জোট নিরপেক্ষ দেশসমূহের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
A
দিল্লি
B
কায়রো
C
বেলগ্রেড
D
জাকার্তা
উত্তরের বিবরণ
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM)
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, সংক্ষেপে NAM (Non-Aligned Movement), একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা মূলত উন্নয়নশীল ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থ ও ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব যখন দুটি প্রধান শক্তিশালী জোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে—একদিকে পুঁজিবাদী দেশগুলোর ন্যাটো এবং অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ওয়ারশ জোট—তখন নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা কিছু দেশ এই নতুন আন্দোলনের সূচনা করে।
প্রতিষ্ঠা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এই আন্দোলনের ধারণার বীজ বপিত হয় ১৯৫৫ সালের ১৮-২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুংয়ে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে।
এরপর ১৯৬১ সালের ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে NAM আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনেই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন একটি সুসংগঠিত রূপ পায়।
প্রাথমিক উদ্যোক্তারা
NAM-এর ভিত্তি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বিশ্বের পাঁচ বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতা:
-
ড. আহমদ সুকর্ণ – ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি
-
জওহরলাল নেহরু – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
-
মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো – যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট
-
জামাল আবদুল নাসের – মিসরের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট
-
ড. কাওয়ামে ন্ক্রুমা – ঘানার রাষ্ট্রপতি
সাম্প্রতিক ও অতীত সম্মেলন:
-
প্রথম শীর্ষ সম্মেলন: ১৯৬১ সালে বেলগ্রেডে
-
দ্বিতীয় সম্মেলন: ১৯৬৪ সালে মিসরের কায়রোতে
-
সর্বশেষ (১৯তম) সম্মেলন: ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় অনুষ্ঠিত হয়েছে
সংগঠন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
বর্তমান সদস্যসংখ্যা: ১২১টি দেশ
-
বর্তমান চেয়ারম্যান: ইলহাম ইলিয়েভ
NAM আজও বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রে।
উৎস: NAM ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM)-এর আগামী শীর্ষ সম্মেলন কোন শহরে অনুষ্ঠিত হবে?
Created: 3 months ago
A
দিল্লী
B
ডারবান
C
ঢাকা
D
জাকার্তা
চিহ্নিত উত্তরটি সঠিক নয়
NAM-এর পূর্ণরূপ হলো Non-Aligned Movement। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা মূলত শীতল যুদ্ধের সময় বিশ্ব রাজনীতির দুই প্রধান শক্তি ব্লক — পূর্ব ব্লক (সোভিয়েত ইউনিয়ন) ও পশ্চিম ব্লক (যুক্তরাষ্ট্র) — এর বাইরে থেকে নিরপেক্ষ থাকার জন্য গঠিত হয়। NAM-এর মূল লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে সহায়তা করা, যাতে তারা কোনো সুপারপাওয়ারের সঙ্গে সরাসরি জোট বাঁধতে না হয়।
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১২১টি দেশ, যার মধ্যে সর্বশেষ সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ সুদান।
বর্তমান চেয়ারম্যান: ইলহাম ইলিয়েভ।
NAM-এর উদ্দেশ্যসমূহ:
-
বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
-
বৈশ্বিক শক্তি ভারসাম্য রক্ষা করা।
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
-
আগ্রাসী বা উপনিবেশবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
-
সদস্য রাষ্ট্রদের মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থন বৃদ্ধি।
সাম্প্রতিক ঘটনা:
NAM-এর ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী ২০তম সম্মেলন ২০২৫ সালে উজবেকিস্তানে আয়োজন করা হবে।
তথ্যের উৎস: NAM-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত সমাধানের জন্য সম্প্রতি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
জেনেভা
B
প্যারিস
C
নিউইয়র্ক
D
লন্ডন
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। এই সম্মেলনটি মূলত স্থগিত থাকার পর নতুন তারিখে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
-
তারিখ: সম্মেলনটি আগামী ২৮-২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
-
পূর্বনির্ধারিত তারিখ: মূলত ১৭-২০ মে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে স্থগিত করা হয়।
-
স্থান: জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউইয়র্ক।
-
আয়োজক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আহ্বানে আয়োজন করা হয়েছে।
-
উদ্দেশ্য: জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেবে।
-
ফিলিস্তিনের অবস্থান: জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
জাতিসংঘে মর্যাদা: ফিলিস্তিনের বর্তমানে পর্যবেক্ষক মর্যাদা রয়েছে, তবে পূর্ণ সদস্যপদ এখনো নেই।
0
Updated: 1 month ago
ডিসেম্বর-২০২০ এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে কয়টি সমোঝতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
৩ টি
B
৫ টি
C
৭ টি
D
৯ টি
ডিসেম্বর ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এই সম্মেলনটি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছিল।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
সম্মেলনের ধরন: দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন
-
তারিখ: ডিসেম্বর ২০২০
-
স্বাক্ষরিত MoU সংখ্যা: ৭টি
-
উদ্দেশ্য: কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ।
তথ্যটি বর্তমান নয়; সর্বশেষ তথ্য জানতে Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখা উত্তম।
0
Updated: 1 month ago