COP 26-এ COP মানে কী?
A
কনফারেন্স অব প্যারিস
B
কনফারেন্স অব দ্য পাওয়ার
C
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস
D
কনফারেন্স অব দ্য প্রটোকল
উত্তরের বিবরণ
The United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) হলো একটি বৈশ্বিক চুক্তি যা পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত হয়। নিচে এর মূল তথ্য তুলে ধরা হলো:
-
Adoption: UNFCCC গৃহীত হয় ১৯৯২ সালের ৩–১৪ জুন ব্রাজিলের Rio de Janeiro শহরে অনুষ্ঠিত The United Nations Conference on Environment and Development (Earth Summit) এ।
-
Entry into force: এটি কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালের ২১ মার্চ।
-
Membership: বর্তমানে এর ১৯৭টি দেশ অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত আছে।
-
Conference of Parties (CoP): চুক্তির বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর Conference of Parties (CoP) অনুষ্ঠিত হয়। এতে UNFCCC-তে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে।

0
Updated: 14 hours ago
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
২২° - ৩০’ ২০° - ৩৪’ দক্ষিণ অক্ষাংশে
B
৮০° - ৩১’ ৪০° - ৯০’ দ্রাঘিমাংশে
C
৩৪° - ২৫’ ৩৮’ উত্তর অক্ষাংশে
D
৮৮° ০১’ থেকে ৯২° ৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান পৃথিবীর মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। দেশের অবস্থান ২০°৩৪' উত্তর থেকে ২৬°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১' থেকে ৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
মধ্যবর্তী অবস্থানের কারণে কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে গেছে, ফলে দেশটি ক্রান্তীয় অঞ্চলের অংশ। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল এবং অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 1 month ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
কোন পর্যায়ে দুর্যোগের ক্ষতি মূল্যায়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
উদ্ধার পর্যায়ে
B
প্রভাব পর্যায়ে
C
সতর্কতা পর্যায়ে
D
পুনর্বাসন পর্যায়ে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
সাধারণভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায়—দুর্যোগের আগে ও পরে এমন সব পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়। যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তাই ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
নতুবা দুর্যোগে সবকিছু হারিয়ে মানুষের জীবন হয়ে ওঠে অত্যন্ত কষ্টকর। এজন্যই আজকের বিশ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য
১. দুর্যোগকালে জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি কমানো বা সম্ভব হলে এড়ানো।
২. ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ত্রাণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া।
৩. দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্র (Disaster Management Cycle)
এই চক্রকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
ক. দুর্যোগ-পূর্ব ঝুঁকি হ্রাস পর্যায়
খ. দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্যায়
‘‘পুনর্বাসন’’ বলতে বোঝায়—
-
ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত বা আরও উন্নত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
-
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং তাদের সংগঠিতভাবে সক্ষম করে তোলা।
-
প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করে তাদের জীবিকা নিশ্চিত করা।
-
ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু, মাছ ইত্যাদির চিকিৎসা ও খামার পুনর্গঠন করা।
-
পুকুর, খাল, নদী, জলাশয়ে মৃত প্রাণী ও ময়লা দ্রুত অপসারণ করা এবং পানি বিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
এলাকায় জমে থাকা জীবাণু, দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিবেশকে বিষাক্ততা থেকে মুক্ত রাখা।
উৎস: ভূগোল দ্বিতীয় পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago