পাঁচসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন কে?
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
লর্ড বেন্টিংক
D
লর্ড ওয়েলেসলি
উত্তরের বিবরণ
পাঁচসালা বন্দোবস্ত ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বারা প্রবর্তিত হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। যেহেতু জমি বন্দোবস্তের নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল, জমিদাররা কৃষকদের প্রতি চরম নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা নিতেন শুধুমাত্র অর্থ আদায়ের জন্য, অথচ কৃষক বা জমির উন্নয়নের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে হেস্টিংস পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন। পরবর্তীতে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিস দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস পাঁচসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন।
-
মূল লক্ষ্য: রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা।
-
জমিদাররা নির্দিষ্ট সময়সীমার কারণে কৃষকদের উপর অত্যাচারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
কৃষক বা জমির উন্নয়নের প্রতি জমিদারদের কোনো আগ্রহ ছিল না।
-
হেস্টিংস জমিদারদের সঙ্গে পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
-
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিস দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন।

0
Updated: 19 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালে ৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
Created: 2 days ago
A
মেজর মীর শওকত আলী
B
মেজর জিয়াউর রহমান
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর কে এম শফিউল্লাহ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালীর পূর্বাংশ, বেলোনিয়া-বুলগের মুহুরী নদীর তীরে বিস্তৃত।
-
সদরদপ্তর: হরিণা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান; পরে মেজর রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হন
-
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা এবং নোয়াখালীর অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ; পরে মেজর এটিএম হায়দার
-
-
৩নং সেক্টর: উত্তরে শ্রীমঙ্গলের নিকট চূড়ামনকাঠি থেকে দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত
-
সদরদপ্তর: হেজামারা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ; পরে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান
-
-
৪নং সেক্টর: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট পর্যন্ত ১০০ মাইল এলাকা
-
সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত; পরে ক্যাপ্টেন এ রব
-
-
৫নং সেক্টর: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং পূর্বসীমা
-
সদরদপ্তর: বাঁশতলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
-
-
৬নং সেক্টর: রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
-
সদরদপ্তর: বুড়ি মাড়ি (বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একমাত্র)
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
-
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ
-
সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান
-
-
৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা
-
সদরদপ্তর: কল্যাণী
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম এ মঞ্জুর
-
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: বশিরহাট
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল; পরে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
-
-
১০নং সেক্টর: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল
-
১১নং সেক্টর: টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা
-
সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের
-

0
Updated: 2 days ago
দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন কে?
Created: 19 hours ago
A
ওয়ারেন হেস্টিংস
B
লর্ড বেন্টিংক
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড ডালহৌসি
দ্বৈত শাসন ছিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় প্রবর্তিত এক বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা কোম্পানি ও নবাবের মধ্যে ক্ষমতা বিভাজনের কারণে প্রশাসনিক জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।
-
রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন।
-
তিনি দেওয়ানি সনদের মাধ্যমে বাংলার সম্পদ লুণ্ঠনের একচেটিয়া ক্ষমতা লাভ করেন।
-
দিল্লি কর্তৃক কোম্পানিকে এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের ফলে সৃষ্টি হয় দ্বৈত শাসন।
-
এর ফলে কোম্পানি লাভ করে দায়িত্বহীন ক্ষমতা, আর নবাব পরিণত হন ক্ষমতাহীন শাসক।
-
নবাবের দায়িত্ব শুধু ষোলআনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
-
বাংলায় এর ফলে এক অভূতপূর্ব প্রশাসনিক জটিলতা এবং সারাদেশে সীমাহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান।

0
Updated: 19 hours ago
ইরাকের রাজধানী শহর-
Created: 1 day ago
A
কারবালা
B
আল-কাদিসিয়াহ
C
বাগদাদ
D
সুলিমানিয়া
ইরাক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি আরব দেশ, যা আরব বিশ্বের পূর্বতম অংশে অবস্থিত। এটি অক্ষাংশের দিক থেকে দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুলনীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটি ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং পারস্য উপসাগরের উত্তর প্রান্তে একটি ছোট উপকূলরেখা রয়েছে। রাজধানী বাগদাদ প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার কেন্দ্রস্থলে, টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত।
-
অবস্থান: দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আরব বিশ্বের পূর্বতম অংশ
-
সীমান্তবর্তী দেশসমূহ:
-
উত্তরে: তুরস্ক
-
পূর্বে: ইরান
-
পশ্চিমে: সিরিয়া ও জর্ডান
-
দক্ষিণে: সৌদি আরব ও কুয়েত
-
-
উপকূলরেখা: পারস্য উপসাগরের উত্তর প্রান্তে ৩৬ মাইল (৫৮ কিমি) দীর্ঘ
-
রাজধানী: বাগদাদ, টাইগ্রিস নদীর তীরে

0
Updated: 1 day ago