কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ?
A
লবণ পানিতে দ্রবীভূত হওয়া
B
মোম গলানো
C
দুধ থেকে দই হওয়া
D
বরফ গলে পানি হওয়া
উত্তরের বিবরণ
পদার্থে পরিবর্তন মূলত দুই ধরনের হতে পারে—রাসায়নিক পরিবর্তন ও ভৌত পরিবর্তন। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠন ও বাহ্যিক রূপের পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে।
রাসায়নিক পরিবর্তন
-
এটি এমন পরিবর্তন যেখানে একটি পদার্থের অণুর গঠন পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন পদার্থ তৈরি হয়।
-
এ ধরনের পরিবর্তনের ফলে নতুন রাসায়নিক উপাদান বা যৌগ উৎপন্ন হয়।
-
উদাহরণ: লোহায় মরিচা ধরা, দুধ থেকে দই হওয়া, গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৃদ্ধি, ফল পাকলে লাল বা হলুদ হওয়া ইত্যাদি।
ভৌত পরিবর্তন
-
এটি এমন পরিবর্তন যেখানে পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে, তবে বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
-
এ ক্ষেত্রে পদার্থের রূপ, আকার, অবস্থান বা অবস্থার পরিবর্তন হয়, কিন্তু মৌলিক বৈশিষ্ট্য একই থাকে।
-
উদাহরণ: পানিকে তাপ দিয়ে বাষ্পে রূপান্তর করা, লবণ পানিতে দ্রবীভূত হওয়া, বরফ গলে পানি হওয়া, মোম তাপে গলে যাওয়া ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি এশিয়ার বৃহত্তম মরুভূমি?
Created: 1 month ago
A
মোজাবে মরুভূমি
B
গোবি মরুভূমি
C
থর মরুভূমি
D
ডেকান মরুভূমি
গোবি মরুভূমি
গোবি মরুভূমি এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মরুভূমি। এটি উত্তর ও উত্তরপূর্ব চীন এবং দক্ষিণ মঙ্গোলিয়া অংশে অবস্থিত। গোবি মূলত পাথুরে ও খরাময় মরুভূমি, যেখানে বালির তুলনায় পাথর এবং ছোট-বড় কঙ্কর বেশি দেখা যায়। অধিকাংশ অংশ সমতল থেকে সামান্য উঁচু বা পার্বত্য এলাকা নিয়ে গঠিত।
বিখ্যাত মরুভূমির অবস্থান:
-
থর মরুভূমি: ভারত ও পাকিস্তান
-
মোজাবে মরুভূমি: যুক্তরাষ্ট্র
-
সাহারা মরুভূমি: আফ্রিকা
-
গোবি মরুভূমি: চীন ও মঙ্গোলিয়া
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অপটিক্যাল ফাইবারের অভ্যন্তরীণ অংশকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
ক্ল্যাড
B
শেল
C
কোর
D
রিফ্লেক্টর
অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু কাচের তন্তু যা বর্তমানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক তারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে তথ্য বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হতো, সেখানে এখন আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। মুক্ত অবস্থায় আলো সরলরেখায় চলে, কিন্তু ফাইবারের ভিতরে আলো আটকা পড়ে থাকে, তাই ফাইবারকে ঘুরিয়ে বা পেঁচিয়ে যেকোনো দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
-
অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতরের অংশকে কোর (core) এবং বাইরের অংশকে ক্ল্যাড (clad) বলা হয়।
-
উভয় অংশই একই কাচের তৈরি হলেও কোরের প্রতিসরণাঙ্ক ক্ল্যাডের চেয়ে বেশি।
-
এ কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলো কোরের মধ্যে আটকা পড়ে বহু দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়।
-
আলোর শোষণ ফাইবারে খুবই কম হওয়ায় আলো শত শত কিলোমিটার দূরে প্রেরণ করা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোতে শোষণ বেশি হওয়ায় ফাইবারে সাধারণত লম্বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি যৌগিক পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
লোহা
B
পানি
C
সোনা
D
রূপা
পদার্থকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ। এদের গঠন ও বৈশিষ্ট্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
মৌলিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে আর কোনো নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, লোহা—এগুলোকে ভাঙলেও কেবল তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র কণাই পাওয়া যাবে।
-
আরও উদাহরণ: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি।
-
এখন পর্যন্ত ১১৮টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং বাকিগুলো গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মৌল।
-
মানবদেহে মোট ২৬ ধরনের মৌল বিদ্যমান।
যৌগিক পদার্থ
-
যে পদার্থকে ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌল পাওয়া যায় তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ:
-
পানি (H₂O) ভাঙলে পাওয়া যায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
-
চক (CaCO₃) ভাঙলে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন।
-
-
যৌগে মৌলসমূহের অনুপাত সবসময় স্থির থাকে।
-
যেমন, পানি ভাঙলে সবসময় দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন (২:১) পাওয়া যায়।
-
-
যৌগের ধর্ম মৌলগুলোর ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
যেমন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উভয়ই গ্যাসীয় পদার্থ, কিন্তু তাদের যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।
-
0
Updated: 1 month ago