শিশু সর্বপ্রথম নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা পায় -
A
পরিবারে
B
সমাজে
C
বিদ্যালয়ে
D
খেলার মাঠে
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের আচরণ ও মনোভাবকে গঠন করে এবং এটি নীতি ও উচিত-অনুচিত বোধ থেকে উদ্ভূত। নৈতিক মূল্যবোধ সেই সব মনোভাব এবং কর্মকাণ্ড যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি অনুভব করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
-
সত্যকে সত্য বলা ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
অন্যায়কে অন্যায় বলা এবং অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা
-
অন্যকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে পরামর্শ প্রদান
-
দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করা
-
অসহায় ও ঋণগ্রস্ত মানুষের ঋণমুক্ত হতে সাহায্য করা
-
-
শিশু সর্বপ্রথম নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা তার পরিবারের মাধ্যমে পায়।
-
অর্থাৎ, নৈতিক মূল্যবোধের মূল উৎস হলো নৈতিক চেতনা।

0
Updated: 20 hours ago
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে কোন মূল্যবোধটি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
Created: 1 month ago
A
বিশ্বস্ততা
B
সৃজনশীলতা
C
নিরপেক্ষতা
D
জবাবদিহিতা
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সৃজনশীলতার গুরুত্ব ও সুশাসন
সুশাসন হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সঠিক ও ন্যায্যভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনগণ সরকারের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ সমানভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে।
সুশাসন কেবল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাই নয়, বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুশাসন
আমাদের দেশে এখনও পূর্ণ সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
-
পুঁজিবাদের সঠিক বিকাশ হয়নি।
-
দাঙ্গা, হরতাল, অবরোধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
-
আন্তর্জাতিক সূচকে দুর্নীতি এখনো বেশ উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান।
-
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, তবুও সার্বিকভাবে সুশাসনের মান এখনো সন্তোষজনক নয়।
সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
সাধারণভাবে সুশাসন একটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এতে জনগণ আত্মনির্ভরশীল হয় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হলে সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ নিশ্চিত হয়। তাই সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক।
এটি মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন → গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
-
অর্থনৈতিক সুশাসন → মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
-
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সুশাসন → সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ
-
প্রযুক্তিগত সুশাসন → বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার
সুশাসনের প্রধান উপাদান
১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
২. জনগণের অংশগ্রহণ
৩. আইনের শাসন
৪. নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা
৫. উন্নত জনপ্রশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংক ২০০০ সালে সুশাসনের কতটি স্তম্ভের কথা বলেছে?
Created: 13 hours ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন সংক্রান্ত মূল তথ্য নিম্নরূপ:
-
'সুশাসন' ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
-
সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন সুশাসনের অভাবের কারণে ঘটে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক সংজ্ঞা দিয়েছে: ‘‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের **সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স।’’
সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ (২০০০, বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী)
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

0
Updated: 13 hours ago
নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
Created: 1 week ago
A
কর্তৃত্ববাদী শাসন
B
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
C
স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
D
কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সুশাসন
-
সু-শাসন হলো এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয়।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম প্রদান করে বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা ব্যবহার করে।
-
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
সুশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।
-
সুশাসনের মূলনীতি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 1 week ago