কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
উত্তরের বিবরণ
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।
0
Updated: 1 month ago
"রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক" - এটি কার উক্তি?
Created: 1 month ago
A
কফি আনান
B
মহাত্মা গান্ধী
C
ইব্রাহিম গানবারি
D
মিশেল ক্যামডেসাস
সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত তাত্ত্বিক মন্তব্য ও ধারণা
-
মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন:
“রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
সুশাসনের মূল ধারণা:
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP অনুযায়ী, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে সক্ষম হয়।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে, রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সাধিত হয়।
-
এটি সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন:
“যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, শুধুমাত্র সেই সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে।”
0
Updated: 1 month ago
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি কিসের অন্তরায়?
Created: 2 months ago
A
সামাজিক অবক্ষয়ের
B
মূল্যবোধ অবক্ষয়ের
C
সুশাসনের
D
শিক্ষার গুণগতমানের
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায়।
--------------
সুশাসন ও গণমাধ্যম
- গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
- শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমে অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- গণমাধ্যমে একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
- স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম আর স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
- বর্তমানে ‘সুশাসন’ ও ‘গণমাধ্যম’ এ দুটি বিষয় পরস্পর গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
- গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনের শাসনকে কেউ কেউ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে থাকে যা গনমাধ্যমের জোরালো ভূমিকার মাধ্যমে তা প্রতিহত করা যায়।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 2 months ago
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।
0
Updated: 1 month ago