আধুনিক বিশ্ব কোন মূল্যবোধের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়?
A
আধুনিক মূল্যবোধ
B
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
C
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
D
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো সেই নৈতিক ও আচার-আচরণের মানদণ্ড যা একজন ব্যক্তির নিজের রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতা থেকে উদ্ভূত হয় এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, কারণ এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণকে লালন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ একজন ব্যক্তির আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
প্রতিটি শিশুই ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ব্যক্তিকে নৈতিকভাবে দৃঢ় এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল করে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের অভাবে নিম্নের কোনটি পরিলক্ষিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত
B
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি
C
দুর্নীতি বৃদ্ধি
D
বর্ণিত সবগুলো
সুশাসন একটি দেশের কার্যকর ও স্থায়ী পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। সুশাসনের অভাব দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে, যা সমাজ, অর্থনীতি ও প্রশাসনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
-
দুর্নীতি বৃদ্ধি:
-
সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকরা অবৈধ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পায়।
-
-
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া:
-
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
অদক্ষ নীতি, দুর্নীতি এবং সম্পদের অপব্যবহারের কারণে সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না।
-
-
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি:
-
জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
-
জনগণ যখন অনুভব করে যে তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে না এবং সরকার তাদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ, তখন সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
-
0
Updated: 1 month ago
একটি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করে -
Created: 1 month ago
A
বিচার বিভাগ
B
সরকার
C
গণমাধ্যম
D
সুশীল সমাজ
সরকার একটি দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার মূল নিয়ামক শক্তি, কারণ সরকারের উপরই রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কোনো একক প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়, তবে সরকারের ভূমিকা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার নীতি ও আইন প্রণয়ন করে এবং সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করে।
-
সরকার যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখে, তবে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব হয় এবং এর মাধ্যমে সুশাসনের ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়।
-
জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব, যা সুশাসনের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।
-
কার্যকর সরকার রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, আইন প্রয়োগ, প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও ন্যায্য সমাজ গড়ে তোলে।
-
নীতিমালা, আইন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার সুশাসনের কাঠামোকে সুসংহত করে।
যদিও গণমাধ্যম, বিচার বিভাগ এবং সুশীল সমাজ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে, তবুও সরকারই প্রধান চালিকা শক্তি, কারণ রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরাসরি সরকারের ওপরই ন্যস্ত।
0
Updated: 1 month ago
'রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক' কথাটি কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
ম্যাককরনী
B
মিশেল ক্যামডেসাস
C
এম ডব্লিউ পামফ্রে
D
কফি আনান
সুশাসন উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য, যেমন উল্লেখ করেছেন মিশেল ক্যামডেসাস: "রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।"
কফি আনানের বক্তব্য অনুযায়ী:
-
"সুশাসন মানবাধিকারের ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।"
এম ডব্লিউ পামফ্রে বলেন:
-
"মূল্যবোধ হলো ব্যক্তি বা সামাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ।"
ম্যাককরনী অনুযায়ী:
-
"সুশাসন বোঝায় রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের, সরকার ও শান্তিপ্রিয় জনগণের, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সমন্বিত সম্পর্ক।"
0
Updated: 1 month ago