চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন কে?
A
লর্ড কার্জন
B
লর্ড কর্নওয়ালিস
C
লর্ড ক্যানিং
D
লর্ড বেন্টিংক
উত্তরের বিবরণ
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে প্রবর্তিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে জমিদারদের জমির উপর স্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হলেও কৃষক শ্রেণি তাদের জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। দীর্ঘদিন টিকে থাকা এই ব্যবস্থা অবশেষে স্বাধীনতার পূর্বমুহূর্তে বিলুপ্ত হয়।
-
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
ওই দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদানের শর্তে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হয়।
-
এই ব্যবস্থার ফলে কৃষক জমির উপর তাদের অধিকার হারায়।
-
অপরদিকে, জমির উপর জমিদারদের স্থায়ী মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
অবশেষে ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অবসান ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দ্বীপটি ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ম্যাকাও
B
কমোরাস
C
মাল্টা
D
সিচেলিস
- মাল্টা দ্বীপটি ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত।
ভূমধ্যসাগর:
- ভূমধ্যসাগর আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে জিব্রাল্টার প্রণালী দ্বারা সংযুক্ত।
- এটি পশ্চিমে জিব্রাল্টার থেকে পূর্বে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত বিস্তৃত।
- এর উত্তরে ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিসের মতো দেশ থেকে দক্ষিণে মিশর, লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার মতো দেশ পর্যন্ত প্রসারিত।
- এর মোট আয়তন প্রায় ২.৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার।
- গভীরতা: ভূমধ্যসাগরের গড় গভীরতা প্রায় ১,৫০০ মিটার,
- তবে এর গভীরতম স্থান, ক্যালিপসো ডিপ, প্রায় ৫,২৬৭ মিটার গভীর।
- দ্বীপপুঞ্জ: সিসিলি, সার্ডিনিয়া, ক্রিট, মাল্টা এবং সাইপ্রাস।
অন্যদিকে,
- ভারত মহাসাগরে অবস্থিত: মাদাগাস্কার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস,, কমোরোস, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপ।
- দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত: স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ, প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ, ম্যাকাও, লুজন।
0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কোন জেলায় সমাহিত করা হয়?
Created: 1 month ago
A
যশোর
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
ফেনী
D
সিলেট
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ৭ মার্চ ১৯৪৯ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা জীবন: ১৯৫৩ সালে পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
-
সেনা জীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৩রা অক্টোবর ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ২রা জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ: ৭নং সেক্টরের মহোদিপুর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আরগরারহাট, কানসাট, শাহপুর এলাকায় অসামান্য বীরত্ব দেখিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেন।
-
চাপাইনবাবগঞ্জ অভিযান: ১২ই ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে।
-
শহীদ: ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। পরদিন সহযোদ্ধারা তার লাশ উদ্ধার করে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে সমাহিত করেন।
0
Updated: 1 month ago
ইন্ডিগো কমিশন বা নীল কমিশন গঠিত হয় -
Created: 1 month ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৭ সালে
D
১৮৬৯ সালে
নীল বিদ্রোহ মূলত বাংলার কৃষকদের ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধের ঘটনা। ইংরেজরা উপমহাদেশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছিল এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এদেশের শাসক হয়ে ওঠে। তারা উর্বর জমিতে খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়, যার মধ্যে নীল অন্যতম। ১৭৭০ থেকে ১৭৮০ সালের মধ্যে বাংলায় নীল চাষ শুরু হয়। কৃষকরা যদি নীল চাষে রাজি না হতেন, তাদের উপর চরম অত্যাচার চালানো হতো। নীলের ব্যবসা তখন একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে ছিল এবং ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক নীল চাষ হতো। ১৮৫৯ সালে কৃষকরা নীলকরদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই নেতৃত্ব এতটাই সুসংগঠিত ছিল যে শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ১৮৬০ সালে সরকার নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন করে, যা নীলচাষের নিয়ম ও কৃষকের অধিকার নির্ধারণ করে। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে নীলচাষ করা বা না করা কৃষকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ‘ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট’ বাতিল করা হয়। এতে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
ইংরেজরা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাংলায় প্রবেশ এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে শাসক হয়ে ওঠে।
-
খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসলের দিকে মনোযোগ, যার মধ্যে নীল প্রধান।
-
১৭৭০–১৭৮০ সালের মধ্যে নীল চাষ শুরু।
-
চাষে রাজি না হলে কৃষকদের উপর চরম অত্যাচার।
-
নীল ব্যবসা একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে; ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক চাষ।
-
১৮৫৯ সালে কৃষকরা শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
নেতৃত্ব সুসংগঠিত হওয়ায় ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করে।
-
১৮৬০ সালে নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন এবং নীলচাষের নিয়ম নির্ধারণ।
-
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নীলচাষের ইচ্ছা কৃষকের উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট বাতিল।
-
নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
বাংলায় নীল চাষ বিলুপ্ত হলেও বিহারে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে।
0
Updated: 1 month ago