খিলাফত আন্দোলন এর নেতা ছিলেন -
A
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
খিলাফত আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত এক গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামি আন্দোলন। এর মূল কারণ ছিল ব্রিটিশদের নীতি অনুযায়ী তুরস্কের সুলতানের খেলাফত দুর্বল ও বিভক্ত করা, যা ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক অবস্থানকে জটিল করে তোলে।
-
১৯২০ সালে সেভার্স চুক্তির অধীনে ব্রিটিশ সরকার তুরস্ক তথা অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করলে এর বিরুদ্ধে ভারতীয়রা যে আন্দোলন গড়ে তোলে, তা খিলাফত আন্দোলন নামে পরিচিত।
-
এটি ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে গঠিত একটি প্যান-ইসলামি আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান জার্মানির পক্ষ নিলে ভারতীয় মুসলমানেরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাঁরা খলিফার অনুগত, অথচ রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকতে বাধ্য ছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে জার্মানি পরাজিত হলে, জার্মানির পক্ষ নেওয়ার শাস্তি হিসেবে তুরস্ককে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

0
Updated: 20 hours ago
'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বাংলা কোন সনে সংঘটিত হয়?
Created: 20 hours ago
A
১২৭৬ সনে
B
১৩৭৬ সনে
C
১১৭৬ সনে
D
১১৭০ সনে
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ছিল ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সংঘটিত এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যা ইতিহাসে জনসংখ্যার বিপর্যয় ও উপনিবেশিক শোষণের উদাহরণ হিসেবে স্মরণীয়। এই দুর্ভিক্ষে জনজীবন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চরমভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
-
১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে (১১৭৬ বঙ্গাব্দে) গ্রীষ্মকালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
-
এটি ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
-
কোম্পানির মুর্শিদাবাদের প্রতিনিধি রিচার্ড বেচারের ভাষায়, “দেশের কয়েকটি অংশে যে জীবিত মানুষ মৃত মানুষকে ভক্ষণ করছে, তা গুজব নয়, অতিসত্য।”
-
এই দুর্ভিক্ষে বাংলার জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মারা যায়।
-
ইংরেজ সরকার বাংলার জনগণকে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
-
বরং ১৭৬৫-৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাৎসরিক রাজস্ব আদায় দুর্ভিক্ষের সময়ও প্রায় আগের পর্যায়ের সমান ছিল।
-
এর ফলে চরম শোষণ ও নির্যাতনের ফলে বাংলার মানুষ হত দরিদ্র ও অসহায় হয়ে পড়ে।

0
Updated: 20 hours ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কতটি ধারা রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
২৮টি
B
২৭টি
C
২৯টি
D
২৪টি
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা সেই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে সম্মানিত করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ৫ই আগস্ট, ২০২৫, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে '৩৬ জুলাই উদ্যাপন' অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
প্রধান বিষয়বস্তু: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা।
-
মোট দফা: ২৮টি, যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে।
-
উদ্বোধন অনুষ্ঠান: ৫ই আগস্ট, ২০২৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, '৩৬ জুলাই উদ্যাপন'
-
পাঠক: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা

0
Updated: 1 day ago
কোন শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়?
Created: 1 week ago
A
একনায়কতান্ত্রিক শাসন
B
সামরিক শাসন
C
স্বৈরাচারী শাসন
D
উপরের সবগুলো
রাজনৈতিক স্বাধীনতা:
- ভোটার হবার স্বাধীনতা, ভোটদানের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক দল গঠনের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক স্বাধীনতার অন্তর্গত।
- ন্যায়সঙ্গতভাবে একজন নাগরিক সব ধরনের স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রাখে।
- নেতৃত্বের বিকাশের জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকা উচিত।
- একনায়কতান্ত্রিক, সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়।

0
Updated: 1 week ago