কোন জেলায় সন্ন্যাসীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ শুরু করে?
A
পুরুলিয়া
B
বর্ধমান
C
হুগলী
D
কলকাতা
উত্তরের বিবরণ
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলার ইতিহাসে অন্যতম প্রথম দিকের সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলন। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এ বিদ্রোহ চলতে থাকে এবং উত্তরবঙ্গসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজদের জন্য এটি ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ।
-
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ব্যাপ্তিকাল ছিল প্রায় ৪০ বছর (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ)।
-
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয়।
-
প্রথম বিদ্রোহ সংঘটিত হয় বর্ধমান জেলায়, যেখানে সন্ন্যাসীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
-
১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে ইংরেজবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন।
-
১৭৭৭ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এ বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। এর তীব্রতা ছিল উত্তরবঙ্গে সর্বাধিক।
-
সংঘর্ষে বিদ্রোহীরা অনেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে এবং কোম্পানির বহু কুঠি লুঠ করে।
-
ফকির মজনু শাহর যুদ্ধ কৌশল ছিল গেরিলা পদ্ধতি।
-
১৭৮৭ সালে মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করলে, বিদ্রোহের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মুসা শাহ, সোবান শাহ, চেরাগ আলী শাহ, করিম শাহ, মাদার বক্স প্রমুখ ফকির।
-
অবশেষে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফকির-সন্ন্যাসীরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দেশটি ই-৮ (E-8) ভুক্ত নয়?
Created: 1 month ago
A
ভারত
B
জাপান
C
অস্ট্রেলিয়া
D
ব্রাজিল
ই-৮ (E-8) হলো বিশ্বের প্রধান পরিবেশ দূষণকারী আটটি দেশের সমিতি, যা বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে। এই দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী, এবং এ কারণে তারা পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• ই-৮-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
• ই-৮ ভুক্ত দেশসমূহ পরিবেশ দূষণ কমাতে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে।
• এ দেশগুলোর মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ।
• এই সমিতির সদস্যরা বিশ্বের কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের অন্যতম প্রধান উৎস, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন।
• উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া ই-৮-এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago
Which countries are divided by the Medicine Line (boundary)?
Created: 1 month ago
A
Brazil and Bolivia
B
United States and Canada
C
Germany and Poland
D
Egypt and Sudan
মেডিসিন লাইন (Medicine Line) হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার বিখ্যাত সীমারেখা, যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ও অরক্ষিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে পরিচিত। এটি ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো—
-
অবস্থান ও পরিচয়: মেডিসিন লাইন হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার সীমারেখা, যা বিশেষভাবে ৪৯° উত্তর অক্ষরেখা (49th Parallel) বরাবর বিস্তৃত।
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: ৪৯° উত্তর অক্ষরেখা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটি সোজা রেখা, যা পশ্চিম দিকের বৃহৎ অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
-
দৈর্ঘ্য: প্রায় ৫,৫২৫ মাইল (৮,৮৯১ কিলোমিটার) দীর্ঘ, যা একে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অরক্ষিত (unfortified) সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
-
চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠা: এই সীমারেখা ১৮৪৬ সালের ওরেগন ট্রিটি (Oregon Treaty) দ্বারা নির্ধারিত হয়েছিল, যা ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকা (বর্তমান কানাডা) ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ভূখণ্ড বিতর্কের অবসান ঘটায়।
-
নামকরণের ইতিহাস: কানাডার স্থানীয় আদিবাসীরা এই সীমারেখাকে “মেডিসিন লাইন” নামে অভিহিত করেন। তাদের বিশ্বাস ছিল, এই অদৃশ্য রেখা অতিক্রম করলেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আর তাদের অনুসরণ করত না—যেন এই রেখায় কোনো অলৌকিক ক্ষমতা কাজ করত।
-
গুরুত্ব: এটি শুধু ভৌগোলিক সীমানাই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
'এল নিনো' কোন মহাসাগরের জলতাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ভারত মহাসাগর
B
আটলান্টিক মহাসাগর
C
আর্কটিক মহাসাগর
D
প্রশান্ত মহাসাগর
এল নিনো হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আবহাওয়াগত ঘটনা, যা সাউদার্ন অসকিলেশন (ENSO) নামক জলবায়ুর ধরণের দুটি অংশের একটি। এটি মূলত ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বাতাসের ধারা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার অনিয়মিত কিন্তু পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
• এল নিনো বলতে ইএনএসও-র উষ্ণায়ন পর্যায়কে বোঝানো হয়।
• এই সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং জলবায়ুর স্বাভাবিক ধারা পরিবর্তন করে।
• লা নিনা হলো এর বিপরীত বা শীতলকরণ পর্যায়, যখন সমুদ্রের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়।
• এল নিনোর বছরে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা সাধারণত প্রায় ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়।
• অপরদিকে, লা নিনা চলাকালীন প্রায় একই পরিমাণে তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
• এই দুই অবস্থার মধ্যবর্তী সময়ে জলবায়ু তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে, যা নিরপেক্ষ পর্যায় নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago