খিলাফত আন্দোলন এর নেতা ছিলেন -
A
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
খিলাফত আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত এক গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামি আন্দোলন। এর মূল কারণ ছিল ব্রিটিশদের নীতি অনুযায়ী তুরস্কের সুলতানের খেলাফত দুর্বল ও বিভক্ত করা, যা ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক অবস্থানকে জটিল করে তোলে।
-
১৯২০ সালে সেভার্স চুক্তির অধীনে ব্রিটিশ সরকার তুরস্ক তথা অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করলে এর বিরুদ্ধে ভারতীয়রা যে আন্দোলন গড়ে তোলে, তা খিলাফত আন্দোলন নামে পরিচিত।
-
এটি ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে গঠিত একটি প্যান-ইসলামি আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান জার্মানির পক্ষ নিলে ভারতীয় মুসলমানেরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাঁরা খলিফার অনুগত, অথচ রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকতে বাধ্য ছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে জার্মানি পরাজিত হলে, জার্মানির পক্ষ নেওয়ার শাস্তি হিসেবে তুরস্ককে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
0
Updated: 1 month ago
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
আসিফ নজরুল ইসলাম
B
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
C
নাহিদ ইসলাম
D
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল, যা সেই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৫ আগস্ট ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। ঘোষণাপত্রটি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্বারা পাঠ করা হয়।
-
প্রকাশের তারিখ: ৫ আগস্ট ২০২৫
-
প্রকাশক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
-
পাঠক: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা
-
মোট ধারা: ২৮টি
-
মূল উদ্দেশ্য:
-
রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও শাসন কাঠামোর সংস্কার
-
ছাত্র-জনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্বীকৃতি
-
আইনি সুরক্ষা প্রদান
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম ফিফা কমিশনের অধীন কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. আনিসুজ্জামান
B
ড. মনিরুজ্জামান মিয়া
C
ড. কুদরত-ই-খুদা
D
ড. রঙ্গলাল সেন
বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন ১৯৭২ সালে গঠিত হয় এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই, জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠিত।
-
চেয়ারম্যান: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই-খুদা।
-
নাম: চেয়ারম্যানের নামানুসারে কমিশনকে কুদরাত-ই-খুদা কমিশন হিসেবেও পরিচিত।
-
কার্যপদ্ধতি:
-
শিক্ষিত এলিট শ্রেণীর লোকদের মতামত সংগ্রহ করা।
-
সংগৃহীত মতামত সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করা।
-
প্রণীত রিপোর্টে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস ও উন্নতির সুপারিশ প্রদান।
-
-
রিপোর্ট জমা: কমিশন ১৯৭৪ সালের ৩০ মে সরকারের নিকট রিপোর্ট পেশ করে।
0
Updated: 1 month ago
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের কয়টি স্তর ছিল?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৮টি
মৌলিক গণতন্ত্র ছিল আইয়ুব খানের শাসনামলে প্রবর্তিত একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এর মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে জনগণকে প্রশাসনের কাছাকাছি আনা। তবে এটি প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল।
-
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা আইয়ুব খানের অভিনব উদ্ভাবন ছিল।
-
এটি ছিল চারস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা।
-
১৯৫৯ সালে জারিকৃত মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ইচ্ছাকে সরকারের কাছাকাছি আনা এবং সরকারি কর্মকর্তাদেরকে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করা, যাতে একধরনের গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ কার্যকর হয়।
-
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থার চারটি স্তর ছিল—
১) ইউনিয়ন কাউন্সিল (গ্রাম এলাকায়) এবং টাউন কমিটি (শহর এলাকায়)
২) থানা কাউন্সিল (পূর্ব পাকিস্তানে) এবং তহশিল কাউন্সিল (পশ্চিম পাকিস্তানে)
৩) জেলা কাউন্সিল
৪) বিভাগীয় কাউন্সিল
উল্লেখযোগ্য যে, কিছু গ্রন্থে মৌলিক গণতন্ত্রের স্তর সংখ্যা ৫টি বলা হলেও, অধিক গ্রহণযোগ্য হিসেবে ৪টি স্তরকে সঠিক হিসেবে ধরা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago