নিম্নের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংক ১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী,
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country's economic and social resources for development.” অর্থাৎ, সুশাসন হলো দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতি।
-
‘সুশাসন’ ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত একটি ধারণা।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করেছে যে, সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রকাশ করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সুশাসনের চারটি স্তম্ভ:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)
0
Updated: 1 month ago
গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-
Created: 1 month ago
A
নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য
B
স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন
C
শক্তিশালী রাজনৈতিক দল
D
পরমতসহিষ্ণুতা
মূল্যবোধ মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মূল মানদন্ড এবং নীতিমালা নির্দেশ করে। এগুলো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত, আচরণ এবং সামাজিক সংযোগে একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
-
মূল্যবোধের প্রধান শ্রেণীবিভাগ হলো:
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
ধর্মীয় মূল্যবোধ
-
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
আধুনিক মূল্যবোধ
-
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
-
-
বিভিন্ন ধরনের মূল্যবোধের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নৈতিকতা, সহমর্মিতা, আত্মসংযম, পরম সহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণাবলী মানুষকে গণতান্ত্রিক আচরণ শেখায় এবং সামাজিক সহমতের উন্নতি ঘটায়।
-
একটি রাষ্ট্র কেবল গণতন্ত্র ঘোষণা করলেই চলবে না; তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা, সংকল্প এবং উদ্দেশ্য, অর্থাৎ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থাকতে হবে।
-
সমাজ ও প্রতিবেশীর কল্যাণ এবং অন্যের অধিকার সম্পর্কে চিন্তা করা মূল্যবোধের অপরিহার্য অংশ, যা সরাসরি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।
0
Updated: 1 month ago
নৈতিক মূল্যবোধের অন্তর্গত-
Created: 1 month ago
A
সত্যকে সত্য বলা
B
বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
C
অন্যায়কে অন্যায় বলা
D
বর্ণিত সবগুলো
নৈতিক মূল্যবোধ (Moral Values)
-
সংজ্ঞা: নীতি ও উচিত-অনুচিত বোধ হলো নৈতিক মূল্যবোধের উৎস।
-
সেসব মনোভাব ও আচরণ যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য বিবেচনা করে এবং মানসিকভাবে তৃপ্তি প্রদান করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
সত্যকে সত্য বলা
-
মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
অন্যায়কে অন্যায় বলা
-
অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা
-
অন্যকে বিরত রাখতে পরামর্শ প্রদান করা
-
দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো
-
বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
-
বিপদ থেকে উদ্ধারে সাহায্য করা
0
Updated: 1 month ago
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
শুদ্ধাচার
B
মূল্যবোধ
C
মানবিকতা
D
সফলতা
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণের মানদণ্ড যা মানুষের কল্যাণ সাধন এবং সামাজিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। এটি মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।
নৈতিক শিক্ষা সাধারণত পরিবার থেকে শুরু হয়, যেখানে শিশুরা জীবনের প্রাথমিক নৈতিক পাঠ শেখে। নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে বিবেকের দংশন, যা ভুল কাজ করার সময় অন্তর্দৃষ্টি এবং লজ্জা জাগায়।
নৈতিক শক্তির মূল উপাদান হলো সততা এবং নিষ্ঠা, যা ব্যক্তি ও সমাজকে উন্নত করে। নীতির বিপরীত হলো দুর্নীতি, যা সামাজিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতি ঘটায়। নীতিশাস্ত্রের বিকাশ করেছেন এরিস্টটল, এবং নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে শুদ্ধাচার (ethical excellence) বলা হয়।
-
নৈতিকতার লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন
-
নৈতিকতার নিয়ন্ত্রক হলো বিবেক ও মূল্যবোধ
-
নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় পরিবারে
-
নৈতিকতার রক্ষাকবচ হলো বিবেকের দংশন
-
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান সততা ও নিষ্ঠা
-
নীতির বিপরীত হলো দুর্নীতি
-
নীতিশাস্ত্রের বিকাশ করেন এরিস্টটল
-
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে শুদ্ধাচার বলা হয়
0
Updated: 1 month ago