচিত; এতে মূল উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা পুড়লে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়, সালফার ডাই–অক্সাইড নয়।
অতএব, পরিবেশগত ও রাসায়নিক দিক থেকে স্পষ্ট যে ডিজেল পোড়ালে সালফার ডাই–অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
সঠিক উত্তর — ক) ডিজেল।
0
Updated: 3 weeks ago
মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
Created: 2 months ago
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 2 months ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago