দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন কে?
A
ওয়ারেন হেস্টিংস
B
লর্ড বেন্টিংক
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড ডালহৌসি
উত্তরের বিবরণ
দ্বৈত শাসন ছিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় প্রবর্তিত এক বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা কোম্পানি ও নবাবের মধ্যে ক্ষমতা বিভাজনের কারণে প্রশাসনিক জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।
-
রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন।
-
তিনি দেওয়ানি সনদের মাধ্যমে বাংলার সম্পদ লুণ্ঠনের একচেটিয়া ক্ষমতা লাভ করেন।
-
দিল্লি কর্তৃক কোম্পানিকে এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের ফলে সৃষ্টি হয় দ্বৈত শাসন।
-
এর ফলে কোম্পানি লাভ করে দায়িত্বহীন ক্ষমতা, আর নবাব পরিণত হন ক্ষমতাহীন শাসক।
-
নবাবের দায়িত্ব শুধু ষোলআনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
-
বাংলায় এর ফলে এক অভূতপূর্ব প্রশাসনিক জটিলতা এবং সারাদেশে সীমাহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান।

0
Updated: 19 hours ago
নিরক্ষীয় জলবায়ু বিদ্যমান রয়েছে কোন দেশে?
Created: 3 weeks ago
A
কলম্বিয়া
B
ব্রুনাই
C
ফিলিপাইন
D
উপড়ের সবগুলো
নিরক্ষীয় জলবায়ু:
- পৃথিবীর জলবায়ুর পাথর্য্যের জন্য সূর্যের অবস্থান একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
- কারণ তাপমাত্রা প্রাপ্তির ধরনের উপর আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রকৃতির পার্থক্য তৈরি হয়।
- নিরক্ষরেখায় অবস্থানকারী দেশসমূহ এবং এই নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থানরত দেশসমূহে নিরক্ষীয় জলবায়ু বিরাজমান বলে একে বলা হয় নিরক্ষীয় জলবায়ু।
অবস্থান ও দেশসমূহ:
- নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫০ অক্ষাংশের মধ্যে নিরক্ষীয় অঞ্চল অবস্থিত।
- সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের ফলে এ অঞ্চলে দুইবার মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যায়।
- কোনো কোনো স্থানে নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণে ১০০ অক্ষাংশের সীমা পর্যন্ত নিরক্ষরেখা বিস্তৃত।
- বিষুবরেখার পার্শ্ববর্তী ৯৬৫ কি. মি. এলাকাজুড়ে এই জলবায়ুর প্রভাব বিস্তৃত।
- আফ্রিকার কঙ্গো নদী অববাহিকা ও গিনি উপকূলীয় এলাকা, মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূলের পানামা, হন্ডুরাস, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূল এই জলবায়ু অঞ্চলের অর্ন্তগত।
- এছাড়াও নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত দেশগুলো যেমন- মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, আমাজান নদীর অববাহিকা, পেরু, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চল জুড়েও এই জলবায়ু প্রভাব বিস্তার করে।

0
Updated: 3 weeks ago
সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন গঠিত হয়?
Created: 5 days ago
A
১৩৭ অনুচ্ছেদ
B
১৩৮ অনুচ্ছেদ
C
১১১ অনুচ্ছেদ
D
১৩৯ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC) সংবিধানের একটি সাংবিধানিক সংস্থা, যা সরকারি চাকরি ও পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।
-
উদ্দেশ্য: সরকারি চাকুরি ও পদে নিয়োগ প্রদান, পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
নিয়োগ: রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন।
-
শপথ: প্রধান বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসমূহ:
-
১৩৭ নং – সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা
-
১৩৮ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য নিয়োগ
-
১৩৯ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যপদের মেয়াদ
-
১৪০ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্ব
-
১৪১ নং – বার্ষিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া
অতিরিক্ত তথ্য:
-
১১১ নং অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত – সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা।

0
Updated: 2 days ago
সাবান তৈরিতে প্রধান কাঁচামাল কী ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
সোডা
B
গ্লিসারিন
C
চর্বি
D
স্টিয়ারিক অ্যাসিড
সাবান
-
সাবান হলো একটি বহুল প্রচলিত পরিষ্কারক, যা দেহ ও কাপড়-চোপড় পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
আধুনিক জীবনে সাবানের পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, ইমালশন, পলিশ ইত্যাদিও পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
কাপড় কাচার সাবানের মূল যৌগ হলো সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa)।
-
শেভিং ফোম বা জেলের প্রধান যৌগ হলো পটাশিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COOK)।
-
কাপড় কাচার জন্য সাধারণত সোডিয়াম কার্বোনেট (Na2CO3) ব্যবহার করা হয়।
-
সাবান মূলত উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ।
-
সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো তেল বা চর্বি।
-
তেল বা চর্বিকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে যথাক্রমে সোডিয়াম সাবান বা পটাশিয়াম সাবান তৈরি হয়।
-
সাবান তৈরির সময় উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন পাওয়া যায়।
উৎস: রসায়ন ও বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago