বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির চ্যালেঞ্জ নয় কোনটি?
A
ঘন ঘন বন্যা
B
সমুদ্র দূষণ
C
ত্রুটিপূর্ণ সমুদ্র শাসন
D
উপরের কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
ব্লু ইকোনমি আসলে এমন এক ধরনের অর্থনীতি যা সমুদ্র সম্পদের উপর নির্ভরশীল। সমুদ্রের জলরাশি ও তলদেশের অজস্র সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়াই এর মূল লক্ষ্য।
এই ধারণা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, বরং পরিবেশ সুরক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের নিরাপত্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। নিচে ধাপে ধাপে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
-
Blue Economy ধারণাটি প্রথম দেন বেলজিয়ান অর্থনীতিবিদ Gunter Pauli।
-
তিনি প্রথম ১৯৯৪ সালে Blue Economy শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
২০১০ সালে তার The Blue Economy বইয়ে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
-
বৈশ্বিক গুরুত্ব লাভ করে ২০১২ সালের Rio+20 Conference-এ (২০-২২ জুন, রিও ডি জেনেরিও)।
-
World Bank এর মতে, Blue Economy হলো sustainable development নিশ্চিত করার জন্য marine environment রক্ষা করে সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহার। এটি শুধু economic growth নয়, বরং ecology ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার সঙ্গেও সম্পর্কিত।
-
বাংলাদেশ ২০১৪ সালে মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয় করার পর Bay of Bengal এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করে এবং Blue Economy তে বড় অংশীদার হয়।
-
বাংলাদেশের Delta Plan 2100-এ Blue Economy বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে Blue Economy Challenges হলো:
-
শক্তিশালী maritime policy-র অভাব
-
দুর্বল sea management
-
Marine pollution
-
অপরিকল্পিত coastal development
-
প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির অভাব
-
অপরিকল্পিত fishing practices
-
অপরিকল্পিত tourism development
প্রশ্নের অপশনগুলোর মধ্যে দেখা যায়, ‘ঘন ঘন বন্যা’ Blue Economy বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ নয়।

0
Updated: 14 hours ago
’শুভলং’ ঝরনা কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া

1
Updated: 1 month ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫ কবে জারি হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১ জানুয়ারি
B
১১ জানুয়ারি
C
১৯ জানুয়ারি
D
২১ মার্চ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও আইন
বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আইন এবং নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এর প্রধান কাঠামো হলো:
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা, জনগণের দুর্যোগ লাঘব করা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে দক্ষভাবে পরিচালনা করা।
-
এই আইন সংসদে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে পাস হয়।
-
২০১২ সালে একই সরকারের নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
আইনটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯ ধারা অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
এই নীতিমালা দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, মানবিক সহায়তা, পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়।
-
জারি তারিখ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫
-
ধরন: প্রজ্ঞাপন
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

1
Updated: 1 month ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হচ্ছে একটি-
Created: 3 weeks ago
A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 weeks ago