সামাজিক অবক্ষয় বলতে নিম্নের কোনটি বোঝায়?
A
অর্থনৈতিক উন্নতির অভাব
B
মূল্যবোধের অনুপস্থিতি
C
রাজনৈতিক অস্থিরতা
D
শিক্ষার অভাব
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক অবক্ষয় হলো সামাজিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি বা হ্রাস, যা সমাজের নিয়ম, রীতি ও অনুমোদিত আচরণের অবনতি নির্দেশ করে। এটি সমাজে নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং সামাজিক সহমর্মিতার অভাব সৃষ্টি করে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়।
-
এই মূল্যবোধের অবনতি বা দুর্বলতাকেই সামাজিক অবক্ষয় বলা হয়।
-
আইনের শাসনের দুর্বলতা, মানুষের সহনশীলতার অভাব এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ।
-
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, মনগড়া ফতোয়াজারির মাধ্যমে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা।
-
তাই আইনের শাসন সামাজিক অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক মাপকাঠি
-
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন
-
নৈতিক প্রাধান্য
-
বিভিন্নতা
-
আপেক্ষিকতা ও পরিবর্তনশীলতা
-
নৈর্ব্যক্তিকতা
-
0
Updated: 1 month ago
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।
0
Updated: 1 month ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 2 months ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
সুশাসনের ধারণাটি কেমন?
Created: 1 month ago
A
একমাত্রিক
B
দ্বিমাত্রিক
C
বহুমাত্রিক
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
এর অর্থ হচ্ছে নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম "Good Governance" শব্দটি ব্যবহার করেন।
সুশাসনের ধারণা:
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক।
-
এটি চার ধরনের ধারণা নির্মাণ করে:
১. রাজনৈতিক সুশাসন
২. সামাজিক সুশাসন
৩. অর্থনৈতিক সুশাসন
৪. সাংস্কৃতিক সুশাসন
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:
-
সুশাসনের ধারণাটি আপেক্ষিক।
-
সুশাসন ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম ১৯৮৯ সালে Good Governance শব্দটি ব্যবহার করে।
0
Updated: 1 month ago