দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের কোন স্তরটি বেশি ব্যয়বহুল?
A
পূর্বপ্রস্তুতি
B
সাড়াদান
C
প্রশমন
D
পুনরুদ্ধার
উত্তরের বিবরণ
দুর্যোগ প্রশমন বলতে বোঝায় দুর্যোগের long-term impact কমানো এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় pre-disaster preparation বা পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়, কিন্তু সঠিক management এর মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো যায়।
-
Structural mitigation বা কাঠামোগত ব্যবস্থা যেমন বেরিবাঁধ নির্মাণ, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর হলেও এগুলো খুব ব্যয়বহুল। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এই খরচ বহন করা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
-
Non-structural mitigation যেমন জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রস্তুতি ইত্যাদি অল্প ব্যয়ে করা যায় এবং বাস্তবায়নও তুলনামূলক সহজ।
-
Mitigation হলো disaster management-এর মূল উপাদান, যা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Disaster management-এর প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
Disaster prevention (দুর্যোগ প্রতিরোধ)
-
Disaster mitigation (দুর্যোগ প্রশমন)
-
Disaster preparedness (পূর্বপ্রস্তুতি)
অতএব, দুর্যোগকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে এর pre-disaster stage-এই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হয়।
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পরপরই ব্যবস্থাপনার যে উপাদানগুলো কার্যকর হয়, সেগুলো হলো:
-
Response (সাড়াদান)
-
Recovery (পুনরুদ্ধার)
-
Development (উন্নয়ন)
আগে মনে করা হতো যে, শুধুমাত্র response বা সাড়াদানই disaster management। কিন্তু বর্তমানে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে mitigation, preparedness এবং prevention সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 14 hours ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোনটি তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল?
Created: 3 days ago
A
অকাঠামোগত প্রশমন ব্যবস্থা
B
নদী খনন
C
আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি
D
বেরিবাঁধ নির্মাণ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পুরোপুরি নির্মূল না করা গেলেও এর ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। সঠিক পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং প্রশমন ব্যবস্থার মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর ক্ষতি অনেকটাই কমানো যায়।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাধারণত কাঠামোগত ও অকাঠামোগত প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
-
কাঠামোগত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যেমন: বেরিবাঁধ নির্মাণ, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কার্যকর হলেও সবসময় উপযোগী নয়।
-
অকাঠামোগত প্রশমন ব্যবস্থা যেমন: গণসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং দরিদ্র দেশগুলোর জন্য বেশি উপযোগী।

0
Updated: 3 days ago
প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কোনটির অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
প্রতিরোধ
B
দুর্যোগ প্রস্তুতি
C
উন্নয়ন
D
সাড়াদান
প্রতিরোধ (Prevention)
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ব্যাপারে প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা বয়ে আনতে পারে।
-
দুর্যোগ প্রতিরোধের কাঠামোগত এবং অকাঠামোগত প্রশমনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কাঠামোগত প্রশমন:
-
বিভিন্ন নির্মাণ কার্যক্রম যথা বেড়িবাঁধ তৈরি, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পাকা ও মজবুত ঘরবাড়ি তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি বাস্তবায়ন।
-
কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন খুবই ব্যয়বহুল, যা অনেক দরিদ্র দেশের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য।
অকাঠামোগত প্রতিরোধ:
-
প্রশিক্ষণ, গণসচেতনতা বৃদ্ধি, পূর্বপ্রস্তুতি ইত্যাদি কার্যক্রম।
-
স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়নযোগ্য।

0
Updated: 2 weeks ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন বাংলাদেশে কত সালে পাস হয়?
Created: 3 weeks ago
A
২০০৭ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৫ সালে
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২:
-
প্রণয়ন: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২; লক্ষ্য: দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বিত ও কার্যকর করা।
-
অধিদপ্তর: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে।
-
উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় শক্তিশালী ও লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কাঠামো তৈরি।

0
Updated: 3 weeks ago