কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
A
২ ভাগে
B
৩ ভাগে
C
৪ ভাগে
D
৫ ভাগে
উত্তরের বিবরণ
বিচার ব্যবস্থা কর্নওয়ালিসের সময়ে সংস্কার করা হয় এবং এটি দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়—ফৌজদারি ও দেওয়ানি। ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্কারের ফলে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। বাংলায় এবং বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চলে মোট ১২টি বিভাগ গঠিত হয় এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য একটি ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন করা হয়। এই আদালতগুলিতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং আইন ব্যাখ্যার জন্য কাজি ও মুফতি নিযুক্ত থাকতেন। লর্ড বেটিঙ্ক সর্বপ্রথম বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেশীয়দের ওপর ন্যস্ত করেন। তিনি ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সর্বপ্রথম জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
-
কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত: ফৌজদারি ও দেওয়ানি।
-
১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত।
-
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা ১২টি বিভাগে বিভক্ত ও প্রতিটি বিভাগের জন্য ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন।
-
আদালতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং কাজি ও মুফতি নিযুক্ত।
-
লর্ড বেটিঙ্ক দেশীয়দের বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব প্রদান।
-
১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত।

0
Updated: 19 hours ago
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের উপাদান কয়টি?
Created: 1 week ago
A
৫টি
B
৬টি
C
৪টি
D
৮টি
সুশাসন বা Good Governance সংক্রান্ত ধারণা প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে প্রদান করে।
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের ৬টি প্রধান উপাদান:
-
বাক স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসতা অনুপস্থিতি
-
সরকারের কার্যকারিতা
-
নিয়ন্ত্রণ গুণ
-
আইনের শাসন
-
দুর্নীতি দমন
অন্য সংস্থাগুলোর মতে সুশাসনের উপাদান:
-
ইউএনডিপি: ৯টি উপাদান
-
জাতিসংঘ: ৮টি উপাদান
-
আইডিএ: ৪টি উপাদান
-
এডিবি: ৪টি উপাদান
-
ইউএনএইচসিআর: ৫টি উপাদান
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর -
Created: 3 weeks ago
A
০%
B
৫%
C
১০%
D
১৫%
মূল্য সংযোজন কর:
- মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বণ্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা হারের কর।
- বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর একটি পরোক্ষ কর।
- ১৯৯০ সনের মধ্য জুনের কিছু আগে মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯০ (খসড়া) তৈরি করা হয়।
- মূল্য সংযোজন কর চালু হয় ১ জুলাই ১৯৯১ সালে।
- সকল পন্য ও সেবার উপর ১৫% মূল্য সংযোজন কর আরোপ হয়।
- আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর ১৫%।
- পন্য বা সেবার সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সংযোজন কর দাতা।
- রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর ০%।

0
Updated: 3 weeks ago
অপারেশন কিলো ফ্লাইটের মূল লক্ষ্য কী ছিল?
Created: 2 days ago
A
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
B
পাকিস্তানি বাহিনীর তেল ডিপো ও সরবরাহ লাইন ধ্বংস করা
C
ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সহায়তা করা
D
পাকিস্তানি নৌবাহিনীকে আক্রমণ করা
অপারেশন কিলো ফ্লাইট
-
কিলো ফ্লাইট ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান গঠনের সাংকেতিক নাম।
-
এটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর বিমান উইংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান।
-
মূল লক্ষ্য: পাকিস্তানি বাহিনীর তেল ডিপো, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সরবরাহ লাইন ধ্বংস করা; একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করা।
-
এটি একটি দুঃসাহসিক বিমান হামলা যা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়।
প্রস্তুতি ও সরঞ্জাম:
-
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সরকার অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে দান করে:
-
আমেরিকায় তৈরি একটি পুরানো DC-3 বিমান
-
কানাডায় তৈরি একটি অটার বিমান
-
ফ্রান্সের তৈরি একটি Alouette-3 হেলিকপ্টার
-
-
ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে একটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি।
-
২৮ সেপ্টেম্বর, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ এ কে খন্দকার এর নেতৃত্বে ৯ জন পাইলট ও ৪৭ জন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু।
-
বিমান বাহিনী প্রধান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
ফলাফল:
-
কিলো ফ্লাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীকে দুঃসাহসিক বিমান যোদ্ধারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেন।
-
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চিরতরে ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সম্ভাবনাও হারায়।

0
Updated: 2 days ago