United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের মূল উপাদান কয়টি?
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৮টি
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের জন্য কিছু মৌলিক উপাদান অপরিহার্য। এ উপাদানগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও জনগণমুখী শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সুশাসনের মূল উপাদান (UNHRC অনুযায়ী):
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের 'নব্য-নৈতিকতার' প্রবর্তক হলেন-
Created: 3 weeks ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আব্দুল মতীন
বাংলাদেশের যুক্তিবাদী দর্শনের ইতিহাসে আরজ আলী মাতুব্বর একটি অনন্য নাম। তিনি ছিলেন এমন এক চিন্তাবিদ যিনি উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও স্বশিক্ষিত মননের মাধ্যমে সমাজে নতুন এক দার্শনিক ধারা সৃষ্টি করেন।তাঁর দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করা এবং যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিকতার আলোয় সত্যকে উপলব্ধি করানো।
জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির বাস্তবতা থেকে তিনি শিখেছেন এবং সেই শিক্ষা থেকেই নির্মাণ করেছেন নিজের ভাবনাজগৎ, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় ‘নব-নৈতিকতা’ নামে।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের মুক্তি আসবে চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব থেকে। তাই জীবনের প্রতিটি প্রশ্নে তিনি খুঁজেছেন যুক্তিসঙ্গত উত্তর, ধর্মীয় অনুশাসন বা সমাজের প্রচলিত ধারণার অন্ধ অনুসরণ নয়।
তাঁর চিন্তাধারা মূলত বস্ত্তবাদী দর্শননির্ভর, যেখানে মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও বিশ্বজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেখা যায়। আরজ আলী মাতুব্বর কখনো গোঁড়ামির সঙ্গে আপস করেননি; বরং দৃঢ়চিত্তে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন।
তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে যুক্তি, বাস্তবতা ও মানবতার আহ্বান। সহজ ভাষায় গভীর ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতার কারণে সাধারণ মানুষও তাঁর চিন্তাধারার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করত। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমন এক দর্শন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
‘সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩) – এখানে তিনি সত্য ও যুক্তির ভিত্তিতে ধর্ম ও সমাজকে বিশ্লেষণ করেছেন।
-
‘সৃষ্টিরহস্য’ (১৯৭৭) – জগৎ ও জীবনের উৎপত্তি নিয়ে তাঁর দার্শনিক অনুসন্ধান প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘অনুমান’ (১৯৮৩) – মানবচিন্তা ও অভিজ্ঞতার ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর গভীর উপলব্ধি প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘মুক্তমন’ (১৯৮৮) – চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মানবতাবাদের দার্শনিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও চিন্তা বাংলাদেশের বৌদ্ধিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে যুক্তি ও মানবতার পথেই তিনি খুঁজেছেন সমাজের সত্যিকারের মুক্তি।
0
Updated: 3 weeks ago
বিশ্বব্যাংক ২০০০ সালে সুশাসনের কতটি স্তম্ভের কথা বলেছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন সংক্রান্ত মূল তথ্য নিম্নরূপ:
-
'সুশাসন' ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
-
সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন সুশাসনের অভাবের কারণে ঘটে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক সংজ্ঞা দিয়েছে: ‘‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের **সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স।’’
সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ (২০০০, বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী)
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)
0
Updated: 1 month ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 2 months ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago