কর্ণফুলী নদীর উৎস ভারতের কোন রাজ্যে?
A
ত্রিপুরা
B
মিজোরাম
C
মনিপুর
D
মেঘালয়
উত্তরের বিবরণ
কর্ণফুলী নদী
-
কর্ণফুলী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী।
-
এটি ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি লাভ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতেঙ্গা এলাকায় যুক্ত হয়।
-
নদীর মোহনাস্থলে অবস্থিত দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর।
-
কর্ণফুলী নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ কিলোমিটার।
-
এটি চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি অঞ্চলের প্রধান জলস্রোত।
-
কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির নদী হিসেবে পরিচিত।
-
এর গুরুত্বপূর্ণ উপনদীগুলোর মধ্যে রয়েছে কাসালং, হালদা এবং বোয়ালখালী নদী।
-
কাপ্তাই এলাকায় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর জল ব্যবহার করে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ পাঠ্যক্রম।

0
Updated: 1 month ago
গারো পাহাড় থেকে নিম্নের কোন নদীর উৎপত্তি?
Created: 4 weeks ago
A
সোমেশ্বরী
B
আত্রাই
C
নিতাই
D
বাঙালি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নদ নদীর উৎপত্তিস্থল
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশের পাহাড়
গারো পাহাড়
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ পাহাড়।
-
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত।
-
পাদদেশে অবস্থিত জেলা: ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ।
-
মোট আয়তন: প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিমি।
-
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: নকরেক (ভারত অংশে)।
-
উচ্চতা: ৪,৬৫২ ফুট ≈ ১,৪০০ মিটার।
-
প্রধান শহর: তুরা।
-
প্রধান নদী: সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী।
সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী
-
উৎপত্তি: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে।
-
প্রধান ঝর্ণাধারা: বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া; পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদী এর স্রোতধারা যুক্ত।
-
বাংলাদেশের প্রবেশ: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
-
মোড়ল নদীতে মিলন: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাউলাই নদী।
-
প্রাচীন নাম: সিমসাং।
অন্যান্য নদী
-
নিতাই নদী: ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা দিয়ে প্রবাহিত।
-
বাঙালি নদী: উৎপত্তি নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী, পরে গাইবান্ধা ও বগুড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নাম ধারণ।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশের কর্ণফুলি নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
Created: 1 month ago
A
লুসাই পাহাড়
B
সিকিমের পাবর্ত্য অঞ্চল
C
তিব্বতের মানোস সরোবর
D
নাগা-মনিপুর অঞ্চলের বোরাক নদী
কর্ণফুলী নদী
-
কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী।
-
এটি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের লুসাই পাহাড় থেকে শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।
-
এই নদীর মোহনায় চট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত, যা বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর।
-
নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ কিলোমিটার।
-
এটি চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির অন্যতম প্রধান নদী।
-
কর্ণফুলী হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা (দ্রুতগামী ও স্রোতস্বীনি) নদী।
কর্ণফুলীর উপনদী
-
ইছামতি, হালদা, তুইলিয়ান পুই (সাজাল লুই), থেগা (কাওপুই), শুভলং-মরম ছড়া, ভান্দরজুরি খাল, শাইলক খাল, হীরার ছড়া।
শাখা নদী
-
কর্ণফুলীর কোনো শাখা নদী নেই।
কাপ্তাই বাঁধ
-
১৯৬৪ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি বাঁধ তৈরি করা হয়, যার নাম কাপ্তাই বাঁধ। এটি রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত।
-
এই বাঁধের পানির মাধ্যমে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
বিভিন্ন নদীর উৎপত্তিস্থল
-
পদ্মা নদী: ভারতের হিমালয়ের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নামে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে এসে পদ্মা নামে পরিচিত।
-
মেঘনা নদী: ভারতের আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন।
-
যমুনা নদী: ভারতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে ব্রহ্মপুত্র নামে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে যমুনা নামে পরিচিত।
-
করতোয়া নদী: ভারতের সিকিম রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন।
-
সাঙ্গু নদী: মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন।
-
হালদা নদী: বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার বাদানাতলী পাহাড় থেকে উৎপন্ন।
-
মহানন্দা নদী: ভারতের দার্জিলিং জেলার মহালড্রীম এলাকা থেকে উৎপন্ন।
তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন (Bangladesh National Information Portal)

0
Updated: 1 month ago
সিলেট কোননদীর তীরে অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
আড়িয়াল খাঁ
B
সুরমা
C
চন্দনা
D
রূপসা
সিলেট:
- সিলেটের উত্তরে ভারতের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়, দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা, পূর্বে ভারতের কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা।
- সিলেট জেলা ১৭৭২ সালের ১৭ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সুলতানী আমলে সিলেটের নাম ছিল জালালাবাদ।
উল্লেখ্য,
⇒ সিলেট সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত।
- সিলেটের প্রধান ও দীর্ঘতম নদী সুরমা, অপর বৃহৎ নদী হলো কুশিয়ারা।
- এ জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৮২টি হাওর-বিল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সিংগুয়া বিল (১২.৬৫ বর্গ কিমি), চাতলা বিল (১১.৮৬ বর্গ কিমি) উল্লেখযোগ্য।
উৎস: সিলেট জেলা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago