ইন্ডিগো কমিশন বা নীল কমিশন গঠিত হয় -
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৭ সালে
D
১৮৬৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
নীল বিদ্রোহ মূলত বাংলার কৃষকদের ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধের ঘটনা। ইংরেজরা উপমহাদেশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছিল এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এদেশের শাসক হয়ে ওঠে। তারা উর্বর জমিতে খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়, যার মধ্যে নীল অন্যতম। ১৭৭০ থেকে ১৭৮০ সালের মধ্যে বাংলায় নীল চাষ শুরু হয়। কৃষকরা যদি নীল চাষে রাজি না হতেন, তাদের উপর চরম অত্যাচার চালানো হতো। নীলের ব্যবসা তখন একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে ছিল এবং ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক নীল চাষ হতো। ১৮৫৯ সালে কৃষকরা নীলকরদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই নেতৃত্ব এতটাই সুসংগঠিত ছিল যে শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ১৮৬০ সালে সরকার নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন করে, যা নীলচাষের নিয়ম ও কৃষকের অধিকার নির্ধারণ করে। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে নীলচাষ করা বা না করা কৃষকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ‘ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট’ বাতিল করা হয়। এতে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
ইংরেজরা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাংলায় প্রবেশ এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে শাসক হয়ে ওঠে।
-
খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসলের দিকে মনোযোগ, যার মধ্যে নীল প্রধান।
-
১৭৭০–১৭৮০ সালের মধ্যে নীল চাষ শুরু।
-
চাষে রাজি না হলে কৃষকদের উপর চরম অত্যাচার।
-
নীল ব্যবসা একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে; ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক চাষ।
-
১৮৫৯ সালে কৃষকরা শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
নেতৃত্ব সুসংগঠিত হওয়ায় ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করে।
-
১৮৬০ সালে নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন এবং নীলচাষের নিয়ম নির্ধারণ।
-
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নীলচাষের ইচ্ছা কৃষকের উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট বাতিল।
-
নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
বাংলায় নীল চাষ বিলুপ্ত হলেও বিহারে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে।

0
Updated: 19 hours ago
'C' in CAMELS stands for -
Created: 4 days ago
A
Capital Shortage
B
Capital profitability
C
Capital adequacy
D
Capital quality
CAMELS হলো একটি মূল্যায়ন কাঠামো, যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে ছয়টি মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়।
-
Capital Adequacy (C): কোনো ব্যাংকের কাছে যথেষ্ট মূলধন আছে কিনা, যা আর্থিক ক্ষতি, ঋণ খেলাপি বা বাজার ঝুঁকির মতো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে। মূলধন যত বেশি, ব্যাংক তত বেশি নিরাপদ ও স্থিতিশীল।
-
Asset Quality (A): ব্যাংকের সম্পদের মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ।
-
Management Quality (M): ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও নীতি।
-
Earnings (E): ব্যাংকের আয় এবং লাভজনকতা।
-
Liquidity (L): ব্যাংকের তরল সম্পদের পর্যাপ্ততা।
-
Sensitivity to Market Risk (S): ব্যাংকের বাজার ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা।
এই মূল্যায়ন ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি টিকে থাকা এবং গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 4 days ago
কোন দেশের মহিলারা প্রথম ভোটাধিকার পেয়েছে?
Created: 5 days ago
A
আমেরিকা
B
অস্ট্রেলিয়া
C
নেপাল
D
নিউজিল্যান্ড
মহিলাদের প্রথম ভোটাধিকার অর্জনের ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ধাপে ধাপে ঘটেছে।
-
বিশ্বে প্রথম: ১৮৯৩ সালে নিউজিল্যান্ডের নারীরা ভোটাধিকার লাভ করেন।
-
অন্যান্য দেশ:
-
১৯০২ – অস্ট্রেলিয়া
-
১৯০৬ – ফিনল্যান্ড
-
১৯১৫ – ডেনমার্ক
-
১৯১৮ – যুক্তরাজ্যের নারীরা (শর্তসাপেক্ষে)
-
১৯২০ – যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা
-
-
মুসলিম দেশগুলো:
-
১৯১৮ – কিরগিজস্তানের নারীরা প্রথম ভোটাধিকার লাভ করে
-
১৯৩০ – তুর্কি নারীরা
-
১৯৪৯ – আরববিশ্বে প্রথম সিরিয়ার নারীরা
-
-
দক্ষিণ এশিয়া:
-
১৯৪৭ – পাকিস্তান
-
১৯৫০ – ভারত
-
১৯৭২ – বাংলাদেশ
-

0
Updated: 2 days ago
IMF এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা কতটি? (আগস্ট-২০২৫)
Created: 1 day ago
A
১৯০টি
B
১৯১টি
C
১৯৩টি
D
১৮৯টি
International Monetary Fund (IMF) হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, যা ১৯৪৪ সালে ব্রিটন উডস সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয় এবং ১৯৪৭ সালের ১লা মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু করে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। সংস্থার সদরদপ্তর অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট IMF-এর সদস্যপদ লাভ করে। আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী, IMF-এর সদস্য সংখ্যা ১৯১টি এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৪৪, ব্রিটন উডস সম্মেলন
-
কার্যক্রম শুরু: ১লা মার্চ ১৯৪৭
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯১টি (আগস্ট ২০২৫)
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র
-
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা
-
বাংলাদেশের সদস্যপদ: ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট
-
প্রধান কাজ: আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষা

0
Updated: 1 day ago