মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের কয়টি স্তর ছিল?
A
২টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৮টি
উত্তরের বিবরণ
মৌলিক গণতন্ত্র ছিল আইয়ুব খানের শাসনামলে প্রবর্তিত একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এর মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে জনগণকে প্রশাসনের কাছাকাছি আনা। তবে এটি প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল।
-
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা আইয়ুব খানের অভিনব উদ্ভাবন ছিল।
-
এটি ছিল চারস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা।
-
১৯৫৯ সালে জারিকৃত মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ইচ্ছাকে সরকারের কাছাকাছি আনা এবং সরকারি কর্মকর্তাদেরকে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করা, যাতে একধরনের গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ কার্যকর হয়।
-
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থার চারটি স্তর ছিল—
১) ইউনিয়ন কাউন্সিল (গ্রাম এলাকায়) এবং টাউন কমিটি (শহর এলাকায়)
২) থানা কাউন্সিল (পূর্ব পাকিস্তানে) এবং তহশিল কাউন্সিল (পশ্চিম পাকিস্তানে)
৩) জেলা কাউন্সিল
৪) বিভাগীয় কাউন্সিল
উল্লেখযোগ্য যে, কিছু গ্রন্থে মৌলিক গণতন্ত্রের স্তর সংখ্যা ৫টি বলা হলেও, অধিক গ্রহণযোগ্য হিসেবে ৪টি স্তরকে সঠিক হিসেবে ধরা হয়েছে।

0
Updated: 20 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 2 days ago
A
১ নং
B
২ নং
C
৪ নং
D
৯ নং
বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল
-
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে উঠেছিল ফিল্ড হাসপাতাল।
-
২ নং সেক্টরে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে পরিচিত।
-
প্রতিটি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট ছিল। ২ নং সেক্টর বিস্তৃত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ পর্যন্ত।
-
২ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার: ভারতের আগরতলা (প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর)। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা মূলত এই সেক্টর থেকেই করা হতো।
চিকিৎসা ও পরিচালনা:
-
আহতদের জটিল ও সমন্বিত চিকিৎসা মূলত ভারতীয় হাসপাতালে দেওয়া হতো, তবে বাংলাদেশ হাসপাতাল সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
-
হাসপাতালের নেপথ্য কারিগররা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ ও ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতালের উদ্যোগ নেন।
-
ডা. আখতার কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কাজকর্ম চালাতেন ডা. নাজিম।
-
মে মাসে হাসপাতালে যোগ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন।
-
সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক হিসেবে ডা. মোবিন।
-
২ নং সেক্টরের সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা দায়িত্বে থাকতেন।

0
Updated: 2 days ago
'ইয়াং বেঙ্গল মুভমেন্ট'-এর প্রবক্তা কে ছিলেন?
Created: 20 hours ago
A
উইলিয়াম কেরি
B
ক্ষুদিরাম বসু
C
হেনরি লুইস ডিরোজিও
D
প্যারিচাঁদ মিত্র
ডিরোজিও ও ইয়াং বেঙ্গল মুভমেন্ট উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বঙ্গের শিক্ষাজীবন ও সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। রাজা রামমোহন রায়ের চিন্তাধারাকে বাঁচিয়ে রেখে হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক হেনরি লুইস ডিরোজিও তার ছাত্রদের স্বাধীনভাবে চিন্তা ও মত প্রকাশের শিক্ষা দান করেন।
-
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনের ধারা দৃঢ়ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিল হিন্দু কলেজের প্রতিভাবান ছাত্রবৃন্দ, যারা ইয়াং বেঙ্গল আন্দোলনের নেতৃত্ব নেন।
-
হেনরি লুইস ডিরোজিও ছিলেন আন্দোলনের মূল নেতা এবং তিনি তাঁর ছাত্রদের স্বাধীন মত প্রকাশের শিক্ষা দিতেন।
-
ডিরোজিও ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি তাঁর স্কুল শিক্ষক ডেভিড ড্রামন্ডের প্রগতিবাদী, সংস্কারমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চিন্তাধারা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
-
বাংলার ‘রেনেসাঁস’ যুগের এই প্রতিভাবান তরুণ মাত্র তেইশ বছর বয়সে ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
-
মৃত্যুর পরও ডিরোজিওর হাতেখড়ি প্রাপ্ত ছাত্ররা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, notable মধ্যে ছিলেন রামতনু লাহিড়ী, রাধানাথ সিকদার, প্যারিচাঁদ মিত্র, কৃষ্ণমোহন ব্যনার্জি প্রমুখ।

0
Updated: 20 hours ago
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 2 days ago
A
মিসিসিপি
B
ইয়াংজি
C
নীল নদ
D
আমাজন
নীল নদ আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী।
-
দৈর্ঘ্য: ৬,৬৫০ কিমি
-
উৎস: আফ্রিকার লেক ভিক্টোরিয়া
-
প্রবাহ: ১১টি দেশের মধ্য দিয়ে ভূ-মধ্যসাগরে পতিত হয়
-
অববাহিকা: মিশর, সুদান, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং তানজানিয়া
-
উপনদী: সাদা নীল ও নীল নীল
অন্যান্য দীর্ঘতম নদীসমূহ:
-
আমাজন নদী: ৬,৪০০ কিমি
-
ইয়াংজি নদী: ৬,৩০০ কিমি
-
মিসিসিপি নদী: ৫,৯৭১ কিমি
-
কঙ্গো নদী: ৪,৭০০ কিমি

0
Updated: 2 days ago