ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের কোন নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে?
A
ব্ৰহ্মপুত্র নদী
B
পদ্মা নদী
C
কর্ণফুলি নদী
D
মেঘনা নদী
উত্তরের বিবরণ
ভূমিকম্প হলো ভূ-পৃষ্ঠে সংঘটিত একটি আকস্মিক ও অস্থায়ী কম্পন, যা সাধারণত কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে থাকে। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
-
ভূমিকম্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং সাময়িকভাবে ভূ-পৃষ্ঠকে কাঁপিয়ে তোলে।
-
ভূমিকম্পের কারণে অনেক সময় নদীর course বা গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৭৮৭ সালে আসামে (Dauki Fault এ) একটি প্রবল ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছিল। এর প্রভাবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উঁচু হয়ে যায়, ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হতে শুরু করে।

0
Updated: 15 hours ago
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে কী বলে?
Created: 4 days ago
A
খাঁড়ি
B
দোয়াব
C
নদীর উৎস
D
নদীসংগম
নদী হলো একটি প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ যা উঁচু স্থান থেকে সমভূমি বা নিম্নভূমির দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো হ্রদ, জলাধার বা সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়। নদী ভূ-প্রকৃতি, কৃষি, পরিবহন ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
-
উঁচু পর্বত, মালভূমি বা উঁচু স্থান থেকে বৃষ্টি, প্রস্রবণ, হিমবাহ বা বরফ গলার পানির ক্ষুদ্র স্রোতধারা মিলিত হয়ে নদী গঠন করে।
-
নদীর উৎপত্তি স্থানের নাম নদীর উৎস।
-
নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে পতিত হয়, সেই স্থানকে মোহনা বলে।
-
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলে।
-
প্রবাহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলা হয়।
-
দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদীসংগম বলা হয়।
-
পর্বত বা হ্রদ থেকে উৎপন্ন ছোট নদীগুলো কোনো বড় নদীতে পতিত হলে তা বড় নদীর উপনদী বলে। উদাহরণ: বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া নদী যমুনা নদীর উপনদী।
-
মূল নদী থেকে যে সকল নদী বের হয়, তা শাখানদী নামে পরিচিত। উদাহরণ: বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই নদী পদ্মা নদীর শাখানদী।
নদী শুধুমাত্র পানি সরবরাহের উৎস নয়, এটি মাটির উর্বরতা, মাছধরা, পরিবহন ও বানিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নদীমাতৃক ভূ-প্রকৃতির কারণে নদীসমূহ দেশের অর্থনীতি, জীবন ও সংস্কৃতিতে অপরিসীম অবদান রাখে।

0
Updated: 4 days ago
'চিত্রা' নদী কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
বরিশাল
B
নড়াইল
C
কিশোরগঞ্জ
D
বগুড়া
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম ও অবস্থান এখানে তুলে ধরা হলো, যা জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্যের উপর ভিত্তি করে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
চিত্রা নদী নড়াইল জেলায় অবস্থিত
-
আড়িয়াল খাঁ নদী মাদারীপুর জেলায়
-
চেঙি নদী খাগড়াছড়ি জেলায়
-
ভৈরব নদী ঝিনাইদহ জেলায়
-
কীর্তনখোলা নদী বরিশাল জেলায়
-
বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকায়
-
গোমতী নদী কুমিল্লা জেলায়

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।

0
Updated: 1 month ago