কোনটি সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসন?
A
সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র রক্ষা
B
গণতন্ত্র ও সরকারের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
C
পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রসার
D
মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো এমন একটি শাসন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয় এবং জনগণ সক্রিয়ভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। সুশাসনের আওতায় সরকারী নীতি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণ অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে। এটি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং বহুমাত্রিক দিক থেকে বিশ্লেষণযোগ্য।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক, যা চারটি প্রধান ধারা তৈরি করে:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
-
সুশাসনের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ:
-
রাজনৈতিক: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
অর্থনৈতিক: মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে কার্যকর ও স্বচ্ছ করা।
-
সামাজিক-সংস্কৃতিক: সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রসার ও নৈতিক, সামাজিক মানদণ্ড বজায় রাখা।
-
তথ্য ও প্রযুক্তি: বিশ্বজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার এবং নাগরিক অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের 'নব্য-নৈতিকতার' প্রবর্তক হলেন-
Created: 3 weeks ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আব্দুল মতীন
বাংলাদেশের যুক্তিবাদী দর্শনের ইতিহাসে আরজ আলী মাতুব্বর একটি অনন্য নাম। তিনি ছিলেন এমন এক চিন্তাবিদ যিনি উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও স্বশিক্ষিত মননের মাধ্যমে সমাজে নতুন এক দার্শনিক ধারা সৃষ্টি করেন।তাঁর দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করা এবং যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিকতার আলোয় সত্যকে উপলব্ধি করানো।
জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির বাস্তবতা থেকে তিনি শিখেছেন এবং সেই শিক্ষা থেকেই নির্মাণ করেছেন নিজের ভাবনাজগৎ, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় ‘নব-নৈতিকতা’ নামে।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের মুক্তি আসবে চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব থেকে। তাই জীবনের প্রতিটি প্রশ্নে তিনি খুঁজেছেন যুক্তিসঙ্গত উত্তর, ধর্মীয় অনুশাসন বা সমাজের প্রচলিত ধারণার অন্ধ অনুসরণ নয়।
তাঁর চিন্তাধারা মূলত বস্ত্তবাদী দর্শননির্ভর, যেখানে মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও বিশ্বজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেখা যায়। আরজ আলী মাতুব্বর কখনো গোঁড়ামির সঙ্গে আপস করেননি; বরং দৃঢ়চিত্তে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন।
তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে যুক্তি, বাস্তবতা ও মানবতার আহ্বান। সহজ ভাষায় গভীর ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতার কারণে সাধারণ মানুষও তাঁর চিন্তাধারার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করত। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমন এক দর্শন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
‘সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩) – এখানে তিনি সত্য ও যুক্তির ভিত্তিতে ধর্ম ও সমাজকে বিশ্লেষণ করেছেন।
-
‘সৃষ্টিরহস্য’ (১৯৭৭) – জগৎ ও জীবনের উৎপত্তি নিয়ে তাঁর দার্শনিক অনুসন্ধান প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘অনুমান’ (১৯৮৩) – মানবচিন্তা ও অভিজ্ঞতার ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর গভীর উপলব্ধি প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘মুক্তমন’ (১৯৮৮) – চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মানবতাবাদের দার্শনিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও চিন্তা বাংলাদেশের বৌদ্ধিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে যুক্তি ও মানবতার পথেই তিনি খুঁজেছেন সমাজের সত্যিকারের মুক্তি।
0
Updated: 3 weeks ago
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে?
Created: 1 month ago
A
জন মিল
B
জন লক
C
প্লেটো
D
আব্রাহাম লিংকন
গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন, যেখানে সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। এটি আধুনিক যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারী ব্যবস্থা।
জন লক আধুনিক গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী চিন্তাবিদ:
-
ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আলোকিত যুগের অন্যতম চিন্তাবিদ।
-
জন্ম: ১৬৩২ সালের ২৯ আগস্ট, ব্রিস্টল।
-
জ্ঞানতত্ত্বে (Epistemology) তিনি অভিজ্ঞতাবাদ (Empiricism) প্রয়োগ করেছেন এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
-
রাজনীতি সংক্রান্ত লিখিত গ্রন্থগুলো আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
অসংখ্য দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদের উপর তার প্রভাব বিস্তৃত।
উল্লেখযোগ্য:
-
গণতন্ত্রের প্রাচীন জনক অ্যারিস্টটল।
-
ক্লিসথেনিসকে বলা হয় ‘এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক’।
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে সুশাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি
B
স্বজনপ্রীতি
C
জবাবদিহিতার অভাব
D
রাজনৈতিক অস্থিরতা
বাংলাদেশে সুশাসনের অন্তরায়সমূহ
-
সুশাসনের সংজ্ঞা:
যে শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গনতান্ত্রিকভাবে নিশ্চিত হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়। -
বাংলাদেশে অন্তরায়সমূহ:
১. দুর্নীতি:-
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে সুশাসনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
-
দুর্নীতির কারণে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসনের পথ রুদ্ধ হচ্ছে।
২. জনগণের সুযোগ-সুবিধা হ্রাস:
-
সরকারি সুযোগ-সুবিধা কমে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
৩. বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি:
-
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি প্রশাসন, জনপ্রশাসন, ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ সেক্টর, স্থানীয় সরকারসহ সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির সংস্কৃতি লক্ষ্য করা যায়।
-
এমনকি বাজার ব্যবস্থাপনা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণেও দুর্নীতির প্রভাব বিরাজ করছে।
-
-
সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা:
-
নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, সরকারের জবাবদিহিতা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্নীতি দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়ন—সব ক্ষেত্রেই সুশাসন অপরিহার্য।
-
0
Updated: 1 month ago