তেঁতুলে কোন জৈব এসিড বিদ্যমান?
A
টারটারিক এসিড
B
ল্যাকটিক এসিড
C
কার্বনিক এসিড
D
ইথানোয়িক এসিড
উত্তরের বিবরণ
জৈব ও অজৈব এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় এবং এগুলোর ব্যবহার ও প্রভাবও ভিন্ন। নিচে এর প্রধান উদাহরণগুলো দেওয়া হলো।
জৈব এসিড
-
জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকে।
-
তেঁতুলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড।
-
টকদইয়ের মধ্যে থাকে ল্যাকটিক এসিড।
-
বাজারে কাঁচের বোতলে যে ভিনেগার পাওয়া যায় তা আসলে ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH)-এর ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
বাজারে পাওয়া সফট ড্রিংকস আসলে কার্বনিক এসিড-এর দ্রবণ।
-
পাকস্থলির দেয়াল থেকে উৎপন্ন হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক অণুজীব ধ্বংস করে। তবে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হয়। সে ক্ষেত্রে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) অথবা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় এসিডকে নিরপেক্ষ করার জন্য।
অজৈব এসিড
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ও সালফিউরিক এসিড (H2SO4) অজৈব এসিডের উদাহরণ।
-
এদের পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়।
-
কেবলমাত্র জলীয় দ্রবণ অবস্থায় এরা এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস-এর নিজস্ব কোনো এসিড ধর্ম নেই, তবে পানিতে দ্রবীভূত হলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি করে।

0
Updated: 14 hours ago
মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
Li
B
Na
C
Ca
D
Ag
পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহকে তাদের গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত হাইড্রোজেন ব্যতীত সমস্ত মৌল ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এদের বিশেষ ধর্ম হলো, পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করা।
-
প্রতিটি মৌল একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয় এবং আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2 এ থাকা মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল, তবে প্রতিটি দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে এবং এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের নামকরণ হয়েছে কারণ প্রকৃতিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে পাওয়া যায়।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metals)
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর মাত্র তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রুপা (Ag), সোনা (Au)।

0
Updated: 14 hours ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
বায়ু
B
শূন্য
C
পানি
D
লোহা
শব্দ তরঙ্গ (Sound Wave)
-
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ এটি বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন।
-
এটি একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই।
-
শব্দের গতি মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে:
-
কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি (যেমন ইস্পাত, লোহা)।
-
তরল পদার্থে কম (যেমন পানি)।
-
বায়বীয় পদার্থে সবচেয়ে কম।
-
শূন্য মাধ্যমে শব্দ চলতে পারে না।
-
-
শব্দের বেগ মাধ্যমের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভর করে।
-
শব্দের তীব্রতা তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে তীব্রতা বেশি, বিস্তার কম হলে তীব্রতা কম।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago