সামাজিক অবক্ষয় বলতে নিম্নের কোনটি বোঝায়?
A
অর্থনৈতিক উন্নতির অভাব
B
মূল্যবোধের অনুপস্থিতি
C
রাজনৈতিক অস্থিরতা
D
শিক্ষার অভাব
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক অবক্ষয় হলো সামাজিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি বা হ্রাস, যা সমাজের নিয়ম, রীতি ও অনুমোদিত আচরণের অবনতি নির্দেশ করে। এটি সমাজে নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং সামাজিক সহমর্মিতার অভাব সৃষ্টি করে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়।
-
এই মূল্যবোধের অবনতি বা দুর্বলতাকেই সামাজিক অবক্ষয় বলা হয়।
-
আইনের শাসনের দুর্বলতা, মানুষের সহনশীলতার অভাব এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ।
-
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, মনগড়া ফতোয়াজারির মাধ্যমে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা।
-
তাই আইনের শাসন সামাজিক অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক মাপকাঠি
-
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন
-
নৈতিক প্রাধান্য
-
বিভিন্নতা
-
আপেক্ষিকতা ও পরিবর্তনশীলতা
-
নৈর্ব্যক্তিকতা
-

0
Updated: 23 hours ago
কোনটির মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়?
Created: 1 week ago
A
শিক্ষা
B
অর্থনীতি
C
আইন প্রয়োগ
D
রাজনীতি
শিক্ষা এবং মূল্যবোধ
-
জ্ঞানার্জন বা শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মূল্যবোধের প্রসার ঘটে এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা, ন্যায়নীতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে।
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে, যা হলো মূল্যবোধ শিক্ষা।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
-
একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোধ কাজ করে।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
Created: 3 weeks ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 3 weeks ago
কোন বছর ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৯৫
B
১৯৯৭
C
১৯৯৮
D
১৯৯৯
UNDP ও সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে প্রথমবার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শাসনব্যবস্থা ও নীতি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করে। তখনই তারা সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
🔹 UNDP-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“একটি দেশের সামগ্রিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃত্ব যে পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country’s affairs at all levels – UNDP, 1997)
UNDP-এর মতে সুশাসনের ৯টি মূল উপাদান
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
আইনের শাসন (Rule of Law)
-
সকলের অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Consensus Oriented)
-
সমতা (Equity)
-
ন্যায্যতা (Fairness/Effectiveness)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
কৌশলগত লক্ষ্য/দূরদৃষ্টি (Strategic Vision)
উৎস: UNDP অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (1997, Governance Policy Paper)

0
Updated: 3 weeks ago