সাবান তৈরির সময় উপজাত হিসেবে কী পাওয়া যায়?
A
লবণ
B
গ্লিসারিন
C
গ্রাফাইট
D
ডিটারজেন্ট
উত্তরের বিবরণ
সাবান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ পরিষ্কারক উপাদান, যা দেহ ও কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করার জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়। আধুনিক জীবনে সাবানের পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, ইমালশন ও পলিশের মতো অন্যান্য পরিষ্কারকও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাবান সম্পর্কিত তথ্য
-
কাপড় কাচার সাবান মূলত সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa) দ্বারা গঠিত।
-
শেভিং ফোম বা জেলে থাকে পটাশিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COOK)।
-
কাপড় কাচার সোডা হিসেবে ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম কার্বোনেট (Na2CO3)।
-
সাবান আসলে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ।
-
সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো তেল বা চর্বি।
-
তেল বা চর্বিকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) অথবা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH)-এর দ্রবণ দ্বারা আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে যথাক্রমে সোডিয়াম সাবান বা পটাশিয়াম সাবান উৎপন্ন হয়।
-
সাবান উৎপাদনের সময় উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় গ্লিসারিন।
0
Updated: 1 month ago
বর্তনীতে কত ধরনের রোধ ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
এক
B
দুই
C
তিন
D
চার
রোধ (Resistance)
-
কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করার ক্ষমতাকে রোধ বলা হয়।
-
বর্তনীতে সাধারণত দুই প্রকার রোধ ব্যবহার করা হয়:
১. স্থির রোধ (Fixed Resistance):
-
যার মান নির্দিষ্ট এবং পরিবর্তন করা যায় না।
২. পরিবর্তনশীল রোধ (Variable Resistance):
-
যার মান প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করা যায়।
-
বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ বা বিভব পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তনশীল রোধ ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন যন্ত্রটি উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তর করতে পারে?
Created: 2 months ago
A
ট্রান্সফরমার
B
ব্যাটারি
C
জেনারেটর
D
মোটর
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
যে যন্ত্র পর্যাবৃত্ত উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে, তাকে ট্রান্সফরমার বলে।
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র, যা কেবলমাত্র পরিবর্তী প্রবাহে (AC) কাজ করে।
-
এটি কাজ করে তড়িৎচৌম্বক আবেশের (Electromagnetic Induction) নীতির ওপর।
-
ট্রান্সফরমারের মধ্যে সাধারণত দুটি কুণ্ডলী থাকে—
১. প্রাইমারি কুণ্ডলী
২. সেকেন্ডারি কুণ্ডলী -
ট্রান্সফরমার প্রধানত দুই ধরনের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার → নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে।
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার → উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে রূপান্তর করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago