কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ?
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
চুনাপাথর
C
বায়ু
D
কয়লা
উত্তরের বিবরণ
নবায়নযোগ্য এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো এদের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা ও প্রাপ্যতা। নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহার করা গেলেও শেষ হয় না, আর অনবায়নযোগ্য শক্তি একবার ব্যবহারের পর পুনরায় সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
-
Renewable Energy (নবায়নযোগ্য শক্তি):
-
এ ধরনের শক্তি reusable অর্থাৎ ব্যবহার শেষে আবার পাওয়া যায় এবং নিকট ভবিষ্যতে এর ঘাটতির সম্ভাবনা থাকে না।
-
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—সূর্যের আলো, বায়ু, নদীর বহমান পানি, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও ঢেউ, পৃথিবীর গভীরের উত্তপ্ত ম্যাগমা।
-
-
Non-Renewable Energy (অনবায়নযোগ্য শক্তি):
-
এ শক্তি once used, cannot be reproduced অর্থাৎ একবার শেষ হয়ে গেলে পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না।
-
এগুলো মূলত প্রাকৃতিক সম্পদ যা স্বল্প সময়ে পুনঃউৎপন্ন হয় না।
-
উদাহরণ: তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর মধ্যে কোন খাতে বেশি কর্মসংস্থান হয়?
Created: 2 months ago
A
নির্মাণ খাত
B
কৃষি খাত
C
সেবা খাত
D
শিল্প কারখানা খাত
খাতভিত্তিক কর্মসংস্থান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর অবদান ও কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:
কৃষি খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ১১.০২%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৪৫%
শিল্প খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৩৭.৯৫%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ১৭%
সেবা খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৫১.০৪%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৩৮%
বিশ্লেষণ
-
কর্মসংস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় খাত হলো কৃষি, কারণ এখানে জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নিয়োজিত।
-
অর্থনৈতিক অবদানে সবচেয়ে বড় খাত হলো সেবা খাত, যা দেশের মোট জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অংশ রাখে।
-
শিল্প খাত তুলনামূলকভাবে ছোট খাত হিসেবে জনশক্তি নিয়োগে হলেও, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 2 months ago
পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই কোন দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 2 months ago
A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
ঘূর্ণিঝড়
• পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়- ভূমিকম্প।
-----------------
• ভূমিকম্প:
- ভূ-অভ্যন্তরে আকস্মিক সৃষ্ট কম্পনের দরুণ আকস্মিকভাবে ভূমির যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
- কোন ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত ব্যতীত অর্থাৎ কার্যকর পূর্বাভাস ছাড়া সংঘটিত দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প।
- ভূমিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও ভূমিকম্প সংঘটনের পূর্বে সতর্কতা প্রাপ্তি এখনো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে,
- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
----------------------------------
• আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
- মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল), মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ (মধ্য অঞ্চল) এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল)।
- ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পাল্টে যায়।
যেমন, ১৭৮৭ সালে আসামে (ডাউকি ফন্ট) যে ভূমিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উচু হয় ফলে তার গতিপথ পাল্টে গিয়ে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
- ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 2 months ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 2 months ago