মূল্যবোধ হলো -
A
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলির দিক নির্দেশনা
B
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
C
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
D
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। এটি মানুষের মনোভাব, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাস। সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা ও আদর্শের বিকাশ ঘটানোর শিক্ষাকে মূল্যবোধ শিক্ষা বলা হয়। মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি।
-
মূল্যবোধের উৎস:
-
প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলো পরিবার
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়
-
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
মানুষের আচার-ব্যবহার ও কার্যাবলীকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রণ করে
-
স্থায়ী নয়, বরং পরিবর্তনশীল
-
শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক সুবিবেচিত আচরণের সমষ্টি
-

0
Updated: 23 hours ago
জেরেমি বেন্থাম কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
জার্মানি
B
ফ্রান্স
C
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
D
যুক্তরাজ্য
জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham)
-
জেরেমি বেন্থাম একজন ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আইনশাস্ত্রের তাত্ত্বিক।
-
তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন।
-
বেন্থামই ছিলেন উপযোগবাদের (Utilitarianism) প্রধান প্রবক্তা।
-
তিনি যে সুখবাদ প্রচার করেছিলেন তা ‘অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ’ (Gross Utilitarianism) নামে পরিচিত।
-
বেন্থাম মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও, এগুলি থেকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ বা ‘পরসুখ’ ধারণা গ্রহণ করেছিলেন।
-
বেন্থামের উপযোগবাদের বিশেষত্ব হলো তিনি সুখের মধ্যে গুণগত পার্থক্য মানতে নারাজ ছিলেন। এজন্য এটিকে ‘অসংযত পরসুখবাদ’ বলা হয়।
-
তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো:
“Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”
অর্থাৎ, “সুখের পরিমাণ সমান হলে, সাধারণ খেলার আনন্দও কবিতা পড়ার আনন্দের সমান।” -
বেন্থাম সুখের পরিমাণ মাপার জন্য সাতটি দিক উল্লেখ করেছেন:
১. তীব্রতা (Intensity)
২. স্থায়িত্ব (Duration)
৩. নৈকট্য (Proximity)
৪. নিশ্চয়তা (Certainty)
৫. বিশুদ্ধি (Purity)
৬. উর্বরতা (Fecundity)
৭. বিস্তৃতি (Extent)
উৎসঃ Britannica

0
Updated: 3 weeks ago
সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো -
Created: 3 weeks ago
A
গণতন্ত্র
B
বিচার ব্যবস্থা
C
সংবিধান
D
আইনের শাসন
আইনের শাসন
আইনের শাসন বলতে বোঝায় যে, সমাজের সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। অন্য কথায়, আইন সকলের জন্য সমান ও ন্যায়সংগত হবে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কমে যায়। এর ফলে সমাজে স্থিতিশীলতা আসে এবং শান্তি বিরাজ করে। নাগরিকরা তাদের অধিকার কেবল আইন অনুযায়ী সুরক্ষিত ও বাস্তবায়ন করতে পারে।
অন্যদিকে, আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী ও গরিব, শক্তিশালী ও দুর্বলের মধ্যে বৈষম্য বাড়ে। এছাড়াও, মায়া, সহমর্মিতা, ন্যায় ও নীতি-আদর্শের অবনতি ঘটে। সুতরাং, সভ্য ও সমৃদ্ধ সমাজের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago
জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রত্যয় হলো-
Created: 1 month ago
A
সুশাসন
B
আইনের শাসন
C
রাজনীতি
D
মানবাধিকার
সুশাসন
- জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রত্যয় হলো সুশাসন।
- সুশাসন হলো যৌক্তিক এবং দক্ষভাবে শাসন পরিচালনা।
- সুশাসন অবশ্যই আইনের শাসনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
- এটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার নিশ্চিত করে।
- জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন, মানবাধিকার, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, সরকারের দক্ষতা ও সাড়া প্রদানের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সুশাসন প্রক্রিয়া।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago