চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন কে?
A
লর্ড কার্জন
B
লর্ড কর্নওয়ালিস
C
লর্ড ক্যানিং
D
লর্ড বেন্টিংক
উত্তরের বিবরণ
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে প্রবর্তিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে জমিদারদের জমির উপর স্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হলেও কৃষক শ্রেণি তাদের জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। দীর্ঘদিন টিকে থাকা এই ব্যবস্থা অবশেষে স্বাধীনতার পূর্বমুহূর্তে বিলুপ্ত হয়।
-
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
ওই দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদানের শর্তে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হয়।
-
এই ব্যবস্থার ফলে কৃষক জমির উপর তাদের অধিকার হারায়।
-
অপরদিকে, জমির উপর জমিদারদের স্থায়ী মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
অবশেষে ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অবসান ঘটে।

0
Updated: 20 hours ago
'কর্তব্যের জন্য কর্তব্য'-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 2 weeks ago
A
অ্যারিস্টটল
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
জন লক
কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক হলেন ইমানুয়েল কান্ট, যিনি নৈতিকতা ও নীতিশাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন জার্মান নীতিবিজ্ঞানী।
-
তাঁর নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য, এবং শর্তহীন আদেশ।
-
তিনি 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
নীতিশাস্ত্রের উপর তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো:
-
Groundwork for Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
’জি-২০’ সম্মেলন-২০২৫ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
Created: 1 day ago
A
কানাডা
B
জাপান
C
সাউথ আফ্রিকা
D
ব্রাজিল
জি২০ (G20) হলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি প্রধান ফোরাম, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ১৯৯৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়। ফোরামটি শুধু অর্থনীতি নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তন, স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার প্ল্যাটফর্মও সরবরাহ করে।
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৯৯
-
উদ্দেশ্য: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থাপত্য গঠন ও শক্তিশালীকরণ, প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনীতি পরিচালনায় ভূমিকা নেওয়া
-
বৈশ্বিক আলোচনার ক্ষেত্র: অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, স্থিতিশীল উন্নয়ন ইত্যাদি
-
সদস্য সংখ্যা: ২১টি (১৯টি দেশ + ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন)
-
বার্ষিক বৈঠক: ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে
-
সাম্প্রতিক ও ভবিষ্যৎ সম্মেলন:
-
১৯তম সম্মেলন: ১৮-১৯ নভেম্বর, ২০২৪, রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল
-
২০তম সম্মেলন: ২৭-২৮ নভেম্বর, ২০২৫, সাউথ আফ্রিকা
-

0
Updated: 1 day ago
কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
Created: 19 hours ago
A
২ ভাগে
B
৩ ভাগে
C
৪ ভাগে
D
৫ ভাগে
বিচার ব্যবস্থা কর্নওয়ালিসের সময়ে সংস্কার করা হয় এবং এটি দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়—ফৌজদারি ও দেওয়ানি। ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্কারের ফলে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। বাংলায় এবং বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চলে মোট ১২টি বিভাগ গঠিত হয় এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য একটি ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন করা হয়। এই আদালতগুলিতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং আইন ব্যাখ্যার জন্য কাজি ও মুফতি নিযুক্ত থাকতেন। লর্ড বেটিঙ্ক সর্বপ্রথম বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেশীয়দের ওপর ন্যস্ত করেন। তিনি ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সর্বপ্রথম জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
-
কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত: ফৌজদারি ও দেওয়ানি।
-
১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত।
-
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা ১২টি বিভাগে বিভক্ত ও প্রতিটি বিভাগের জন্য ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন।
-
আদালতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং কাজি ও মুফতি নিযুক্ত।
-
লর্ড বেটিঙ্ক দেশীয়দের বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব প্রদান।
-
১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত।

0
Updated: 19 hours ago