ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের কোন নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে?
A
ব্ৰহ্মপুত্র নদী
B
পদ্মা নদী
C
কর্ণফুলি নদী
D
মেঘনা নদী
উত্তরের বিবরণ
ভূমিকম্প হলো ভূ-পৃষ্ঠে সংঘটিত একটি আকস্মিক ও অস্থায়ী কম্পন, যা সাধারণত কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে থাকে। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
-
ভূমিকম্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং সাময়িকভাবে ভূ-পৃষ্ঠকে কাঁপিয়ে তোলে।
-
ভূমিকম্পের কারণে অনেক সময় নদীর course বা গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৭৮৭ সালে আসামে (Dauki Fault এ) একটি প্রবল ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছিল। এর প্রভাবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উঁচু হয়ে যায়, ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত?
Created: 2 months ago
A
কর্ণফুলী
B
হালদা
C
সাঙ্গু
D
মাতামুহুরী
ভূগোল
নদী গবেষণা ইনস্টিটীউট
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বিখ্যাত নদ-নদী খাল ও সমুদ্র বন্দর
ভূগোল ও পরিবেশ
ভূগোলের ধারণা
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র:
-
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র: হালদা নদী।
-
উৎপত্তি: খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ; কর্ণফুলীর উপনদী।
-
অবস্থান: চট্টগ্রাম জেলা; মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘোষিত মৎস্য অভয়াশ্রম।
-
হালদা নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা।
-
বৈশিষ্ট্য: বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী এবং এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র; সরাসরি রুই মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ হয়।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি নদীর প্রাথমিক অবস্থা?
Created: 1 month ago
A
ঊর্ধ্বগতি
B
নিম্নগতি
C
মধ্যগতি
D
সমগতি
নদীর গতি বা অবস্থাকে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য যেমন আয়তন, গভীরতা, ঢাল এবং স্রোতের বেগের ওপর ভিত্তি করে তিনটি ধাপে ভাগ করা যায়: ঊর্ধ্বগতি, মধ্যগতি এবং নিম্নগতি।
-
ঊর্ধ্বগতি (Youthful Stage/Upper Course):
-
এটি নদীর প্রাথমিক অবস্থা।
-
পর্বতের সেই অংশ থেকে নদী উৎপন্ন হয়ে সমভূমিতে পৌঁছানো পর্যন্ত অংশকে ঊর্ধ্বগতি বলা হয়।
-
ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয়সাধন।
-
নদী এই অবস্থায় স্থলভাগকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়কৃত পদার্থকে বহন করে।
-
ঢাল কমে গেলে বা হঠাৎ বেশি পরিমাণ পাথরের টুকরা নদীতে এলে নদী তা বহন করতে না পেরে সাময়িকভাবে হালকা সঞ্চয় করে।
-
0
Updated: 1 month ago