কোন ধাতুটি সাধারণত ইলেকট্রোপ্লেটিং-এ ব্যবহার করা হয় না?
A
ক্রোমিয়াম
B
নিকেল
C
সোনা
D
অ্যালুমিনিয়াম
উত্তরের বিবরণ
ধাতুকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করা ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রোপ্লেটিং ও গ্যালভানাইজিং গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ্ধতি।
ইলেকট্রোপ্লেটিং
-
তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর আরেকটি ধাতুর পাতলা আবরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া হলো ইলেকট্রোপ্লেটিং।
-
সাধারণত নিকেল, ক্রোমিয়াম, টিন, সিলভার ও সোনা দিয়ে এই আবরণ তৈরি করা হয়।
-
এতে ধাতু ক্ষয় থেকে রক্ষা পায় এবং বস্তু দেখতে আরও আকর্ষণীয় ও চকচকে হয়।
-
উদাহরণ: খাবারের কৌটা ও সাইকেলের ক্ষেত্রে লোহার উপর টিনের ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়।
-
তবে মনে রাখতে হবে, অ্যালুমিনিয়াম ধাতুটি সাধারণত ইলেকট্রোপ্লেটিং-এ ব্যবহার করা হয় না।
গ্যালভানাইজিং
-
লোহার জিনিসপত্রকে ক্ষয় থেকে বাঁচাতে এর উপর জিংক বা দস্তার পাতলা আস্তরণ দেওয়া হয়, যাকে গ্যালভানাইজিং বলে।
-
দস্তার এই আবরণ লোহাকে বাতাসের অক্সিজেন ও পানি থেকে রক্ষা করে, ফলে মরিচা পড়ে না এবং লোহা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
-
অনেক সময় দস্তার পরিবর্তে টিনের আবরণ দিয়েও ধাতুকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করা হয়।

0
Updated: 14 hours ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 1 week ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন যন্ত্রটি উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তর করতে পারে?
Created: 3 weeks ago
A
ট্রান্সফরমার
B
ব্যাটারি
C
জেনারেটর
D
মোটর
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
যে যন্ত্র পর্যাবৃত্ত উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে, তাকে ট্রান্সফরমার বলে।
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র, যা কেবলমাত্র পরিবর্তী প্রবাহে (AC) কাজ করে।
-
এটি কাজ করে তড়িৎচৌম্বক আবেশের (Electromagnetic Induction) নীতির ওপর।
-
ট্রান্সফরমারের মধ্যে সাধারণত দুটি কুণ্ডলী থাকে—
১. প্রাইমারি কুণ্ডলী
২. সেকেন্ডারি কুণ্ডলী -
ট্রান্সফরমার প্রধানত দুই ধরনের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার → নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে।
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার → উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে রূপান্তর করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
তড়িৎ প্রবাহ যদি এক দিকেই প্রবাহিত হয়, তবে সেটাকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
এসি প্রবাহ
B
ডিসি প্রবাহ
C
পরিবর্তী প্রবাহ
D
পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ
তড়িৎ প্রবাহ হলো ইলেকট্রনের প্রবাহ যা দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে পরিবাহী তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করলে সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ বিভব পার্থক্য থাকে, ততক্ষণ এই প্রবাহ চলতে থাকে। মূলত, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, সেটিই তড়িৎ প্রবাহ। প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত। তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার (A)।
-
প্রতি একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে কাজ সম্পন্ন হয়, তা হলো ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব পার্থক্য।
-
দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য না থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না, ফলে কোনো কাজও হবে না।
তড়িৎ প্রবাহের প্রকার:
(ক) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (ডিসি বা একমুখী প্রবাহ):
-
এই প্রবাহের দিক সময়সীমার সঙ্গে পরিবর্তন হয় না, সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
উৎস: তড়িৎ কোষ (ব্যাটারি) বা ডিসি জেনারেটর।
(খ) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (এসি বা পরিবর্তী প্রবাহ):
-
নির্দিষ্ট সময় অন্তর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়।
-
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বিদ্যুৎ পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ হিসেবে সরবরাহ করা হয়, কারণ এটি উৎপাদন ও সরবরাহে সহজ ও সাশ্রয়ী।
-
উৎস: জেনারেটর বা ডায়নামো।
-
বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago