"সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়"-কার অভিমত?
A
ম্যাককরনি
B
মিশেল ক্যামডেসাস
C
মারটিন মিনোগ
D
ল্যান্ডেল মিল
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance) হলো এমন একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে প্রশাসনের জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legitimacy) এবং স্বচ্ছতা (Transparency) নিশ্চিত থাকে। এতে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতা ও সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকে, আইনের শাসন (Rule of Law) কার্যকর হয় এবং শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা বা দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসৃত হয়। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য পূর্ণ থাকলে শাসনকে সুশাসন বলা হয়।
-
মিশেল ক্যামডেসাস এর মতে, রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।
-
ম্যাককরনি বলেন, সুশাসন হলো রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ক বোঝানো।
-
মারটিন মিনোগ (Martin Minogue) এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সুশাসন হলো বিভিন্ন উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল, যা সরকারকে আরও গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলিকে কার্যকর করে।
-
ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) মনে করেন, সুশাসন জাতির রাজনেতিক ব্যবস্থা এবং জন প্রশাসন ও আইনী কাঠামোর মধ্যে সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে দিকনির্দেশ প্রদান করে।

0
Updated: 23 hours ago
'সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন' কোন ধরণের মূল্যবোধ?
Created: 20 hours ago
A
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
'সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন' রাজনৈতিক মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। রাজনৈতিক মূল্যবোধ মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত করে, যা সুশাসন ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি গঠন করে।
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values): এটি সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্পের সমষ্টি যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে।
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত প্রধান উপাদানসমূহ:
-
রাজনৈতিক সততা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা
-
রাজনৈতিক জবাবদিহিতার মানসিকতা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি কার্যকর করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ
-
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ প্রদান
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান না করা
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেয়া
-
আইনসভাকে কার্যকর হতে সাহায্য করা
-

0
Updated: 20 hours ago
সুশাসনের মানদণ্ড কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
জবাবদিহিতা
B
জনস্বার্থ
C
উন্নয়ন
D
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
সুশাসন হলো একটি দেশের শাসনব্যবস্থার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতার প্রতীক। এটি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে জনগণ তার অধিকার ও সুযোগসমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
Good Governance মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ এবং কার্যকরী শাসন, যা জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা সুশাসনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গুরুত্ব প্রমাণ করে।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক অর্থাৎ এটি একাধিক দিক থেকে পর্যালোচনা করা যায়, যেমন রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক।
-
সুশাসন ধারণাটি আপেক্ষিক, কারণ এটি বিভিন্ন দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।
-
এই ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক, যা প্রথমবার ১৯৯০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশে কার্যকরী শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
-
সুশাসনের মূল মানদণ্ড হলো জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি, অর্থাৎ জনগণ সরকারের কার্যক্রম এবং নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সুশাসন শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ বা প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন নয়; এটি নাগরিক অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসন?
Created: 23 hours ago
A
সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র রক্ষা
B
গণতন্ত্র ও সরকারের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
C
পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রসার
D
মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
সুশাসন হলো এমন একটি শাসন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয় এবং জনগণ সক্রিয়ভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। সুশাসনের আওতায় সরকারী নীতি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণ অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে। এটি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং বহুমাত্রিক দিক থেকে বিশ্লেষণযোগ্য।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক, যা চারটি প্রধান ধারা তৈরি করে:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
-
সুশাসনের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ:
-
রাজনৈতিক: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
অর্থনৈতিক: মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে কার্যকর ও স্বচ্ছ করা।
-
সামাজিক-সংস্কৃতিক: সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রসার ও নৈতিক, সামাজিক মানদণ্ড বজায় রাখা।
-
তথ্য ও প্রযুক্তি: বিশ্বজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার এবং নাগরিক অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি।
-

0
Updated: 23 hours ago