'ইয়াং বেঙ্গল মুভমেন্ট'-এর প্রবক্তা কে ছিলেন?
A
উইলিয়াম কেরি
B
ক্ষুদিরাম বসু
C
হেনরি লুইস ডিরোজিও
D
প্যারিচাঁদ মিত্র
উত্তরের বিবরণ
ডিরোজিও ও ইয়াং বেঙ্গল মুভমেন্ট উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বঙ্গের শিক্ষাজীবন ও সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। রাজা রামমোহন রায়ের চিন্তাধারাকে বাঁচিয়ে রেখে হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক হেনরি লুইস ডিরোজিও তার ছাত্রদের স্বাধীনভাবে চিন্তা ও মত প্রকাশের শিক্ষা দান করেন।
-
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনের ধারা দৃঢ়ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিল হিন্দু কলেজের প্রতিভাবান ছাত্রবৃন্দ, যারা ইয়াং বেঙ্গল আন্দোলনের নেতৃত্ব নেন।
-
হেনরি লুইস ডিরোজিও ছিলেন আন্দোলনের মূল নেতা এবং তিনি তাঁর ছাত্রদের স্বাধীন মত প্রকাশের শিক্ষা দিতেন।
-
ডিরোজিও ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি তাঁর স্কুল শিক্ষক ডেভিড ড্রামন্ডের প্রগতিবাদী, সংস্কারমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চিন্তাধারা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
-
বাংলার ‘রেনেসাঁস’ যুগের এই প্রতিভাবান তরুণ মাত্র তেইশ বছর বয়সে ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
-
মৃত্যুর পরও ডিরোজিওর হাতেখড়ি প্রাপ্ত ছাত্ররা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, notable মধ্যে ছিলেন রামতনু লাহিড়ী, রাধানাথ সিকদার, প্যারিচাঁদ মিত্র, কৃষ্ণমোহন ব্যনার্জি প্রমুখ।
0
Updated: 1 month ago
What is the role of a central bank?
Created: 2 months ago
A
Accepting deposits from the public
B
Running commercial businesses
C
Providing microloans only
D
Issuing currency and controlling monetary policy
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভূমিকা:
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভূমিকা হলো মুদ্রা ইস্যু করা এবং দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার নীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক কর্তৃপক্ষ, এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
- এর প্রধান কাজ হলো বৈধ মুদ্রা ইস্যু করা এবং বাজারে টাকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা।
- এছাড়াও এটি সুদের হার, ব্যাংক রিজার্ভ এবং অন্যান্য আর্থিক হাতিয়ার ব্যবহার করে মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য “ব্যাংকের ব্যাংক” হিসেবে কাজ করে, তাদের জমাকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে ঋণ প্রদান করে।
- এটি সরকারের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে এবং সরকারি তহবিল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা-ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
অন্যদিকে, জনসাধারণ থেকে আমানত গ্রহণ, ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো, মাইক্রো ঋণ প্রদান —এসব কার্যক্রম সাধারণত বাণিজ্যিক বা বিশেষায়িত ব্যাংকের কাজ।
সূত্র: Investopedia ও পত্রিকা রিপোর্ট।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি অপরিবাহী পদার্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
তামা
B
রূপা
C
কাচ
D
সিলিকন
অপরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়। যেমন: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
অধিকাংশ অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান স্থির অবস্থায় সেই স্থানেই আবদ্ধ থাকে, সঞ্চালিত হয় না।
-
তাই দুটি আহিত বস্তুকে অপরিবাহী দিয়ে যুক্ত করলে আধান এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয় না এবং তড়িৎ প্রবাহ তৈরি করে না।
-
অর্থাৎ অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে।
পরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়। যেমন: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
প্রায় সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান দিলে তা কোনো একটি স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরো পদার্থে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে পরিবাহীর মাধ্যমে যুক্ত করলে আধান সহজেই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।
-
পরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে না বললেই চলে। তবে তাপ প্রয়োগ করলে পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অর্ধপরিবাহী
-
কিছু পদার্থ যেমন সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি। এদেরকে অর্ধপরিবাহী বলা হয়।
-
অর্থাৎ, এদের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব, তবে পরিবাহীর তুলনায় কম এবং অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা কমে যায় (রোধ বেড়ে যায়)।
-
কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (রোধ কমে যায়)।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি আউটপুট ডিভাইস?
Created: 2 months ago
A
কীবোর্ড
B
মনিটর
C
মাউস
D
স্ক্যানার
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
যে ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্য, ডেটা বা কমান্ড প্রবেশ করানো হয়, তাকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ: কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, OMR, OCR ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
যে ডিভাইসের সাহায্যে কম্পিউটার থেকে তথ্য বা ডেটা গ্রহণ করা যায়, তাকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, স্পিকার, প্লটার ইত্যাদি।
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি–২, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) নবম–দশম শ্রেণি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago