ভাষা আন্দোলনের সময়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
A
নুরুল আমিন
B
খাজা নাজিমউদ্দীন
C
ফিরোজ খান নুন
D
মোহাম্মদউল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটায়। এই আন্দোলন পূর্ব বাংলায় ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত হয়।
-
ফিরোজ খান নুন ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর।
-
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দীন।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।
-
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ঘটনা।
-
এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে।
-
আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে হয় এবং এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
0
Updated: 1 month ago
Which of the following countries is not a member of BIMSTEC?
Created: 1 month ago
A
Thailand
B
Myanmar
C
Maldives
D
India
মালদ্বীপ BIMSTEC-এর সদস্য নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংগঠন যা বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো—
-
BIMSTEC-এর পূর্ণরূপ: Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ৬ জুন, ১৯৯৭।
-
এটি একটি বঙ্গোপসাগরীয় অর্থনৈতিক জোট, যার উদ্দেশ্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি ও পরিবহনসহ নানা ক্ষেত্রে পারস্পরিক উন্নয়ন সাধন।
-
প্রতিষ্ঠার সময় সদস্য সংখ্যা ছিল ৪টি দেশ, পরবর্তীতে আরও দেশ যোগ হয়ে বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭টি।
-
বর্তমান সদস্য দেশসমূহ: বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল এবং ভুটান।
0
Updated: 1 month ago
কোন শতাব্দীর সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান?
Created: 1 day ago
A
বিংশ শতাব্দী
B
সপ্তদশ শতাব্দী
C
একবিংশ শতাব্দী
D
উনিশ শতাব্দী
একবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞানকে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এ যুগে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণভাবে তথ্য ও দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। সমাজের উন্নয়ন আর আগের মতো কেবল শিল্প বা সম্পদভিত্তিক নয়; বরং যার কাছে জ্ঞান বেশি, তারই অগ্রগতি দ্রুত। এ কারণে জ্ঞানকে এই শতাব্দীর মূল শক্তি হিসেবে ধরা হয়।
• একবিংশ শতাব্দীকে তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক যুগ বলা হয়, যেখানে ডিজিটাল দক্ষতা ও নতুন উদ্ভাবন রাষ্ট্র ও ব্যক্তির উন্নয়ন নির্ধারণ করে।
• বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপ নিয়েছে; যেমন: গবেষণা, উদ্ভাবন, সফটওয়্যার প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল মার্কেটিং।
• শিক্ষার মান, দক্ষতা বৃদ্ধি, গবেষণা ও সৃজনশীলতাকে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কারণ এগুলোই আধুনিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার প্রধান উপাদান।
• উন্নত দেশগুলোর বিকাশে শিল্পের চেয়ে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, তথ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও সাইবার দক্ষতার ভূমিকা এখন সর্বাধিক।
• বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোও জ্ঞান-নির্ভর উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করছে, যেখানে মানবসম্পদ উন্নয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 day ago
কোন শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে 'বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন' সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
নূর খান শিক্ষা কমিশন
B
আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন
C
আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন
D
শরীফ শিক্ষা কমিশন
বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন ছিল আইয়ুব খানের শিক্ষা সংস্কার এবং শরিফ শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সংঘটিত এক গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র আন্দোলন। এটি মূলত ছাত্র সমাজের রাজনৈতিক সচেতনতা এবং শিক্ষাগত নীতি নিয়ে তাদের অসন্তোষের প্রকাশ।
-
১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইয়ুব খান শিক্ষা সংস্কারের উদ্দেশ্যে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন।
-
কমিশনের সভাপতি ছিলেন এস.এম. শরীফ, এবং এতে ১১ জন সদস্য ছিলেন; তাই এটিকে শরিফ কমিশন বলা হয়।
-
কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের সুপারিশ প্রকাশ করে। উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো ছিল:
-
তিন বছরের বি.এ কোর্স চালু করা (এর আগে ছিল দু'বছরের বি.এ পাস কোর্স)
-
স্কুল ও কলেজের সংখ্যা সীমিত রাখা
-
শিক্ষা ব্যয়ের ৮০% খরচ অভিভাবককে বহন করতে হবে
-
৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে
-
-
কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়।
-
ঢাকা কলেজে সর্বপ্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
-
ওই কলেজের ছাত্ররা ‘ডিগ্রি স্টুডেন্টস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে।
-
এই সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা শহরের অন্যান্য কলেজের ছাত্ররা আন্দোলনে যুক্ত হয়।
-
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও আন্দোলনে যোগ দেন।
-
তখন সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে করা হয় ‘ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফোরাম’।
-
এক পর্যায়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ নেতৃত্বের হাতে চলে যায়।
0
Updated: 1 month ago